Tag Archives: Madhyamik 2024

Madhyamik 2024 Result: Success Story: বাবা লটারিবিক্রেতা, মা বন্ধ চাবাগানের শ্রমিক, অভাবের সংসারে মেয়ে মাধ্যমিকে বাজিমাত করে মনোবিদ হতে চান

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চায় কালচিনি বন্ধ বাগানের মেহেক ওঁরাও। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৫% নম্বর পেয়েছে সে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত কালচিনির এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া সে। মেহেকের বাবা লটারি বিক্রেতা। মা বন্ধ বাগানের শ্রমিক। বাগান বন্ধ তাই মায়ের কাজ নেই। তার বাবা একা সংসার চালাচ্ছেন। এত অভাবের মাঝেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে মেহেকের।

মেহেকের কথায়, “বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চাই। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করলে অনেক চাকরির দিক খোলা থাকে। আমি তার মধ্যে একটি নিয়ে এগিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন : প্রদীপে দিন এই জিনিস! অভাব থেকে সাড়ে সাতী দূর হয়ে হবে টাকার বর্ষা

মেহেকের এই ফলে খুশি তার বাবা, মা। সংসারে অভাব অনটন মেহেকের পড়াশুনো থামিয়ে দিতে পারেনি দেখে তাঁরা গর্বিত। মেহেকের কথা থেকে আরও জানা যায় যে স্কুলের তরফে অনেক সহযোগিতা সে পেয়েছে। টিউশন ছিল না তার। স্কুলশিক্ষকরা পড়াশুনোতে সাহায্য করেছেন।

Madhyamik Result 2024: পানের দোকান চালিয়েও মাধ্যমিকে সাফল্য দিনমজুরের ছেলের! দুচোখে তার স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়ার

আলিপুরদুয়ার: ইচ্ছে বিজ্ঞান নিয়ে পরে বিজ্ঞানী হওয়ার। কিন্তু জেলার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে নেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সুবিধা। এদিকে বাইরে গিয়ে পড়ার সামর্থ নেই মনু শার।

আরও পড়ুনঃ ICSE-তে নজর কাড়া সাফল্য উত্তরবঙ্গের! রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম ওদলাবাড়ির স্বপ্নজিৎ!

বাধ্য হয়ে সাহায্যের আবেদন করছেন মনু শা। এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো। বাবা দিন মজুরের কাজ করেন। সংসার চালাতে ছোট পানের দোকান চালান মনু শা। এই পানের দোকান চালিয়ে পড়াশুনো করেছেন তিনি। মাধ্যমিকে হিন্দি মাধ্যমে কালচিনি ব্লক টপার তিনি। ঘরে রয়েছে একটি মাত্র বাল্ব। তা দিয়েই পড়াশুনো করতেন মনু। মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৫৪০।

বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও হিন্দি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে নেই সেই সুযোগ। মনু শা জানিয়েছেন, “ছোট থেকে হিন্দি মাধ্যমে পরে এসেছি। এখন মাধ্যম পরিবর্তন করতে পারব না। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনো করতে পারলেও তা খরচ সাপেক্ষ। যা আমাদের পরিবারের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়।”

ছোট গ্রামে থেকে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দুচোখ ভরে দেখে মনু। তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে হয়ত কেউ আসবেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, বিশ্বাস রয়েছে মনুর।

Annanya Dey

Madhyamik Result 2024: বাবা-মা নিরক্ষর, মাটির বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, মাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর আদিবাসী মেয়ের

দক্ষিণ দিনাজপুর: আদিবাসী অধ্যুষিত মাদারগঞ্জ এলাকা জুড়ে খুশির হাওয়া। সত্যিই এ এক অন্য লড়াইয়ের গল্প! মা-বাবা দু’জনেই কখনও স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। অথচ তাঁদের পরিবারের সন্তান প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া সুদীপা মুর্মু এ বারের মাধ্যমিকে ৬০২ নম্বর পেয়ে নজির সৃষ্টি করেছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

আগামী দিনে সুদীপা চিকিৎসক হতে চায়। দিনমজুরির কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান সুদীপার বাবা সুধীর মুর্মু। অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও থেমে থাকেনি সুদিপার লড়াই। তার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে সফল হয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে পতিরাম থানার বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দাশুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা মাদারগঞ্জ গ্রামের সুদীপা মুর্মু। এই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ইচ্ছেপূরণ হবে কিনা সেই দুশ্চিন্তা রয়েই যায়।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের কয়েকদিন আগে বাবার মৃত্যু! চোখের জলে পরীক্ষা ছাত্রের, দারুণ নম্বর পেয়ে চমকে দিল

মাদারগঞ্জের এই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় গেলেই লক্ষ্য করা যাবে অনুন্নয়নের স্পষ্ট ছাপ। এলাকায় হয়নি আবাস যোজনার ঘর কিংবা পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। মাটির বাড়িতেই বসবাস এই আদিবাসী পরিবারের। বছরের অন্যান্য সময় তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষাকালে চরম কষ্টের মধ্যে দিয়েই দিন যাপন করতে হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

সুদিপার মা দিপালী বাস্কে বলেন, “সুদীপা ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। তাকে পড়াশোনার কথা তেমন ভাবে কখনওই বলতে হয়নি। নিজের ইচ্ছা মতো সে পড়াশোনা করত। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলারও প্রতি তার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। মেয়ে চিকিৎসক হতে চায়। তার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা জানি না। কারণ চিকিৎসক হতে গেলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র আমাদের কাছে নেই।”

পড়াশোনার পাশাপাশি মাকে সাহায্য করতে সংসারের খুঁটিনাটি কাজ, কখনও মাঠ থেকে গরু, ছাগল নিয়ে আসা কিংবা ধান ভেজানো কখনও বা বাবাকে খাবার দিয়ে আসার কাজ তাকে করতে হত।

সুস্মিতা গোস্বামী

Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকের কয়েকদিন আগে বাবার মৃত্যু! চোখের জলে পরীক্ষা ছাত্রের, দারুণ নম্বর পেয়ে চমকে দিল

হলদিয়া: পরীক্ষা শুরুর আগে হঠাৎই বাবার মৃত্যু। মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ে। কিন্তু এত সব হওয়ার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় বসে সফলতার সঙ্গে উত্তরণ এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। সুতাহাটার অনন্তপুর দেশপ্রাণ জাতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে মাধ্যমিক ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলতা লাভ করল।

মাধ্যমিক পরীক্ষার দেড় মাস আগে বাবা মারা গিয়েছিল। সেই শোক কাটিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামের ১৬ বছরের পবিত্র দাস। পবিত্ররা পাঁচ ভাই বোন। পরিবারের ছোট ছেলে সে। বড় দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট দিদি কলকাতায় একটি নেটওয়ার্ক সংস্থার অস্থায়ী কর্মী। দাদা টিউশনি কড়ায়। দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন মা বাসন্তী দেবী।

বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবার। বর্তমানে বাড়িতে গরু, ছাগল, মুরগী প্রতিপালন করে এবং ছেলে-মেয়ের সামান্য উপার্জনের টাকায় কোনও রকমে সংসার চলছে। কিন্তু পরিবারে অভাব অনটন থাকলেও ছোট ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেবেন না। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৬৬। পবিত্র বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। সুতাহাটার অনন্তপুর দেশপ্রাণ জাতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের পড়ুয়া পবিত্র। তাঁর এই সাফল্যে খুশি গ্রামের প্রতিবেশী-সহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা।

আরও পড়ুন: ঘরজুড়ে সত্যজিতের ছবি, আমার জন্য মাছের ঝোল আনা… বিদ্যা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বাঙালি: শীর্ষা

পবিত্র জানিয়েছে, তার বাবা চেয়েছিল‌ সে যেন ভাল পড়াশোনা করে একদিন ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে জীবনের পরবর্তী লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত। পবিত্রর স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছে প্রথম থেকেই ও খুব ভাল পড়াশোনায়। কিন্ত পরীক্ষার কিছুদিন আগে ওর বাবা মারা যাওয়ার জন্য পড়াশোনা কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল, না হলে আরও বেশি নম্বর পেতে পারত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার মণ্ডল, সহ-শিক্ষক জয়দেব পালরা জানান, তাঁরা পবিত্রর পাশে রয়েছেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফী মুকুব-সহ সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত শিক্ষক শিক্ষিকারা।

পবিত্রের মা বাসন্তী দাস বলেন, “বিজ্ঞান বিভাগের সমস্ত বিষয়ে পৃথক শিক্ষক দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তবুও চেষ্টা করব ছেলের যেন পড়াশোনায় কোনওরকম সমস্যা না হয়।” পড়াশোনার ফাঁকে কম্পিউটারে তালিম নেওয়ার পাশাপাশি মাকে সাহায্য করতে বাড়িতে পশুপাখি প্রতিপালন করে পবিত্র। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা হলেই নিয়ম করে প্লাস্টারহীন ছোট ঘরে বসে পড়াশোনায় মন দেয় সে। জীবনের লক্ষ্য আরও বড়। তাই সামনের সংগ্রামের লড়াইয়ের মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছে পবিত্র। বাবার স্বপ্ন পূরণের প্রাথমিক ধাপ পেরিয়েছে। আগামী দিনে সব বাধাবিপত্তি এড়িয়ে পড়াশোনায় সফল হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে পবিত্র।

সৈকত শী

Madhyamik Result 2024: মনের জোরই সব, ক্যানসারে বাদ পড়েছে ডানহাত! বাঁ-হাতে লিখেই মাধ্যমিকে বাজিমাত শুভজিতের

শান্তিপুর: আটটি জটিল অস্ত্রোপচারে ডানহাত বাদ গেলেও মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়ে সফল ভাবে উত্তীর্ণ শান্তিপুরের শুভজিৎ। শান্তিপুর বাগাছরা স্কুল থেকে ১৮৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে অভিজিৎ। ১০ বছর বয়সে সাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তার ডান হাত।

তারপর কালের নিয়মে দিনের পর দিন অসুস্থ থাকার পর, হঠাৎই হাতে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানান, তার হাত কেটে বাদ দিতে হবে। তারপরেই বেঙ্গালুরুতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা করেও, আর্থিক ভাবে সচ্ছল না থাকার কারণে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ যায় ডান হাত।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

ঘটনায় রীতিমতো মনোবল ভেঙে পড়ে ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভজিৎ বিশ্বাসের। শুভজিতের বাবা কলকাতায় দিনমজুরির কাজ করে। মা লোকের বাড়িতে কাজ করে। কোনও রকমে সংসার চালান তাই আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে শুভজিৎ।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

তবে দীর্ঘ প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি শুভজিৎ-সহ তার পরিবার। যদিও শুভজিৎ জানায়, যখন হাত কাটা যায় তারপর মনোবল ভেঙে পড়ে। কীভাবে পরীক্ষা দেবে। তারপর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ চলে আসে শুভজিতের মাথায়। তারপর মনের জোরে বা হাত দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শুভজিৎ।

এরপর দেড় মাসের প্রবল অনুশীলনে বাঁ-হাতে লেখা প্র্যাকটিস করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর অঞ্চলের শুভজিৎ বিশ্বাস। তবে শুভজিৎ জানায়, সে ভেবেছিল পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। তার কারণ জটিল অস্ত্রোপচার তারপর হাত বাদ যাওয়া এবং হাতে সময় কম থাকার কারণে পড়াশোনা একদম হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন হয়েছিল অনেকটা কঠিন তবুও যেটুকু পড়াশোনা করেছিল তাতে করে সে ভেবেছিল তার পাশ করা খুব কঠিন।

কিন্তু বাড়িতে পরিবারের সহযোগিতা এবং তার মনের অদম্য জেদ তাকে সফলতার পথে অগ্রসর করেছে বলেই দাবি করে শুভজিৎ। তবে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন শুভজিতের পরিবারের যদি রাজ্য সরকার তার পড়াশোনার জন্য এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে যদি আর্থিক কিংবা কোনও রকম সাহায্য করে তাহলে খুবই উপকৃত হয় শুভজিৎ এবং তার পরিবার।

Mainak Debnath

Madhyamik 2024: একাদশে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে মাধ্যমিকের কিসে কত পেতে হবে? তালিকা প্রকাশ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের

কলকাতা: চলতি মাসের ২ তারিখেই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল৷ এবারের মাধ্য়মিক পরীক্ষায় বসেছিল ৯ লাখ ১০ হাজার ৫৯৮ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ২৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ ৮৬.৩১ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে বলে ঘোষণা করেছে বোর্ড। এবার কোন বিষয়ে কত নম্বর পেলে একাদশ শ্রেণির কোন শাখায় ভর্তি হওয়া যাবে জানাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷

আরও পড়ুন: এ বার আকাশপথে প্রচারে যাবেন সুকান্ত! পদ্মের রাজ্য ’সেনাপতি’র সফর শুরু পুরুলিয়া দিয়ে

সংসদ তরফে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান শাখার অঙ্ক এবং স্ট্যাটিস্টিকস নিয়ে পড়তে গেলে বিচার্য হবে অঙ্কের নম্বর, অঙ্কে পেতে হবে ৩৫ শতাংশ নম্বর। বিজ্ঞান শাখা ছাড়াও বাণিজ্য শাখার কোনও বিষয় নিয়ে পড়তে গেলেও মাধ্যমিকের কোন বিষয়ে কত নম্বর পেতে হবে তা জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ছাত্রছাত্রীরা ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে রাখতে পারে কম্পিউটার সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সাইবার সিক্যুরিটি, অ্যাকাউন্টেন্সি, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন। এই বিষয়গুলি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে গেলে অঙ্কে পেতে হবে কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ নম্বর।

আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিল থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের ধর্নামঞ্চের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ, তমলুকের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কমিশনের

অন্য দিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং ভূগোল নিয়ে পড়তে গেলেও কত নম্বর পেতে হবে জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন নিয়ে পড়তে গেলে মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের পেতে হবে ৩৫ শতাংশ নম্বর। আর যারা ভূগোল নিয়ে একাদশে ভর্তি হতে চায় তাদের ক্ষেত্রে বিচার্য হবে মাধ্যমিকে ৩৫ শতাংশ নম্বর।

Madhyamik Results 2024: বাবা বাস ড্রাইভার, আর্থিক বাধা কাটিয়ে মাধ্যমিকে সাফল্য! ভবিষ্যতে ডব্লিউবিসিএস হওয়ার ইচ্ছে ত্রিপর্ণার

কোচবিহার: মাধ্যমিক ২০২৪ এর ফল প্রকাশের পর থেকেই কোচবিহার জেলায় বইছে খুশির হাওয়া। তবে শুধুমাত্র মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়। নজর আকর্ষণ করছে বেশ কিছু দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীরাও। এমনই এক ছাত্রী হল কোচবিহারের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ত্রিপর্ণা দাস। এবারের মাধ্যমিকে তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫৭৪। পারিবারিক আর্থিক অনটন বারংবার তাঁর এই সাফল্যের মুখে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বাবা পেশাগতভাবে একজন বাস ড্রাইভার। মা গৃহবধূ। তাই পারিবারিক আর্থিক অনটন অনেকটাই চিন্তার মুখে ঠেলে দিয়েছিল তাঁদেরকে। তবে মাধ্যমিক ২০২৪ এর ফলাফলে তার এমন সাফল্য মুখে হাসি ফুটিয়েছে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের।

কৃতি ছাত্রী ত্রিপর্ণা দাস জানান, “মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেনি সে। সারাদিনে মোট ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পড়াশোনা করত ত্রিপর্ণা। শিক্ষক সংখ্যা তেমন না থাকলেও শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগেই শিক্ষক ছিল তাঁর। তবে গৃহ শিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে দারুণ সাহায্য করেছে। তাই এই সাফল্য সম্ভব হল। আগামী দিনে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ডব্লিউ বিসিএস অফিসার হতে চায় ত্রিপর্ণা। যদিও সেজন্য প্রস্তুতি সে শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই। তবে এত কিছুর ফাঁকেও প্রায়ই পারিবারিক আর্থিক অনটন ভাবিয়ে তোলে ত্রিপর্ণাকে।”

ত্রিপর্ণার বাবা চন্দন দাস জানান, “পেশাগতভাবে তিনি একজন বাস ড্রাইভার। একটি বেসরকারি স্কুলের বাস চালান তিনি। কোনও মতে সংসার চলে। দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে রীতিমতো চাপে পড়তে হয়। কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর যোগাড় হয়ে দাঁড়ায়! তবুও মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করেন তিনি। আগামী দিনে মেয়ে আরও সাফল্য অর্জন করুক এমনটাই ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। “উচ্চ বালিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুচিস্মিতা চক্রবর্তী জানান, “ত্রিপর্ণার সাফল্যে দারুণ খুশি তিনি। তিনি চান আগামীতেও যেন ত্রিপর্ণা এমনভাবেই ভাল ফল করে।” আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে চাই ত্রিপর্ণা।পড়াশোনার খরচের বিষয়ে এখন থেকেই চিন্তায় পড়েছে তাঁর পরিবার।

সার্থক পণ্ডিত

Madhyamik Result 2024 1st Boy: মাধ্যমিকের ফার্স্ট বয় চন্দ্রচূড়, স্কুলে যেতেই এ কী কাণ্ড ঘটল? দেখলে চমকে যাবেন!

কোচবিহার: বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হয়েছ। আর তারপর থেকেই রীতিমতো খুশি উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা কোচবিহারের মানুষেরা। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে কোচবিহার জেলা জুড়ে। তার একটি মাত্র কারণ, রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকার শীর্ষে রয়েছে কোচবিহার জেলার এক ছাত্র।

কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। তবে জেলার রামভোলা হাইস্কুল থেকে এই প্রথম কোনও ছাত্র রাজ্যে প্রথম হয়েছে। আর তাতেই খুশির বাধ ভেঙেছে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রীদের।

আরও পড়ুন: গরমে শেষপাতে রোজ টক দই খাচ্ছেন? শরীরে এর ফলে কী হয় জানেন? চমকে যাবেন জানলে

এদিন ফল ঘোষণার পর বাজনা বাজিয়ে চন্দ্রচূড়কে স্কুলে আনার ব্যবস্থা করা হয়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে চন্দ্রচূড়কে নিয়ে বেশ কিছুটা শহর পরিক্রমা করে রামভোলা হাইস্কুল কতৃপক্ষ। তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় রামভোলা স্কুলে। সকলের সঙ্গে পা মিলিয়ে কৃতি ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন জানান, “জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে একটা ভয় তো কাজ করেই। তবে নিজেকে সাহসী হতে হবে। এছাড়া এটাই জীবনের চূড়ান্ত নয়। আরও পরীক্ষা রয়েছে। তাই ভয় না পেয়ে মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা দিতে হবে। তাহলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া এবারের তার সঙ্গে পাশ করা বাকি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।”

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সমর চন্দ্র মণ্ডল জানান, “পরীক্ষায় শুধু ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করলেই চলবে না। একজন ভাল এবং আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে হবে সমাজের বুকে। তাহলেই সেই ছাত্রের সফলতা প্রমাণিত হয়। এই বিষয়টির সকল পরীক্ষার্থীদের তিনি সবসময় বলে থাকেন। তবে তিনি আশা রাখছেন চন্দ্রচূড় ভবিষ্যতে একজন ভাল ও সফল মানুষ হয়ে উঠবে। এবং আগামীতে তার আরও ভাল ফলাফল জেলার মুখ উজ্বল করবে সেটাই আশা রাখেন তিনি।”  চন্দ্রচূড়ের এই সাফল্য যে জেলার নাম ইতিমধ্যেই অনেকটাই উজ্বল করে তুলেছে সেটা কিন্তু নিশ্চিত। তাই বিদ্যালয়ের এভাবে বাজনা বাজিয়ে কৃতি ছাত্রকে অভিনন্দন জানানোর এই বিষয়টি সকলের সাধুবাদ কুড়িয়েছে।

Sarthak Pandit

Madhyamik 2024 Merit List: যমজেরা কতটা এক রকম হয়? দুই ভাইয়ের মাধ্যমিক রেজাল্টে সব ধারণা ভেঙেচুরে গেল, জানুন আপনিও

বীরভূম: যমজ দুই ভাই। যমজ ছেলের যমজ ফল। জন্মের কয়েক মিনিটের ব্যবধান থাকলেও সাফল্যে যমজ দুই ভাই একই। তবে আশ্চর্যের বিষয় চেহারার মতো দু’জনের ফলাফলেও হুবহু মিল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় দু’জনেই একই নম্বর পেয়েছে ৬৭৭। এ বার তাদের কথায়, দু’জনের দুটি পথ, দুটি দিকে যাবে বেঁকে। কারণ আগামীদিনে একজন হতে চায় ডাক্তার, আর একজন ইঞ্জিনিয়র। দুই ভাই মহম্মদ মোক্তার নাবিল ও মহম্মদ মোক্তার জাহিন যমজ দুই ভাই।

এতদিন একইসঙ্গে পড়াশোনা, একইসঙ্গে খেলাধুলা এবং একইসঙ্গে মাধ্যমিক দিয়েছে। ফলাফলও দুই ভাইয়ের একই, ৬৭৭। রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ তারা। ফলাফলে বাংলায় দু’জনেই পেয়েছে আশ্চর্যজনক ভাবে ৯৮। ইংরাজীতে ৯২। অদ্ভুৎভাবে জীবনের রসায়নের মতো জীবন বিজ্ঞানে ৯৭ ও রসায়নে একই নম্বর।

আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? টানা ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? বদলাচ্ছে আবহাওয়া

নাবিল ও জাহিনের বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজেশ্বর হোসেন জানান, আল্লা আমাকে সব সমান সমান দিয়ে পাঠিয়েছে। জন্মের মতোই তারা যমজ নম্বর পেল। মা নবীনা হোসেন জানান, ওদের যমজ ভাবনার মতোই একজোড়া একইরকম নম্বর। তবে এতদিন তাদের সবকিছু একই থাকলেও এ বার দু’জনের পথ আলাদা হবে। বড়টা ডাক্তার হতে চাইছে, ছোট জন ইঞ্জিনিয়র হতে চায়। আমি ওদের স্বাধীনতাকেই গুরুত্ব দেব।

কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশিক চৌধুরি বলেন, “এ বছরে আমাদের স্কুলের দুটি গৌরব। দুই ভাই সত্যিই খুব ভাল ছাত্র।” পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন ছোট থেকেই দুই ভাই শান্তশিষ্ট এবং ভদ্র। তাদের পড়ার জন্যই ভাল ফলাফল করেছে, সেটা তাদের কাছে আনন্দের।

সৌভিক রায়

Madhyamik 2024: কত পেলে একাদশে ভর্তি? কোন বিষয়ে পেতে হবে কত নম্বর? এবার তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

কলকাতা: গত বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল৷ পরীক্ষা হওয়ার ঠিক ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ এবার কোন বিষয়ে কত নম্বর পেলে একাদশ শ্রেণির কোন শাখায় ভর্তি হওয়া যাবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে কোন বিষয়ে কত নম্বর পেতে হবে, তা ঠিক করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে গেলে মাধ্যমিকে অঙ্কে পেতে হবে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। ফিসিক্স ও কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়তে হলে ভৌত বিজ্ঞানে ন্যূনতম ৩৫ শতাংশ নম্বর৷ বায়োলজি নিয়ে পড়তে গেলে জীবন বিজ্ঞানে পেতে হবে ৩৫ শতাংশ নম্বর।

আরও পড়ুন:মাধ্যমিকে এখন কত নম্বর পেলে পাশ হয় জানেন? পেতে হয় আগের চেয়েও কম…একটু খাটলেই হয়ে যায় মাধ্যমিক পাশ

পাশাপাশি, কমার্স ও আর্টসেরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে ন্যূনতম নম্বর কত হতে হবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে সংসদ। এতদিন সংসদের তরফে জানানো হয়, এতদিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে ন্যূনতম নম্বর নির্দিষ্ট করে বলা হত না৷ এবার থেকে সেমেস্টার সিস্টেম চালু করা হচ্ছে, তাই সংসদের তরফে বিষয় ধরে নম্বর স্পষ্ট করে দেওয়া হল। জানালেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এর সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি৷ পরীক্ষা শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি৷ মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,২৩,০১৩ জন৷ এদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪,০৫,৯৯৪। ছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৬৭৫টি। চলতি বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ পরীক্ষার্থী। এই বছর মাধ‍্যমিকের পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। প্রথম ১০-র কৃতী তালিকায় ছিল মোট ৫৭ জন।

আরও পড়ুন: ‘ভয় পেও না, পালিয়ে যেও না,’ বর্ধমানে দাঁড়িয়েও অমেঠি-রায়বরেলি নিয়ে রাহুল গান্ধিকে খোঁচা মোদির

২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন কোচবিহার থেকে। ওই ছাত্রের নাম চন্দ্রচূড় সেন। সে কোচবিহারের রামগোলা হাই স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সে পেয়েছে ৯৯% নম্বর। দ্বিতীয় পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় হয়েছেন তিনজন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে উদয়ন প্রাসাদ ( বালুরঘাট হাই স্কুল), বীরভূম থেকে পুষ্পিতা বাসুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নৈঋত রঞ্জন পাল (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন)।