অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

‘খবরের কাগজে প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়ে…’ বিজেপিকে চরম কটাক্ষ অভিষেকের!

কলকাতা: লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফার আগে রবিবার ডায়মন্ডহারবারে বিরাট জনসভা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের দাবি, “বিজেপি সাহায্য করে না৷ কেন্দ্র নানা অসহযোগিতা করলেও ডায়মন্ড হারবার আজ দেশের সেরা সংসদীয় কেন্দ্র৷ সবচেয়ে বড় জলের প্রকল্প এনেছি এখানে৷ ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ ১০ বছরে করেছি৷ এক বছরে ৫৫৮ কোটি, এক মাসে ৪৬ কোটি ৫০ লক্ষ, এক দিনে এক কোটি ৫৫ লক্ষ, আর প্রতি ঘণ্টায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে।”

বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপি আর সিপিএম প্রার্থী যাঁরা লড়ছে তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, ১ বছরে ৩৬৫ দিন হল। ১০ বছরে ৩৬৫০ দিন ঘুমিয়েছেন যখন, তখন কাজ হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার। এই অঙ্ক ভাল করে জানুন। বিজেপির সরকার অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করেছিল। আর আমরা প্রথম ঢেউয়ে ১৪ লক্ষ বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছিলাম ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ চালু করে৷ ৭৬ হাজার জন মাসে এক হাজার করে টাকা পাচ্ছে। ১০০% কভারেজ এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল৷ যাঁরা আমার কাজকে কটাক্ষ করে, তাঁদের বলব, আমার নিঃশব্দ বিপ্লব বইয়ে আমি তুলে ধরি।”

“যাঁরা আজ লড়তে এসেছে৷ তাঁরা হাওয়া তুলে বলেছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিন বা চার নম্বর হবে। আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে শেষ কথা। যে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে কটাক্ষ করেছিল, তাঁর প্রার্থী খুঁজে পেতে দেড় মাস লেগেছে৷ আমার ভাগ্য ভাল আমি ডায়মন্ড হারবারের মানুষদের পেয়েছি। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”

অভিষেকের তীব্র তোপ, “যাঁরা আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাঁদের পূর্ণ সম্মান দিয়ে বলছি৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে না বলে৷ খবরের কাগজে প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থী খুঁজতে পারত৷ এখনও সময় আছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা আসতে পারে লড়তে আমার বিরুদ্ধে৷ ডায়মন্ড হারবার পথ দেখিয়েছে।”

“যাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তাঁরা আজ কটাক্ষ করতে আসছে৷ আমি তাঁদের বলব ডায়মন্ড হারবার নিয়ে কি কাজ করেছেন তার হিসাব দিন৷ নদীর ধার রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সাহায্য চেয়েছিলাম। প্রতিরক্ষা দফতর করেনি৷ এই রাস্তার জন্য বারবার চিঠি লিখেছি৷ সাহায্য করেনি৷ তাই আমি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্যারান্টি দিচ্ছি, ৬ জুন আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলে তার ছয় মাসের মধ্যে আপনি আবাসের টাকা পেয়ে যাবেন।”

অভিষেকের কথায়, “আমরা মানুষের অধিকার চাইতে দিল্লি গিয়েছিলাম। সেটাই ছিল আমাদের দোষ৷ গত ৫ বছরে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়েছে তা বলুন দেখি৷ চক মাণিকের কয়েক জন লিংকের জন্য পাচ্ছেন না৷ আজ আমি শুনলাম। আগামী ১ তারিখ পাসবই চেক করবেন। কথা দিচ্ছি পেয়ে যাবেন।” “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাউকে স্পর্শ করতে দেব না৷ যতদিন তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। রাজ্য ২৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে খরচ করে।”

বিজেপির দিকে চরম নিশানা ছুড়ে অভিষেকের জোরালো আক্রমণ, “ভোট প্রচারে এসে বলছে অভিষেক কে খ্যাদাও। কী করে খ্যাদাবে? আমি হৃদয়ে আছি। গ্রামে আছি। খ্যাদাতে আসলে মুরগি হয়ে দিল্লি চলে যাবে৷ আমাকে ৩ লক্ষ ২১ হাজারে গতবার জিতিয়েছিলেন। আমি এবার চার লক্ষ বলেছিলাম। সেটা ৫ লক্ষ হলে অবাক হব না৷ ক্ষমতা থাকলে লড়ো।”