Category Archives: শিক্ষা

Higher Studies: পেশাদারী ডিগ্রি নাকি চিরাচরিত অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি? উচ্চ মাধ্যমিকের পর কোনটা বেছে নেবেন! পরামর্শ দিলেন শিক্ষক

উত্তর দিনাজপুর:  সদ‍্য প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ‍্যমিকের ফলাফল। রেজাল্ট হাতে পেয়ে এখন অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের মনে একটাই প্রশ্ন উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর কোন বিভাগে পড়াশোনা করলে কেরিয়ার গড়ার সুযোগ ভাল হবে? পেশাদারী কোনও ডিগ্রি নাকি অ‍্যাকাডেমিক ডিগ্রি? কোনটি করলে কেরিয়ারের জন‍্য ভাল হবে? এই প্রতিবেদনে রইল এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা বেছে নেন পছন্দের বিষয়ের উপর অনার্স-সহ ব্যাচেলার ডিগ্রী করাকে। এই ডিগ্রী অর্জনের পর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার সুযোগ থাকে। আবার বি এড করে শিক্ষকের চাকরিতেও নিযুক্ত হওয়া যায়। ব‍্যাচেলার ডিগ্রি অর্জনের পর বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাতেও থাকে বসার সুযোগ।

আবার অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থী এই সময় এমন বিষয়ে পড়াশুনো করতে চান যে বিষয়ে পড়াশোনার পর কোনও একটি ক্ষেত্রে সহজেই মিলবে চাকরির সুযোগ। তাই অনেকের মনে একটাই প্রশ্ন উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর কোন বিষয়গুলো নিয়ে তারা পড়াশোনা করবেন?

আরও পড়ুন: ফোনের স্টোরেজ ফুল? হ্যাং করছে ফোন? খালি করার ৫ সেরা উপায় জেনে নিন, ঝড়ের গতিতে ছুটবে মোবাইল

এ বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষক প্রভাস সরকার জানালেন, উচ্চ মাধ্যমিকের রেগুলার কোর্স কিংবা প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। প্রফেশনাল কোর্স গুলো করা থাকলে সরকারি চাকরি না হলেও কিছু কিছু কোর্স করলে যেকোনও প্রাইভেট কোম্পানিতে সহজে চাকরি পাওয়ার পথ প্রশস্থ হবে।

এর মধ্যে অন্যতম হল সাংবাদিকতা, ফ্যাশন ডিজাইনিং, নার্সিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে পড়তে পারেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়া যেতে পারে। কিংবা কেউ যদি ভবিষ্যতে আইনজীবিকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় সেই ধাপ অনুযায়ী পড়তে পারে।

এছাড়াও বিটেক (ব্যাচেলার অফ টেকনোলজি) কিংবা বিবিএ ( ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এইসব বিষয় নিয়েও পড়াশোনা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক প্রভাস সরকারের পরামর্শ সর্বপ্রথম আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ তা নিজেকে বুঝতে হবে। সেই বিষয় নিয়েই ভবিষ‍্যতে এগোনো উচিত। আগামী দিনে কোন বিষয় নিয়ে পড়লে অথবা কোন কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করলে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি সাফল্য মিলবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার বদলে নিজের পছন্দ মাফিক বিষয়টিকে বেছে নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করলে আগামীতে অবশ্যই সাফল্য মিলবে।

পিয়া গুপ্তা

HS Result 2024 Topper List: উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে বিপুল পরিবর্তন! মেধাতালিকায় নতুন করে চমক! জীবন বদলে গেল ১২ পড়ুয়ার

কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশের মেধাতালিকায় আরও ১২ জন পড়ুয়া। তিন পড়ুয়ার রাঙ্কিংয়ে বদল। রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জেরে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরও ১২ জন পরীক্ষার্থী মেধাতালিকায় ঢুকে পড়ল। প্রথম দশে তার জেরে মোট ৭০ জন পড়ুয়া স্থান দখল করল।

রিভিউ ও স্ক্রুটনির জেরে পঞ্চম হওয়া পরীক্ষার্থী তৃতীয় স্থান দখল করল। বাঁকুড়ার অঙ্কিত পাল পঞ্চম স্থানে থাকলেও রিভিউয়ের জেরে নম্বর বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয় হল। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রথম পর্য্যায়ে রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করল। তাতেই মেধাতালিকায় বড় পরিবর্তন।

 

আরও পড়ুন: আপনি মানুষ কেমন? হাতের লেখাই বলে দেবে সব! হস্তলিপি দেখে মনের কথা জানুন

গত ৮ মে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার প্রথম দশে মেধাতালিকায় ছিলেন ৫৮ জন। ১৬ মে প্রথম পর্যায়ের স্ক্রুটিনির রেজাল্টের পর এবার মেধাতালিকায় ৭০ জন ঢুকে পড়ল। এবারে মোট ১৫টি জেলা থেকে এই প্রথম দশের পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন। হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। ১৩ জন হুগলি জেলা থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৭ জন। কলকাতা থেকে ৫ জন রয়েছে মেধাতালিকায়।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের পর ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হবেন? পশ্চিমবঙ্গের সেরা কলেজগুলির তালিকা রইল এখানে

পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশিত হয় এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের। ভোটের মরসুমেই ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ বছর পাশের হার ৯০ শতাংশ। বেশ কিছুদিন আগেই শিক্ষা সংসদ জানিয়েছিল, ৮ মে ২০২৪, বুধবার ফলপ্রকাশ হবে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার। চলতি বছরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক। শেষ হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি। এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,৯০,০০০। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Best Colleges in West Bengal: উচ্চ মাধ্যমিকের পর ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হবেন? পশ্চিমবঙ্গের সেরা কলেজগুলির তালিকা রইল এখানে

উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেড়িয়েছে। বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের অধিকাংশই মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হবেন। তাঁদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেরা সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তালিকা এখানে দেওয়া হল। রইল ভর্তির পদ্ধতি, প্রবেশিকা পরীক্ষা, প্লেসমেন্টের খুঁটিনাটি।
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেড়িয়েছে। বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের অধিকাংশই মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হবেন। তাঁদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেরা সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তালিকা এখানে দেওয়া হল। রইল ভর্তির পদ্ধতি, প্রবেশিকা পরীক্ষা, প্লেসমেন্টের খুঁটিনাটি।
পশ্চিমবঙ্গের সেরা মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি মেডিক্যাল কলেজ হল - বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, এইমস কল্যাণী, কলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা, আইপিজিএমইআর কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি মেডিক্যাল কলেজ হল – বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, এইমস কল্যাণী, কলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা, আইপিজিএমইআর কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল -- বিসিডিএ কলেজ অফ ফার্মেসি অ্যান্ড টেকনোলজি, হৃদয়পুর, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, বিআইপিএস কল্যাণী, ব্রেনওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত প্রযুক্তি, হাওড়া
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল — বিসিডিএ কলেজ অফ ফার্মেসি অ্যান্ড টেকনোলজি, হৃদয়পুর, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, বিআইপিএস কল্যাণী, ব্রেনওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত প্রযুক্তি, হাওড়া
পশ্চিমবঙ্গের সেরা পলিটেকনিক কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি পলিটেকনিক কলেজ হল - জেআইএস স্কুল অফ পলিটেকনিক, কলকাতা, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, ব্রেনওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, বিবিআইটি কলকাতা, ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা পলিটেকনিক কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি পলিটেকনিক কলেজ হল – জেআইএস স্কুল অফ পলিটেকনিক, কলকাতা, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, ব্রেনওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, বিবিআইটি কলকাতা, ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা M.B.B.S কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি M.B.B.S কলেজ হল - বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়াকলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল, কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা, জেআইএমএসএইচ, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা M.B.B.S কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি M.B.B.S কলেজ হল – বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া
কলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল, কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা, জেআইএমএসএইচ, কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা বি.টেক কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বি.টেক কলেজ হল - আইআইইএসটি শিবপুর, আইআইটি খড়গপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, এনআইটি দুর্গাপুর, আইইএম কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা বি.টেক কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বি.টেক কলেজ হল – আইআইইএসটি শিবপুর, আইআইটি খড়গপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, এনআইটি দুর্গাপুর, আইইএম কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হল - আনন্দ মোহন কলেজ, কলকাতা, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস নার্সিং কলেজ, কলকাতা, অন্তরা ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস, কলকাতা, বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজ, বাঁকুড়া
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হল – আনন্দ মোহন কলেজ, কলকাতা, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি, কলকাতা, অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস নার্সিং কলেজ, কলকাতা, অন্তরা ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস, কলকাতা, বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজ, বাঁকুড়া
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল - গার্গী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, বারুইপুর, আইইএম কলকাতা, বিপিপিআইএমটি, এমসিকেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, হাওড়া, অ্যাবাকাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, হুগলি
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল – গার্গী মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, বারুইপুর, আইইএম কলকাতা, বিপিপিআইএমটি, এমসিকেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, হাওড়া, অ্যাবাকাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, হুগলি
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হল - বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, এইমস কল্যাণী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান, কলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল, কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হল – বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, এইমস কল্যাণী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান, কলেজ অফ মেডিসিন এবং জেএনএম হাসপাতাল, কল্যাণী, সিএনএমসি কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল - আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় পলিটেকনিক, কলকাতা, আশুতোষ কলেজ, কলকাতা, বাঘমুন্ডি সরকারি পলিটেকনিক, বাগমুন্ডি, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ, দুর্গাপুর
পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হল – আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় পলিটেকনিক, কলকাতা, আশুতোষ কলেজ, কলকাতা, বাঘমুন্ডি সরকারি পলিটেকনিক, বাগমুন্ডি, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ, দুর্গাপুর
পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির ভর্তির মানদণ্ড: বি.টেক পড়ার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিতে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির ভর্তির মানদণ্ড: বি.টেক পড়ার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিতে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
এম. টেক কোর্সের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই বি.টেক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ পেতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই JEE Main, JEE Advanced, GATE, UKSEE ইত্যাদি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
এম. টেক কোর্সের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই বি.টেক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ পেতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই JEE Main, JEE Advanced, GATE, UKSEE ইত্যাদি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
প্রবেশিকা পরীক্ষায় যথাযথ কাটঅফ নম্বর থাকলে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং সেশন এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলির ভর্তির মানদণ্ড: প্রার্থীদের অবশ্যই NEET-UG, NEET-PG ইত্যাদি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এরপর পছন্দসই প্রতিষ্ঠান বা কলেজের ফর্ম পূরণ করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
প্রবেশিকা পরীক্ষায় যথাযথ কাটঅফ নম্বর থাকলে প্রার্থীদের কাউন্সেলিং সেশন এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলির ভর্তির মানদণ্ড: প্রার্থীদের অবশ্যই NEET-UG, NEET-PG ইত্যাদি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এরপর পছন্দসই প্রতিষ্ঠান বা কলেজের ফর্ম পূরণ করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

Artificial Intelligence: বাড়ছে AI-এর ব‍্যবহার! আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে পড়তে চান? কোথায় রয়েছে সুযোগ? জেনে নিন

বসিরহাট: সভ্যতার অগ্রগ্রতির সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে ছোট বড়ো যেকোনও কাজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলদারি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছে এটাই ভবিষ্যত।

বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা ও অটোমোবাইল পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আমাদের জীবনকেও তাই আগের চেয়ে অনেক সহজ করে তুলেছে। সেজন্য আগামী দিনে এআই নিয়ে কেরিয়ারের যে উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকবে তুঙ্গে তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন: ১০০ টাকাও নয়! শাহরুখ খানের ‘প্রথম আয়’ কত ছিল জানেন? কোটি টাকার মালিকের প্রথম রোজগার শুনলে বিশ্বাস হবে না

এ আই নিয়ে কেরিয়ার গড়তে হলে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক। এরপর স্নাতক স্তরে ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। যার সঙ্গে পড়ুয়ারা এআই-এর কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে আরও উচ্চশিক্ষায় এগোতে পারে।

রাজ্যের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।

  • আইআইটি খড়গপুর,
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়,
  • কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,
  • ব্রেন ওয়ার ইউনিভার্সিটি,
  • নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
  • শিলিগুড়ি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি

সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে এই বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

জুলফিকার মোল্যা

Supreme Court On VC Recruitment: ২১ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে রাজ্যপালকে, ‘সময়সীমা’ নির্দিষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা: রাজ্যপালকে ২১ টি বিশবিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারের মধ্যেই তাঁর কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যপালকে। দ্রুত ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে পুরোনো নির্দেশ মেনেই।এমনটাই দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।

রাজ্যের সুপারিশ দেওয়া নাম থেকেই রাজ্যকে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপালকে। দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। উপাচার্য নিয়োগ মামলা শীর্ষ আদালত আবার শুনবে আগামী শুক্রবার। শুক্রবার রাজ্যপালকে ২১ টি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য নিয়োগ করার ব্যাপারে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত এরইমধ্যে রাজ্যের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়, তারকেশ্বর রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজ্যের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷

রাজভবন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক কল্লোল মজুমদার। হুগলির তারকেশ্বর রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশুতোষ ঘোষকে। অর্থাৎ, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন একজন-ই ৷

HS Result 2024: বিরল রোগে বেঁকে গিয়েছে মেরুদণ্ড! অদম্য জেদকে সঙ্গী করেই উচ্চ মাধ্যমিকে সফল জয়দীপ

দক্ষিণ দিনাজপুর: বিরল দুরারোগ্য অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিসের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো সাফল্য বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র জয়দীপ সামন্তের। মার্কশিট বলছে ৫০০ এর মধ্যে ৪৮২। যা সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। জয়দীপের এই নম্বর তাঁর স্কুল বালুরঘাট হাইস্কুলের মধ্যে সেরা। এমনকি জেলার মধ্যেও সম্ভাব্য প্রথম বলেই জানা গিয়েছে। মাত্র ৫ নম্বরের জন্য রাজ্যের দশজনের মেধাতালিকায় আসতে পারেনি জয়দীপ। ভবিষ্যতে জয়দীপ আই এস অফিসার হতে চায়।

সে গত তিন বছর ধরে অ্যানকিওলজিং স্পন্ডেলাইটিসের সঙ্গে লড়াই করছে। স্কুল-সহ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন তার শারীরিক অবস্থা হয়ত তাকে পরীক্ষায় বসতে দেবে না। কিন্তু সেই ধারণাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ৯৬. ৪ শতাংশ নম্বর জয়দীপের। যদিও প্রিয় ইতিহাস বিষয়ে তাঁর নম্বর কম আসায় হতাশ জয়দীপ। বালুরঘাট শহরের উত্তরায়ন ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিতি রয়েছে। মাধ্যমিকে এসেছিল ৬৬০ নম্বর।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

কিন্তু, মাধ্যমিকের পর থেকে শরীরে বাসা বাঁধে অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিস। বেঁকে যাচ্ছিল গোটা শরীর। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটাই যেন ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছিল। নানা জায়গায় দেখানো হয় ডাক্তার। চলতে থাকে চিকিৎসা। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে উচ্চ মাধ্যমিক।৫০ শতাংশের ওপরে শারীরিক অক্ষমতার শিকার সে। কিন্তু পড়াশোনার কাছে সবই তুচ্ছ তাঁর জন্য। যে ছেলেটি শারীরিক সমস্যার জন্য স্কুলের টেস্ট পরীক্ষা ঠিকমতো দিতে পারেনি।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

তিন বছর আগেও জয়দীপের উচ্চতা ছয় ফিটের উপরে ছিল। কিন্তু তাঁর মেরুদন্ড বেঁকে যাওয়ায় এখন উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি কমে এসেছে। এমনকি তখন শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। পরীক্ষার সময় ডান হাতে লিখতে তাঁর যথেষ্ট সমস্যা হয়েছে। বাম হাত দিয়ে ডান হাত চেপে মাথা বেঞ্চে ঠেকিয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছে। কুইজেও সে তুখোর। মালদা ডিভিশনের থেকে কুইজ চ্যাম্পিয়ন সে। ঐতিহাসিক গল্প কাহিনী-সহ বিভিন্ন গল্পের বই তাঁর প্রিয়। জয়দীপের এই তাক লাগানো রেজাল্টে স্বভাবতই খুশি পরিবারের সদস্য-সহ বালুরঘাট হাই স্কুলের শিক্ষকেরাও।

সুস্মিতা গোস্বামী

HS Result 2024: বাবা পরি‌যায়ী শ্রমিক, মা চা বাগানের দিনমজুর! ঘর সামলেও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য দীপশিখার

আলিপুরদুয়ার: সংসারের হাল ফেরাতে পাশাপাশি মেয়ের পড়াশুনো আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন বাবা, মা চা বাগানের শ্রমিক, সকাল হতেই বাগানের কাজে বেরিয়ে পড়েন।এরপরই একা হাতে ঘরের কাজ সামলে সময়মতো পড়াশুনো করে উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করেছে দীপশিখা লামা।সে কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের গুম্বা লাইনের বাসিন্দা।উচ্চমাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৮।সে কালচিনি হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্রী। চা বাগানের মেয়ে দীপশিখা লামার এই ফলাফলে খুশি তার পরিবারের সদস্যদের থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারাও।

দীপশিখার বাবা পূর্বে বাগানের শ্রমিক ছিলেন, তবে সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আর মা এখনও কাজ করছেন বাগানে। ফলে একা হাতেই ঘর সামলাতে এবং ছোট বোনকে দেখাশোনা করতে হত দীপশিখাকে। এর মাঝেই সময় বের করে পড়াশোনা চালিয়ে যেত সে।স্কুল শিক্ষক ও গৃহ শিক্ষকদের সহায়তায় এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৩৮ নম্বর পেয়েছে সে। যারমধ্যে হিন্দিতে ৮৫, ইংরেজিতে ৯০, ভূগোলে ৮৫, ইতিহাসে ৮৪ এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সে ৯৪ নম্বর পেয়েছে দীপশিখা।আগামীতে পলিটিক্যাল সায়েন্সে অনার্স করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি আমলা হতে চায় সে।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

এ বিষয়ে দীপশিখার মা শ্যামনা লামা বলেন, ‘দুই মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য আমরা কষ্ট করছি। ঘর সামলানোর পাশাপাশি দীপশিখা যে এত ভাল ফল করবে তা আমরা সত্যি ভাবিনি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে চায় আমরা করব।’

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

অন্যদিকে, দীপশিখা লামা বলেন, ‘মা বাগানে কাজে যাওয়ায় ঘরের কাজ করতে হত। ফলে নিয়মিত সময় করে পড়াশোনা করা হত না।তবে পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে সব ভুলে কয়েকঘণ্টা পড়াশোনা করেছি, আর তারই ফল হয়তো আমার এই নম্বর।পরিবারের সদস্যরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহায়তায় এই অর্জন আমার।’ এক চা বাগানের মেয়ে এরূপ ফল করায় খুশি এলাকার সকলে। দীপশিখার বাড়ি এসে তাকে এবং তার মা সংবর্ধনা জানান গ্রামবাসীরা।

Annanya Dey

Madhyamik Result 2024: মারা গেছেন বাবা, চরম আর্থিক-অনটনেও মাধ্যমিকে বিরাট সাফল্য, দীপার পারিবারিক রোজগার শুনলে অবাক হবেন!

নিশিগঞ্জ: কোচবিহার জেলার নিশিগঞ্জ এলাকার এক অভাবী কিন্তু মেধাবী পড়ুয়ার নাম দীপা ভৌমিক। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬২২ নম্বর পেয়ে সকলকে অবাক করেছে দীপা। দীপার বাবা মারা গিয়েছেন তাঁর ক্লাস এইটে পড়ার সময়। তাঁর মা বর্তমান সময় গোটা সংসার পরিচালনা করেন। প্লাইবোর্ডের জন্য পাতি কাটার দিন মজুরির কাজ করেই সংসার চলে তাঁদের। দিনে পঞ্চাশ থেকে একশো টাকা উপার্জন হয়। তাই দিয়েই চলে মা-মেয়ের খাওয়া খরচ। তবে এত অভাবের মাঝেও দীপার এই সাফল্য একরাশ খুশি বয়ে নিয়ে এসেছে তাঁর বাড়িতে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় দীপা। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে দীপার। তবে এই স্বপ্ন পূরণে প্রধান বাধাই হল আর্থিক যোগান।

দীপা জানায়, “তাঁদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। মায়ের উপার্জনে কোনও রকমে সংসার চলে তাঁদের। খাওয়া খরচটুকু জোগাড় করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে পড়াশোনার খরচ যোগানো তাঁর মায়ের পক্ষে চাপের বিষয়। তবে তার ইচ্ছে রয়েছে সায়েন্স বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে। ভবিষ্যত দিনে একজন ভাল মানের চিকিৎসক হয়ে পরিবারের এবং এলাকার মুখ উজ্জ্বল করা। তবে এই বিষয়ে তার সামনে একটাই বাধা। তা হল আর্থিক যোগান।”

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

দীপার মা শঙ্করী ভৌমিক জানান, “পাতি কেটে সামান্য আয় হয়। সঙ্গে ভাতার এক হাজার টাকা পাই। সেই দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ের পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে সেই দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে।” স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সে। আর তখনই শিক্ষকদের নজরে আসে দীপার করুণ আর্থিক অবস্থার কথা।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

দীপার পরিবারের এই আর্থিক অবস্থার কথা জানতে পেরে নিশিময়ী হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসেছে। দীপা যাতে বিনা খরচে স্কুলে পড়তে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম পোদ্দার। দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ার একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বইপত্র-সহ বাকি খরচের কিছু দায়িত্ব স্কুলের শিক্ষকরাই সামলাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া দীপার কয়েকজন গৃহ শিক্ষকও দীপার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

Sarthak Pandit

CBSE Class 12th Result Out: CBSE দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত, সামান্য বাড়ল পাশের হার! ছেলেদের পিছনে ফেলল মেয়েরা

কলকাতা: প্রকাশিত হল সিবিএসই ২০২৪-এর দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল। ফলাফলে ফের একবার ছেলেদের পিছনে ফেলল মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৯১ শতাংশ। পাশের হারও গত বছরের তুলনায় খানিকটা বাড়ল। এবছর পাশের হার ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৮৭.৩৩ শতাংশ। পরীক্ষার্থীরা cbseresults.nic.in থেকে নিজেদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

CBSE দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার ডিরেক্ট লিঙ্ক – ক্লিক করুন এখানে cbseresults.nic.in। বিগত বছরগুলির মতো এবারও অনলাইনে ফল দেখতে পারবে পড়ুয়ারা। যে ওয়েবসাইটগুলিতে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশের রেজাল্ট দেখা যাবে সেগুলি হল cbse.nic.in, cbseresults.nic.in, cbseresults.gov.incbse.gov.in

আরও পড়ুন: পরীক্ষায়-প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লে সন্তানকে কী বলেন? না জানলে বড় ক্ষতি হতে পারে! রইল জরুরি টিপস

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা। ক্লাস ১০-এর পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মার্চ। অন্যদিকে, ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা। এবার দু’টি ক্লাস মিলিয়ে প্রায় ৩৯ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দেয়। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলেছে ক্লাস ১০ ও ১২-র পরীক্ষা।

আরও পড়ুন: চামড়া বুড়িয়ে যাচ্ছে? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল সিক্রেট টিপস

বেশ কয়েক দিন ধরেই সিবিএসই-র ফলাফল কবে বেরোবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এই আবহে সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি। বিষয়টি চোখে পড়ার পর এই নিয়ে সাবধান করেছিল সিবিএসই। অবশেষে প্রকাশিত হত দ্বাদশের ফল। এবার পালা সিবিএসই দশমের।

Higher Secondary Result 2024: সর্বভারতীয় জয়েন্টে ৪৬০ ব়্যাঙ্ক! উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য বিরল রোগে আক্রান্ত ঋদ্ধিমার

মালদহ: হুইলচেয়ারে বসেই স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ঋদ্ধিমা। একা কিছুই করতে পারেন না, ওঠাবসা থেকে সমস্ত কিছুর জন্য অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। এমনকি নিজে বই খুলে পড়তে পারেন না। তাতেও অন্যের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। জীবনযুদ্ধে লড়াই চালিয়ে মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও নজরকাড়া রেজাল্ট। ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সর্বভারতীয় জয়েন্ট মেইনস পরীক্ষায় ৪৬০ ব়্যাঙ্ক করেছেন বিরল রোগে আক্রান্ত ঋদ্ধিমা পাল। ঋদ্ধিমা  বলেন, “আরও একটু ভাল ফল আশা করেছিলাম। অন্যান্যদের মতো আমি বেশিক্ষণ পড়াশোনা করতে পারি না। আমার মা-বাবা, দাদু সকলে আমাকে সাহায্য করেন। আগামীতে আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।”

মালদহের ইংরেজবাজার শহরের এক নম্বর গর্ভমেন্ট কলোনী বাসিন্দা ঋদ্ধিমা পাল। শহরের বার্লো গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। বাবা রাজীব পাল পেশায় পুলিশকর্মী। মা অরুণিতা পাল গৃহবধূ। তাঁদের দুই ছেলে মেয়ে। ঋদ্ধিমা বড়।জন্ম থেকেই জিনের বিরল রোগ স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফিতে আক্রান্ত ঋদ্ধিমা। নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এমনকি উঠতে বসতে পর্যন্ত পারেন না। হুইল চেয়ারে বসেই চলাফেরা থেকে সমস্ত কিছু করতে হয়। নিজের হুইলচেয়ার এবং টেবিলে বসেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মা অরুণিতা  বলেন, “মেয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে। একবার অস্ত্রোপচার পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও মেয়ে ধারাবাহিক ভাল ফল করছে। ওর এমন সাফল্যে আমরা খুব খুশি।”

আরও পড়ুন: ক্যানসারও বাধা হতে পারেনি! মাধ্যমিকে চমক শৈবালের, চোখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন

আরও পড়ুন: শরীরের ক্যানসারের বাস! মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে মাধ্যমিক পাশ রাখির

সাধারণ পড়ুয়াদের মতো নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারেন না। টানা এক ঘণ্টার বেশি বসে থাকতে পারেন না হুইলচেয়ারে। তাই সেভাবে পড়াশোনাও করা হয় না। কিন্তু মনের জোর ও প্রচেষ্টায় একের পর এক সাফল্য ঋদ্ধিমার। মাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। তারপর উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেছেন। আগামীতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। বাবা রাজীব বলেন, “মেয়ের এমন সাফল্যে আমি গর্বিত। মেয়েকে আমি সময় দিতে পারি না। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ আমার স্ত্রীর।”

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে জয়েন্ট মেইনসে ভাল ফল। নিজের শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি জীবন যুদ্ধের লড়াই শামিল হার না মানা ঋদ্ধিমা।

হরষিত সিং