Tag Archives: Rabindra Jayanti

Rabindranath Tagore: দেশলাই কাঠি দিয়ে তৈরি কবিগুরু! মালা তৈরি হয়েছে…অন‍্যরকম রবিবরণ! চমকে দিলেন শিল্পী

মালদহ: দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে তৈরি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। কলমের ঢাকনা দিয়ে তৈরি মালা দিয়ে বরণ করা হয়েছে কবিগুরুকে। এক অসাধারণ চিত্র কলা শিল্পীর ভাবনায়। এমনটাই দেখা মিলল রবীন্দ্র মেলায়।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে শুধুমাত্র যে রবীন্দ্রনাথের নাচ গান দিয়েই তার প্রতি সম্মাননা জ্ঞাপন করা যায় তা নয়, তার ব্যতিক্রমী কিছু করে দেখাল পুরাতন মালদহের একটি লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রবীন্দ্রনাথ’।

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছোট্ট দানা ক‍্যালসিয়ামের ভাণ্ডার! হাড় মজবুতের সঙ্গেই নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিস? ধারে কাছে ঘেঁষবে না কোলেস্টেরল

রবীন্দ্র নৃত্য থেকে গানের আসর তো বসেছিলই পাশাপাশি ছিল রবীন্দ্রনাথ কেন্দ্রিক নানান সামগ্রী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানান সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হয়েছে পুরাতন মালদহের বাণী ভবন টাউন লাইব্রেরী। ১৭-১৮ মে এই রবীন্দ্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে। কি নেই এই রবীন্দ্র মেলায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একগুচ্ছ লেখনি সামগ্রী থেকে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাধিক লেখা। বিভিন্ন বয়সের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি। এছাড়াও এখানে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের গলায় গাওয়া গানের রেকর্ডিং, ক্যাসেট, গ্রামফোন সহ বিভিন্ন সামগ্রী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়া কয়েন-সহ সব থেকে ছোট গীতাঞ্জলি। গ্রন্থাগারিক সুবীর কুমার সাহা বলেন, এই প্রথম মালদহে রবীন্দ্র মেলার আয়োজন করা হল। তবে এই রবীন্দ্র মেলায় সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে তৈরি কবিগুরুর প্রতিকৃতি। যা ছোট বড় সকলকেই মুগ্ধ করেছে। কচিকাঁচা থেকে বড় প্রায় সমস্ত বয়সের মানুষ এখানে ভিড় করেন।

হরষিত সিংহ

Gulzar spoke to Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বললেন গুলজার! মিলিয়ে দিলেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ

কলকাতা: একশো বছর পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কথা বলার প্রয়াস। যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা কবিতার হাত ধরে। এক শতাব্দী আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতে চেয়েছিলেন এক শতাব্দী পর কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। সেই উত্তর তিনি পেলেন সৌরেন্দ্র এবং সৌম্যজিতের সৃষ্টির হাত ধরে। শৈল্পিক নির্মাণে এক সূত্রে বাধা পরলেন রবীন্দ্রনাথ এবং গুলজার। প্রায় এক শতাব্দী পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কবিতার উত্তর দিলেন বিশিষ্ট কবি -গীতিকার গুলজার। ভিডিওটি প্রকাশিত হল সৌরেন্দ্র এবং সৌম্যজিতের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। উপরি পাওনা রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি।

আরও পড়ুন: দিল্লির কাছে হারের পরে শাস্তি হল সঞ্জু স্যামসনের, বিপাকে রাজস্থানের অধিনায়ক

কী ভাবে এই ভাবনা তাঁদের মাথায় আসে জানালেন সৌরেন্দ্র এবং সৌম্যজিৎ। তাঁরা বললেন, “আমরা সব সময় আমাদের কল্পনার ক্যানভাস আরো সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করে থাকি। একসঙ্গে গত কুড়ি  বছর ধরে আমরা সঙ্গীত নিয়ে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে চলেছি। লকডাউনের সময়, অজানা মুম্বাইয়ের একটি নম্বর থেকে একটি ফোন আসে এবং ফোনের অপর প্রান্তে একটা ব্যারিটোন ভয়েস ছিল যিনি আমাদের কাজের খোঁজ রাখেন।  কয়েক মিনিটের মধ্যে, কণ্ঠস্বর বুঝতে ভুল হয়নি উনি ছিলেন গুলজার সাহেব। কিছু কমন বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছিলেন। ভালো লাগে শুনে, আমরা একসঙ্গে কিছু তৈরি করতে পারি কিনা এমন একটা খোলা আমন্ত্রণ জানিয়ে যখন ফোন রাখেন।এর পর আসে বেশ কিছু  সঙ্গীত, কবিতা আদান প্রদানের পালা, একে অপরকে কিছুটা চিনে নেওয়ার প্রয়াস। ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা যা তিনি শতবর্ষ পরে কোনো এক কল্পলোকের কবিকে উদ্যেশ্য করে লিখে গেছেন, যে একশো বছর পরে কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। নিজের প্রাসঙ্গিকতা বুঝে নেওয়ার এ এক শৈল্পিক কৌশল মাত্র! আর আমরা ঠিক করেছিলাম গুরুদেব তাঁর রেখে যাওয়া এই প্রশ্নের  উত্তর যেন খুঁজে পান গুলজার সাহেবের লেখায়। সেই মোতাবেক গুলজার সাহেবেকে অনুরোধের ফলে জন্ম নেয় একটা নতুন কবিতা। যা তিনি নিজেই পাঠ করেছেন এই ভিডিওতে।যেন শতবর্ষ পরে অন্য এক শতাব্দীর কবি গুরুদেবের সাথে আলোচনা করছেন। উত্তর দিচ্ছেন তাঁর রেখে যাওয়া সব প্রশ্নের।”

আরও পড়ুন: গিনেস বুকে নাম তোলার শখ বলে বেছে নিলেন গাছকে, কী করলেন যুবক?

রবীন্দ্রনাথ নিজেও নিজের কণ্ঠেও কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় ওঁনার কাছেও কবিতাটার গুরত্ব কতটা ছিল! এই ভিডিওটিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠের নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক যেন দুই কবির হঠাৎ দেখা কবিতার পথ ধরে।  সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ বললেন, “আমরা খুশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছি আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। আশা করি সকল রবীন্দ্রানুরাগী তথা সাহিত্য প্রেমীদের কাছে এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাবে।”

অন্য দিকে গুলজার বললেন, “সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ দু’জনই খুব সৃজনশীল। ওদের ইচ্ছা ছিল যদি গুরুদেবের ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে’, এই কবিতাটির  একটা উত্তর আমি লিখি। কিন্তু আমার এত ক্ষমতা নেই যে গুরুদেবকে উত্তর দেব। তা-ও একটা লেখা লিখেছি যে আজও ওঁর কবিতা আমরা পড়ি, আজও তিনি ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক, তাই তো আজও ওঁনার গান, কবিতা আমরা চর্চা করি। হয়তো গুরুদেব এই হোম ওয়ার্কটা করতে দিয়েছিলেন আমায়!”

সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ জুটির বিশেষ প্রয়াস, এক সূত্রে বাধা পরলেন রবীন্দ্রনাথ এবং গুলজার

কলকাতা: একশো বছর পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মুখোমুখি! এক শতাব্দী আগে গুরুদেব জানতে চেয়েছিলেন এক শতাব্দী পর কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। তাঁর সৃষ্টির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে তাঁর নিজের রচনায় কোনও এক কল্পলোকের কবির উদ্দেশ্য রেখে গিয়েছিলেন এই কবিতা। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী জুটি সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ-এর শৈল্পিক নির্মাণে এক সূত্রে বাধা পরলেন রবীন্দ্রনাথ এবং গুলজার। প্রকাশ পেল বিশেষ ভিডিও সৌরেন্দ্র- সৌম্যজিৎ এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। উপরি পাওনা রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি! কী ভাবে এই চিন্তা মাথায় আসে জানালেন সৌরেন্দ্র- সৌম্যজিৎ। তাঁরা বললেন, ” আমরা সবসময় আমাদের কল্পনার ক্যানভাস আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি। একসঙ্গে গত কুড়ি বছর ধরে সঙ্গীত, সুর, নতুন, নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ করে চলেছি। সঙ্গীতকে মাধ্যম করে সবসময় বৃহত্তর শিল্পকর্ম তৈরি করতে পছন্দ করে এসেছি।”

তাঁরা জানাচ্ছেন যে লকডাউনের সময়, মুম্বইয়ের একটি অজানা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে এবং কলের অপর প্রান্তে একটা ব্যারিটোন ভয়েস ছিল যিনি তাঁদের কাজের খোঁজ রাখেন। তিনি ছিলেন গুলজার সাহেব। তাঁদের একসঙ্গে কিছু তৈরি করতে পারি কিনা এমন একটা খোলা আমন্ত্রণ জানিয়ে যখন ফোন রাখেন। এর পর আসে বেশ কিছু সঙ্গীত, কবিতা আদান প্রদানের পালা, একে অপরকে কিছুটা চিনে নেওয়ার প্রয়াস।

 

ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা যা তিনি শতবর্ষ পরে কোনও এক কল্পলোকের কবিকে উদ্যেশ্য করে লিখে গিয়েছেন, যে একশো বছর পরে কে তাঁর কবিতা পড়ছেন। নিজের প্রাসঙ্গিকতা বুঝে নেওয়ার এ এক শৈল্পিক কৌশল মাত্র! সেই মোতাবেক গুলজার সাহেবেকে অনুরোধের ফসল স্বরূপ জন্ম নেয় একটা নতুন কবিতা। যা তিনি নিজেই পাঠ করেছেন  ভিডিওটিতে। যেন শতবর্ষ পরে অন্য এক শতাব্দীর কবি গুরুদেবের সঙ্গে আলোচনা করছেন। উত্তর দিচ্ছেন তাঁর রেখে যাওয়া সব প্রশ্নের।

রবীন্দ্রনাথ নিজেও স্বকন্ঠে কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় ওঁনার কাছেও কবিতাটার গুরত্ব কতটা ছিল! এই ভিডিওটিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথের কন্ঠের নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিক যেন দুই কবির হঠাৎ দেখা কবিতার পথ ধরে।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এই ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে তাঁদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।

আরও পড়ুনSreedevi’s House At Rent: এবার ভাড়ায় শ্রীবেদীর Luxury বাড়িতে থাকতে পারবেন আপনিও! দরজা খুলে দিলেন জাহ্নবী

অন্যদিকে গুলজার সাহেব বললেন, ” সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ দুজনই খুব ক্রিয়েটিভ। ওঁদের ইচ্ছা ছিল যদি গুরুদেবের ‘আজি হতে শতবর্ষ পরে’, এই কবিতাটির একটা উত্তর আমি লিখি। কিন্তু আমার এত ক্ষমতা নেই যে গুরুদেবকে উত্তর দেব। তাও একটা লেখা লিখেছি যে আজও ওঁর কবিতা আমরা পড়ি, আজও তিনি ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক, তাই তো আজও ওঁনার গান, কবিতা আমরা চর্চা করি। হয়তো গুরুদেব এই হোম ওয়ার্কটা করতে দিয়েছিলেন আমায়!”রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে এ এক পরম প্রাপ্তি বলা যায়!

Darjeeling News: এই বাড়িতেই শেষ জন্মদিন কাটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ! একফাঁকে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু

দার্জিলিং: মংপুর টানে বার বার ছুটে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। দার্জিলিং পাহাড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মংপু। প্রতি বছর রবীন্দ্র জয়ন্তীতে সেজে ওঠে মংপু। সামনেই রবীন্দ্র জয়ন্তী। তাই ২৫ বৈশাখের কথা মাথায় রেখে ভবন সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে। প্রচুর পর্যটক  ছুটে যান মংপুতে। আর মংপুতে আসা মানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত ভবন না দেখে ফেরেন না কেউ। পাহাড়ের কোলে মংপুতে এই ভবনে বিশ্বকবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম।

মংপু মানেই যেন মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি। ১৯৪৪ সালের ২৮ মে বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এই বাড়িতে বসেই কবি ‘ছেলেবেলা’, ‘নবজাতক’, ‘জন্মদিন’ প্রভৃতি কবিতা লেখেন কবি। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে কবি চার বার আসেন মংপুতে। বাড়ির সামনের উন্মুক্ত সবুজ বাগান থেকে সামনের পাহাড়ে রঙ, রোদের খেলা দেখতে দেখতে পর্যটকরা উপলব্ধি করতে পারবেন কেন কবি বারবার এসেছেন মংপুতে।

আরও পড়ুন Indian Railway: রেলের এই কোডগুলো জেনে টিকিট কাটেন? ভাড়া থেকে ট্রেনযাত্রা হবে সুখের!

রবীন্দ্রভবনের তত্ত্বাবধায়ক কুশল রায় বলেন, “এই বাড়িতে শেষ জন্মদিন কাটিয়েছিলেন রবিঠাকুর। মৈত্রেয়ী দেবীর এই বাড়ি এখন পর্যটকদের ভীষণ পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছরই আমরা রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে পালন করে থাকি। এ বছরও ধুমধাম করেই পালন করা হবে রবি ঠাকুরের জন্মদিন।” কলকাতা হাতিবাগান থেকে ঘুরতে এসে এক পর্যটক দীপাঞ্জলি ভুঁইয়া বলেন, ” মংপুর কথা অনেক শুনেছিলাম। মংপু মানেই রবীন্দ্রনাথ। আমরা সিটং এ ঘুরতে এসেছিলাম ।সেখান থেকে আজ রবীন্দ্র ভবন ঘুরে দেখলাম। দারুণ ভাল লাগল। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হল।”

অনির্বাণ রায়