পাহাড়ি রাস্তায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Darjeeling News: এই বাড়িতেই শেষ জন্মদিন কাটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ! একফাঁকে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু

দার্জিলিং: মংপুর টানে বার বার ছুটে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। দার্জিলিং পাহাড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মংপু। প্রতি বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীতে সেজে ওঠে মংপু। সামনেই রবীন্দ্র জয়ন্তী। তাই ২৫ বৈশাখের কথা মাথায় রেখে ভবন সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। প্রচুর পর্যটক  ছুটে যান মংপুতে। আর মংপুতে আসা মানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ভবন না দেখে ফেরেন না কেউ। পাহাড়ের কোলে মংপুতে এই ভবনে বিশ্বকবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম।

মংপু মানেই যেন মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি। ১৯৪৪ সালের ২৮ মে বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এই বাড়িতে বসেই কবি ‘ছেলেবেলা’, ‘নবজাতক’, ‘জন্মদিন’ প্রভৃতি কবিতা লেখেন কবি। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে কবি চার বার আসেন মংপুতে। বাড়ির সামনের উন্মুক্ত সবুজ বাগান থেকে সামনের পাহাড়ে রঙ, রোদের খেলা দেখতে দেখতে পর্যটকরা উপলব্ধি করতে পারবেন কেন কবি বারবার এসেছেন মংপুতে।

আরও পড়ুন Indian Railway: রেলের এই কোডগুলো জেনে টিকিট কাটেন? ভাড়া থেকে ট্রেনযাত্রা হবে সুখের!

রবীন্দ্রভবনের তত্ত্বাবধায়ক কুশল রায় বলেন, “এই বাড়িতে শেষ জন্মদিন কাটিয়েছিলেন রবিঠাকুর। মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি এখন পর্যটকদের ভীষণ পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরই আমরা রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে পালন করে থাকি। এ বছরও ধুমধাম করেই পালন করা হবে রবি ঠাকুরের জন্মদিন।” কলকাতা হাতিবাগান থেকে ঘুরতে এসে এক পর্যটক দীপাঞ্জলি ভুঁইয়া বলেন, ” মংপুর কথা অনেক শুনেছিলাম। মংপু মানেই রবীন্দ্রনাথ। আমরা সিটং এ ঘুরতে এসেছিলাম ।সেখান থেকে আজ রবীন্দ্র ভবন ঘুরে দেখলাম। দারুণ ভাল লাগল। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হল।”

অনির্বাণ রায়