ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে বিভিন্ন সুগন্ধযুক্ত মশলাগুলির মধ্যে তেজপাতা একটি প্রধান উপাদান। আমিষ থেকে নিরামিশ সব কিছুতেই তেজপাতার ব্যবহার প্রচলিত।কেবল রান্নায় স্বাদবৃদ্ধিতে নয়, তেজপাতা সেবনে হাজার হাজার উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন ঔষধিগুণ রয়েছে এর। কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।কিন্তু আজ আমরা এই পাতা সেবনের কথা বলব না। তেজপাতা পোড়ানোর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা হবে। বাড়িতে কয়েকটি পাতা নিয়ে একটি পাত্রে পুড়তে দিন। দেখুন কী কী ঘটে।প্রাচীন ভারতীয় অ্যারোমাথেরাপি কৌশল আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। এই চিকিৎসা অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ আমাদের মন ও শরীরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।এই প্রবল গরমে যদি বাড়িতে তেজপাতা পোড়ান, তবে তার অনেক উপকারিতা। এই ধরনের পাতা পুড়িয়ে সুগন্ধি তৈরি করা যায় ঘরে। ব্যবহারের উদ্দেশ্য হল, মন থেকে বিরক্তিকর চিন্তা, বিভ্রান্তি, বিভিন্ন দুশ্চিন্তাকে দূর করে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া।একইভাবে, কিছু ভেষজ আছে যা আমরা আমাদের দৈনন্দিন গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করি, যেগুলির ধোঁয়া শুধুমাত্র আমাদের ঘর পরিষ্কার করে না বরং ধূপ ধোয়ার উদ্দেশ্যেও কাজ করে।প্রতিদিন বাড়িতে ধূপের মতো পাতা জ্বালালে অনেক লাভ। অনেক ক্ষেত্রে এই পাতার ধোঁয়া আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে কার্যকর বলে বলা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভেষজের গন্ধও পোকামাকড় তাড়ায় এবং ঘর পরিষ্কার রাখে।প্রবল গরমে আপনার অস্থির মন প্রশান্তি পাবে। তা ছাড়া বাড়িতে পিঁপড়ের আগমন ঘটে এই সময়। তেজপাতা পুড়িয়ে আপনি সেসব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গরমে ঘরে ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য এই পাতা পুড়িয়ে সুগন্ধের আগমন ঘটাতে পারেন।এর জন্য কিছু পাতা নিয়ে ঘরের যে কোনও কোণে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ধীরে ধীরে এই ধোঁয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। এটি আমাদের মানসিক অবসাদ দূর করবে।ভেরিকোজ ভেইন এবং গাঁটে ব্যথার মতো সমস্যা দূর হয়। তেজপাতার ধোঁয়াও ভাইরাল সংক্রমণের মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। গরমে সর্দি-গর্মি থেকে মুক্তি দেবে।পাতার ধোঁয়ায় শ্বাস নিলে স্নায়ুতে পৌঁছায়, স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং মানসিক কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা তেজপাতার অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে একটি।
