দক্ষিণবঙ্গ, বাঁকুড়া IMD Weather Update: বিশ্বের সপ্তম উষ্ণতম বাঁকুড়া! কত তাপমাত্রা সেই জেলায়, চিন্তাও করতে পারবেন না Gallery April 20, 2024 Bangla Digital Desk অদ্ভুত এক রেকর্ড করল জেলা বাঁকুড়া। এমন রেকর্ড দেখে চক্ষু রক্তবর্ণ হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে এটা আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। বিশ্বের সপ্তম উষ্ণতম বাঁকুড়া। শুক্রবার ভয়ানক পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। দক্ষিণবঙ্গে আরও ৭ ডিগ্রি বাড়বে বলে অনুমান করা হয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম হটস্পট বাঁকুড়া। (নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়) শনিতে ৪৪ পার করে ৪৫ এর কাছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ, গরম হাওয়া এবং তীব্র রোদ এই তিন চক্রে জর্জরিত বাঁকুড়া। গত বছরের মতো এই বছরও একই রেকর্ড করতে দেখা গেল বাঁকুড়া জেলাকে। গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার নিরিখে বিশ্বের উষ্ণতম শহরের তালিকায় সপ্তম স্থান পেল বাংলার বাঁকুড়া শহর। এলডোরাডো ওয়েদার ওয়েবসাইট একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান , বীরভূম সহ বাঁকুড়াতে তীব্র তাপপ্রবাহের (severe heat wave) পূর্বাভাস। পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার যেন অগ্নিশর্মা হল গোটা জেলা। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পেরিয়ে গেল ৪৪ ডিগ্রি। রেকর্ড তাপমাত্রা থাকবে বাঁকুড়ায় এদিন, রাজ্যে উষ্ণতম এলাকাগুলির অন্যতম বাঁকুড়া। বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বাইরে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন এবং চিকিৎসকেরা। তবুও সকাল ৯টা থেকে যেন জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের। জেলাশাসক সিয়াদ এন জানিয়েছেন, “বাঁকুড়া জেলায় কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। সেই কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করলে গরম সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যে তাপপ্রবাহ চলছে সেই তাপপ্রবাহ থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া যাবে তার উত্তর এই কন্ট্রোল সেন্টারে রয়েছে। কেউ যদি অসুস্থ হন অবশ্যই এই কন্ট্রোল সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও যতটা সম্ভব এই তীব্র গরমে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।” স্থানীয় বাসিন্দা সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষের জীবন কী ভাবে চলবে বোঝা যাচ্ছে না। ভয়ঙ্কর গরমে এক প্রকার মাথা কাজ করছে না। সবথেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বৃদ্ধ এবং বাচ্চারা। সান স্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশনের ভয় থেকে যাচ্ছে। কিন্তু সেভাবে চিকিৎসা মিলছে না।” বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্কে কাজ করাতে যাওয়া সোমনাথ লাই জানান, “বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্কে আসতে হয়েছে। একবার বেরিয়েই টের পাচ্ছি কী ভীষণ গরম। যতটা সম্ভব রোদকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। কিন্তু দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে বাইরে বেরতেই হচ্ছে। সামনে আবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। ভোট একটা উৎসবের মতো। যদি আবহাওয়া একই রকম থাকে তাহলে ভোগান্তি রয়েছে।”