তীব্র দাবদাহে উথালপাথাল গোটা দেশ। তাপমাত্রার পারদ যত চড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসুস্থতা। গত এক সপ্তাহে বমি ও ডায়রিয়া নিয়ে শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হয়েছে বিপুল সংখ্যক শিশু। গরমের মরশুমে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়। এই পরিস্থিতিতে শিশুর যত্নে অভিভাবকদের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো মাথায় রাখলে শিশু সুস্থ ও নীরোগ থাকবে।
মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া মরশুমি রোগ নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে গবেষণা করছেন মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. সাভেরা সালাম। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে ৪টি বিষয়ের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। প্রথমত, এই সময় বাড়িতে বিশুদ্ধ জল পান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাজা, টাটকা খাবার খেতে হবে। তৃতীয়ত, খোলা অবস্থায় রেখে দেওয়া খাবার খাওয়া চলবে না। চতুর্থত, অসুস্থ বোধ করলে অবিলম্বে জেলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ৪টি বিষয় মেনে চলতে পারলে রোগ আশপাশে ঘেঁষতে পারবে না।
বাড়িতে বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। শুধু শিশুরা নয়, বড়দেরও মেনে চলতে হবে। এগুলোর খেয়াল না রাখলে শিশুরা বমি ও ডায়রিয়ার শিকার হতে পারে। গরম কালে এই ধরনের রোগে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া গরমে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
গত এক সপ্তাহে বমি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বুরহানপুরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক শিশু। প্রত্যেকেই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক ভূপেন্দ্র গৌর জানান, জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
শহরের এক ডজনের বেশি ওয়ার্ডের অধিকাংশ শিশুই অসুস্থ। যার মধ্যে রয়েছে নাগঝিরি, বুধওয়াড়া, সিন্দিপুরা, দুর্গা ময়দান, খেরাটি বাজার, শিকারপুরা, প্রগতি নগর, শানওয়ারা, আজাদ নগর এলাকা ইত্যাদি।