কলকাতা: এক ব্যবসায়ীর কেএল রাহুলের সঙ্গে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার অনেকেই ভালভাবে নেননি। কেউ বলেছেন, এটা তো বেসরকারি জায়গা, এখানে মালিকের মুনাফা তুলে দেওয়া আসল ব্যাপার। ফলে উনিশ-বিশ হলে কথা তো শুনতেই হবে। তাতে তিনি যতই জাতীয় দলের ক্রিকেটার হন না কেন!
আরেক দল বলছে, ভারতের জার্সিতে খেলা ক্রিকেটারকে এমন ধমক-চমক দেওয়ার সাহস কোথা থেকে পান সেই ব্যবসায়ী! তবে কে না জানে, আইপিএল আসলে ক্রিকেটের উন্নতিকল্পে নয়, এখানে পুরোটাই আসলে ব্যবসা। যত দিন যাচ্ছে, ততই ব্যাপারটা আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- এখনও সুযোগ ৮ দলের! চেন্নাইকে ৩৫ রানে হারিয়ে প্লেঅফের অঙ্ক জমিয়ে দিল গুজরাত
২০১২ এবং ২০১৪ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই ২ বারই অধিনায়ক হিসেবে কেকেআর ক্যাপ্টেন ছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেই গম্ভীর আবার মেন্টর হিসেবে ফিরে এসেছেন কেকেআরে। আর শাহরুখ খান তাঁকে ফিরিয়ে আনার পরই খোলনলচে বদলে গিয়েছে কেকআরের।
আপাতত আইপিএলের বাজার গরম। একে তো টুর্নামেন্ট জমে উঠেছে। তার উপর কে এল রাহুলের ঘটনা। এরই মাঝে গম্ভীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শাহরুখ খান কেকেআর হারলে কী করেন! তিনিও কি সেই ব্যবসায়ীর মতো আচরণ করেন দলের কোচ, ক্রিকেটারদের সঙ্গে!
গম্ভীর কিন্তু শাহরুখ খানকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন। বললেন, যাদের সঙ্গে কাজ করেছে, তাদের মধ্যে শাহরুখ খান আমার কাছে সেরা। ক্রিকেটের যে কোনও সিদ্ধান্ত আমি নিই, সেখানে শাহরুখ মাথা গলায় না। আমার উপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে। তাই দেখুন, দলও ভাল খেলছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে কোথায় ব্যাট কর উচিত বিরাট কোহলির? দ্রাবিড়-রোহিতকে বিরাট বার্তা সৌরভের
তিনি আরও বলেন, অনেকের কাছে শাহরুখ খান মানে আবেগ, আমার কাছে আবেগের নাম কেকেআর। খেলার মাঠে কোনও রিটেক হয় না। ভুল করে আসলে সেই ভুল আর শোধরানো যায় না। এটা তো সিনেমা নয়, খেলা। শাহরুখ সেটা জানে। আর যে কোনও সম্পর্কে বিশ্বাস থাকলে সেই সম্পর্কের বুনিয়াদ মজবুত থাকে। তাই শাহরুখ জানে, আমার নেওয়া সিদ্ধান্ত সব সময় দলের ভালর জন্যই হবে।