কষ্টার্জিত অর্থের পুরোটাই খরচ করে ফেললে কী হবে? প্রয়োজনের সময় বা জরুরি পরিস্থিতিতে বিপদে পড়তে হবে। কারণ হাত ফাঁকা। তাই প্রতি মাসে উপার্জনের একটা অংশ সঞ্চয় করার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। ভবিষ্যতে টাকাপয়সার দরকার পড়লে চিন্তা করতে হবে না।সঞ্চয় একটা অভ্যাস। দীর্ঘমেয়াদে এই অভ্যাস লাভজনক। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলিতে একাধিক ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। তবে অধিকাংশ স্কিমেই ফিক্সড ডিপোজিটের আকারে টাকা জমা করতে হয়। তার উপর প্রতি বছর মেলে সুদ।অন্যদিকে রয়েছে পোস্ট অফিস। ব্যাঙ্কের তুলনায় পোস্ট অফিসের স্কিমের সংখ্যা অনেক বেশি। এরকমই একটি স্কিমের নাম ‘বাল জীবন বিমা যোজনা’। এই স্কিম শিশুদের জীবন বিমা কভার প্রদান করে এবং নিশ্চিত রিটার্ন দেয়।প্রতিদিন মাত্র ৬ টাকা জমা করলে ম্যাচিউরিটিতে মিলবে ১ লাখ টাকা। আর যদি কেউ ১৮ টাকা জমা করেন, তাহলে তিনি পাবেন ৩ লাখ টাকা। সঞ্চয়কারীর সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ৬ টাকা থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়।এই সঞ্চয় শুধুমাত্র শিশুদের নামেই করা যাবে। শিশুর বয়স ৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই স্কিমে বিনিয়োগের জন্য পিতামাতার বয়সও বিবেচনা করা হয়। স্কিমের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পিতামাতার বয়স ৪৫ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। প্রকল্প শুধুমাত্র ২ সন্তানের জন্যই প্রযোজ্য। তার বেশি সন্তান থাকলে এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না।
এখন কেউ যদি ২ সন্তানের জন্য প্রতিদিন ৩৬ টাকা সঞ্চয় করেন, তাহলে ম্যাচিউরিটিতে তিনি মোট ৬ লাখ টাকা পাবেন। নিকটস্থ পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমের খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যায়। যোগ্য হলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা উচিত। এর জন্য আবেদনকারীর পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।এই স্কিমে পলিসিহোল্ডারের অর্থাৎ পিতামাতা যদি মেয়াদপূর্তির আগে মারা যান, তবে প্রিমিয়াম মকুব করে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে পলিসির প্রিমিয়াম দিতে হবে না। চাইল্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের অধীনে প্রতি বছর ১০০০ টাকার নিশ্চিত পরিমাণে ৪৮ টাকা বোনাস দেওয়া হয়।
