ঠাকুরনগর: পৈত্রিক ভিটে ফিরে পাওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্না ঠাকুর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই অনশন চালিয়ে যাওয়ার কারণে মুখে কোনও খাবার তুলছেন না। তার সঙ্গে অনশন মঞ্চে রয়েছেন অন্যান্য মতুয়া ভক্তেরাও।
মা মমতা বালা ঠাকুর দলীয় কর্মসূচিতে বেরোলেও, সব সময় খোঁজ নিচ্ছেন মেয়ের শারীরিক অবস্থার। টানা কয়েকদিন ধরে চলা এই আমরণ অনশনে শারীরিকভাবে যথেষ্টই দুর্বল হয়ে পড়েছেন মধুপর্ণা। চিকিৎসক রাকেশ মজুমদার পরীক্ষা করে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সুগার লেভেল ও ব্লাড প্রেসার অনেকটাই কমে গিয়েছে তার। তবে নিজের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরতে নারাজ ঠাকুরবাড়ির এই সদস্য।
জানা গিয়েছে, পৈত্রিক ভিটে বাড়ি থেকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদের অভিযোগে এনে ভিটে ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে ঠাকুর বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন মধুপর্ণা। মতুয়া ধর্মমেলা চলাকালীন বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ঢুকেছিল শান্তনু ঠাকুর। সেই সময়ের ছবি সংবাদ মাধ্যমেও দেখেছিল গোটা রাজ্য-সহ মতুয়া ভক্তরা। পরে সেই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় শান্তনু। ফলে নিজেদের ঘরেই আর প্রবেশ করতে পারছেন না মা মমতাবালা ঠাকুর ও মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। এখন সেই ঘর আবার হেরিটেজ ঘোষণারও দাবি জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ট্রেডমিলে দৌড়চ্ছিলেন, আচমকাই জিমে লুটিয়ে পড়লেন ১৭ বছরের কিশোর, মর্মান্তিক কাণ্ড…
বড়মা বীণাপানি দেবীর ঠিক পাশের ঘরেই থাকতেন মমতা ঠাকুর ও তার মেয়ে মধুপর্ণা। সেখান থেকেই তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। নিজেদের বাসস্থান ফিরে পেতে, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরের পাশে তাই একটি খাটিয়া পেতে মধুপর্ণা ঠাকুর অনশনে বসেছেন। প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা মেয়ে বলে কি নিজের বাবার সম্পত্তি পাব না? যতক্ষণ না তিনি পৈতৃক এই সম্পত্তি ফিরে পাচ্ছেন ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও হুমকি দেন মধুপর্ণা।
ঠাকুরবাড়িতে আসা মতুয়া ভক্তদের একাংশও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ভক্তরা বীণাপাণি ঠাকুরের ঘরে যেতে পারছেন না, পুজো দিতেও পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন। তাই পারিবারিক সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত ঠাকুরনগরের মতুয়া পীঠস্থান ঠাকুরবাড়ি ফিরুক স্বাভাবিক ছন্দে চাইছেন ভক্তরা। এখন পরিবারের তরফ থেকে মধুপর্ণার অনশন ভাঙতে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেইদিকেই তাকিয়ে সকলে।
Rudra Narayan Roy