কলকাতাঃ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে এ বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৯,২৩,০১৩ জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ৪,০৫,৯৯৪। ছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা- ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা- ২৬৭৫টি।
WBBSE Madhyamik Result 2024 Out : ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিক ২০২৪-এর রেজাল্ট আউট, কেমন হল ফলাফল? দেখুন এখানে
তবে, উদ্বেগের বিষয় শেষ কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাশের হার ৯০ শতাংশের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। এই বছর তাই মাধ্যমিকের রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে গত রাজ্য।
১- ২০২৩ পরীক্ষার্থী ছিল ৬,৮২,৩২১ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫,৬৫,৪২৮ জন। পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। এবছর পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ।
২- ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৮৬.৬ শতাংশ। মোট ১১, ২৬, ৮৬৩ জন পরীক্ষা দিয়েছিল।
৩- ২০২১ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে ইন্টারনাল ফরম্যাটিং ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সঙ্গে যোগ হয়েছিল ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির দু’টি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। সেই বছরের মূল্যায়নে মোট ১০,৭৯,০০০ ছাত্র-ছাত্রীকেই উত্তীর্ণ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই বছর পাশের হার ছিল ১০০ শতাংশ।
৪. ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থী ১০, ০৩,৬৬৬ জন।
৫. ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.০৭ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থী ১০, ৫০, ৩৯৭ জন।
৬. ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৫.৪৯ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১, ০২, ৯২১ জন।
আরও পড়ুনঃ আজ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, সহজে-সরাসরি রেজাল্ট দেখতে ক্লিক করুন এখানে
এবার নজর রাখা যাক গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-এর জেলাভিত্তিক ফলাফল-
১) পূর্ব মেদিনীপুর: জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে ‘টপার’ জেলা ২০২৩ সালেও সেরা হয়েছিল। পাশের হার ছিল ৯৬.৮১ শতাংশ।
২) কালিম্পং: ৯৪.১৩ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল।
৩) কলকাতা: তিনে ছিল কলকাতা। পাশের হার ছিল ৯৩.৭৫ শতাংশ।
৪) পশ্চিম মেদিনীপুর: পাশের হার ছিল ৯২.১৩ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ছিল।
৫) উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চম স্থানে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা। পাশের হার ছিল ৮৯.৩৫ শতাংশ।
৬) দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৮৮.৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছিল। ছিল ষষ্ঠ স্থানে।
৭) ঝাড়গ্রাম: পাশের হার ছিল ৮৬.৩৬ শতাংশ। সপ্তম স্থানে ছিল।
৮) হুগলি: ৮৪.৬৩ শতাংশ পড়ুয়া মাধ্যমিকে পাশ করেছিল। অষ্টম স্থানে ছিল।
৯) মালদা: নবম স্থানে ছিল মালদা। পাশের হার ছিল ৮৩.৯৩ শতাংশ।
১০) হাওড়া: দশম স্থানে ছিল হাওড়া। পাশের হার ছিল ৮৩.৫৯ শতাংশ।
১১) নদিয়া: পাশের হার ছিল ৮০.৯। জেলাভিত্তিক পাশের হারের তালিকায় একাদশ স্থানে ছিল।
১২) মুর্শিদাবাদ: দ্বাদশ স্থানে ছিল। পাশের হার ছিল ৭৯.৪৬ শতাংশ।
১৩) পুরুলিয়া: পাশের হার ছিল ৭৯.১৬ শতাংশ। ছিল ত্রয়োদশ স্থানে।
১৪) দার্জিলিং: পাশের হারের নিরিখে চতুর্দশ স্থানে ছিল। পাশের হার ছিল ৭৮.৯৬ শতাংশ।
১৫) পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চদশ স্থানে ছিল পূর্ব বর্ধমান। পাশের হার ছিল ৭৮.৯৪ শতাংশ।
১৬) কোচবিহার: পাশের হার ছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ। ছিল ১৬ নম্বর স্থানে
।
১৭) দক্ষিণ দিনাজপুর: পাশের হার ছিল ৭৭.৭৬ শতাংশ।
১৭ নম্বর স্থানে ছিল।
১৮) বীরভূম: ১৮ নম্বর স্থানে ছিল বীরভূম। পাশের হার ছিল ৭৭.৬৭ শতাংশ।
১৯) বাঁকুড়া: পাশের হার ছিল ৭৪.৭২ শতাংশ। ছিল ১৯ নম্বর স্থানে।
২০) পশ্চিম বর্ধমান: পাশের হার ছিল ৭৪.১৫ শতাংশ। ২০ নম্বর স্থানে ছিল।
২১) আলিপুরদুয়ার: পাশের হার ছিল ৭৪.০৯ শতাংশ। ২১ নম্বর স্থানে ছিল।
২২) উত্তর দিনাজপুর: পাশের হার ছিল ৭০.৬৬ শতাংশ। ২২ নম্বর স্থানে ছিল।
২৩) জলপাইগুড়ি: পাশের হার ছিল ৬৭.৭৩ শতাংশ। ২৩ নম্বর স্থানে ছিল।