Murshidabad: বিপজ্জনক বাড়িতে ঝুলছে জীবন…! ভোট আসে ভোট যায়, গঙ্গা ভাঙনের হবে কী? প্রশ্ন সমশেরগঞ্জের

মুর্শিদাবাদ: ভোট আসে ভোট যায়! কিন্তু তাতে মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙ্গনের চরিত্রের কার্যত কোনও পরিবর্তন নেই। সমশেরগঞ্জের ঘনশ্যামপুর, মহেশতলার একাধিক বাড়ি গঙ্গার ভাঙ্গনে জলের তলায় তলিয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গত কয়েক বছরে গ্রামের ১০০টিরও বেশি বাড়ি গঙ্গার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপদজনকভাবে রয়েছে আরও একাধিক বাড়ি।

মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের এদিন ভোট গ্রহণ হচ্ছে। মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পরে সমশেরগঞ্জ বিধানসভা। আর এই লোকসভার অধীনে রয়েছে একাধিক গঙ্গা ভাঙ্গন এলাকা। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল একাধিক বাড়ি বিপদজনক ভাবে রয়েছে।

কোথাও কোথাও আবার বিপদজনক বাড়ির মধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামেরই এক বাসিন্দা বলেন “ভোটের সময় নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট চলে গেলেই আমাদের এই ভাবেই থাকতে হয়।”গঙ্গা ভাঙন আটকাতে কেন কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে না তা নিয়েও প্রস্তুত তোলেন এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা বলেন “রাজ্য সরকারের তরফে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র কেন টাকা দিচ্ছে না ভাঙ্গন রোধ করার জন্য?”

মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু ছিল এই গঙ্গা ভাঙন রোধ করা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই এই ইসুকে সামনে রেখে প্রচার করেছে। কিন্তু ভোট আসে ভোট যায়, এই সমস্যার সমাধান কবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন এলাকার ভোটাররা।

মহেশতলা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন “আমাদের বাড়ি গঙ্গার জলে তলিয়ে গেলে আগামী দিনে কিভাবে এখান থেকে ভোট দেব? আমাদের বাড়ি তো কেউ দিচ্ছে না।”সবমিলিয়ে সমশেরগঞ্জ কয়েকটি গ্রামের ভোটারদের এখন প্রশ্ন ভোটের পরে কি গঙ্গা ভাঙন আটকাতে এগিয়ে আসবে রাজনৈতিক দলগুলি?

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমশেরগঞ্জ এর গঙ্গা ভাঙন এর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান।কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী।সূত্রের খবর ভোট মিটলেই গঙ্গা ভাঙন নিয়ে বৈঠকে বসবে নবান্নের শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরা।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়