লাইফস্টাইল Paracetamol Tablet Dose: প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কতটা খাবেন…? ‘ওজন’ আর ‘বয়স’ অনুযায়ী জানুন ‘ডোজ’! দেখে নিন চিকিৎসকদের দেওয়া তালিকা Gallery May 7, 2024 Bangla Digital Desk প্যারাসিটামল এমন একটি ওষুধ যা প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। এই ওষুধটি জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়াতেও ব্যবহৃত হয়। গত কয়েক বছর ধরে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ওষুধের ডোজ ৬৫০ মিলিগ্রামে বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসকেরা তাঁদের ওজন অনুযায়ী শিশুদের জন্য এই প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের ডোজ নির্ধারণ করে। প্যারাসিটামলের অত্যধিক ব্যবহার লিভার এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে। যদি একজন ব্যক্তি দিনে ৪ গ্রামের বেশি এই ওষুধের ডোজ গ্রহণ করেন তবে এটি তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ওষুধের দোকানে যেমন ইউপি, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে প্যারাসিটামল ক্রোসিন, ডলো, ক্যালপোল, সুমো এল, কাবিমল এবং প্যাসিমল নামে বিক্রি হয়। ব্যবহারও হয় যথেচ্ছ। এমন পরিস্থিতিতে, ৬০ কেজির বেশি এবং ৩০ কেজির কম ওজনের প্রাপ্তবয়স্ক বা বাচ্চাদের প্যারাসিটামলের কী ডোজ দেওয়া উচিত, জানেন? বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল না খেলে এমনকি সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আপনার লিভার এবং কিডনি উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করা উচিত। ডাক্তাররা যে কোনও রোগীর ওজন, বয়স এবং তার অতীতের মেডিক্যাল রেকর্ড দেখেই প্যারাসিটামলের ডোজ লিখে দেন। প্যারাসিটামলের সুবিধা ও অসুবিধা :প্যারাসিটামল ট্যাবলেট জ্বরের ওষুধের পাশাপাশি ব্যথা উপশমকারী। প্যারাসিটামল ট্যাবলেটগুলি অনেক ধরণের ব্যথা যেমন মাথাব্যথা, কোমর ব্যথা, শরীরে ব্যথা, পেশীতে চাপের ব্যথার পাশাপাশি বাত এবং অন্যান্য ধরণের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসকেরা এই ট্যাবলেটটি জ্বরের পাশাপাশি পিরিয়ডের বা মাসিকের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি অস্টিওআর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করেন। শিশুদের ওজন অনুযায়ী ডোজ দিন:নয়ডার প্রকাশ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, ডাঃ অভিষেক কুমার বলেন, ‘প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সবাই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে রোগী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন না। বিশেষ করে হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের রোগে ভুগছেন না। প্যারাসিটামল সাধারণত মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং জ্বরের জন্য ব্যবহৃত একটি ওষুধ। কিন্তু, এই ওষুধের অত্যধিক ব্যবহার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি কেউ দিনে ৪ গ্রাম বা তার বেশি ডোজ গ্রহণ করে তবে এটি বিপজ্জনক। এমনকি গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল ব্যবহার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ৬০ কেজির বেশি এবং ৩০ কেজির কম ওজনের মানুষের জন্য কী ডোজ:ডাঃ অভিষেক বলেন, ‘যদি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জ্বর থাকে এবং তার ওজন ৪০ কেজির বেশি হয়, তাহলে প্যারাসিটামলের ডোজ ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ৬৫০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা অন্তর দেওয়া যাবে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ডোজ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। রোগীর ডাক্তারি রিপোর্ট দেখেই ডোজ বাড়ানো বা কমানো হয়। অনেক ডাক্তার সাধারণত রোগীর অতীত রেকর্ডের পাশাপাশি ওজন, উচ্চতা, পরিবেশের উপর ভিত্তি করে ডোজ নির্ধারণ করতে পারেন। জ্বরের ক্ষেত্রে, ৬ ঘণ্টা পর পর ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। যদি শিশুর বয়স এক মাসের কম হয়, তাহলে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দিতে হবে। চিকিত্সকরা বিশ্বাস করেন যে আপনি যদি তিন দিন ধরে জ্বরের ওষুধ খান এবং জ্বর না কমে, তবে আপনার অবিলম্বে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত। এই অবস্থায় আপনার অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। পাশাপাশি চিকিত্সকের পরামর্শ, আপনি যদি আপনার শরীরে কোনও ধরণের ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট যদি ১০ দিনের বেশি নিতে পারবেন না। লিভার, কিডনি, অ্যালকোহল আসক্তি বা কম ওজনের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা উচিত নয়।