Category Archives: উত্তর ২৪ পরগণা

Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকে জয়জয়কার! দশম স্থানেই খুশি থাকতে হল জেলাকে, চিনে নিন কারা হলেন সেরা?

উত্তর ২৪ পরগনা: মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থানেই খুশি থাকতে হল উত্তর ২৪ পরগনাকে। জেলায় দশম স্থানে নাম রয়েছে এক ছাত্রী ও এক ছাত্র। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা পাওয়ায় খুশি স্বর্নালী ঘোষ ও প্রাঞ্জল গাঙ্গুলীর পরিবার।

পর্ষদের ঘোষণার পর জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থানাধিকারী বারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রী স্বর্ণালী ঘোষ। স্বর্ণালীর বাড়ি সোদপুর ঘোলা পি সি রোড এলাকায়। ছোটবেলায় গত হয়েছেন বাবা। মা-ই তাকে মানুষ করেছে। মেয়ে স্বর্ণালী ঘোষের এই সাফল্যে আজ সকলেই যেন একটু অতিরিক্ত খুশি। মিষ্টিমুখ চলছে স্বর্ণালীর বাড়িতে। ভবিষ্যতে ফিজিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে স্বর্ণালী ঘোষের।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ও গান শুনতে ভালবাসে কৃতি এই ছাত্রী। আর তার এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে মায়ের অবদান, সহজ স্বীকারোক্তি স্বর্ণালীর। জেলার অপর স্থানাধিকারী বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র প্রাঞ্জল গাঙ্গুলী।

দক্ষিণেশ্বর আড়িয়াদহ নিমতলা এলাকার বাসিন্দা প্রমিত গাঙ্গুলীর ছেলে প্রাঞ্জল। বাবা পেশায় রিসার্চ সাইন্টিস্ট, মা সুচরিতা গাঙ্গুলী কেমিস্ট্রি শিক্ষক হাই স্কুলের। প্রাঞ্জল প্রথম থেকেই স্কুলে প্রথম হয় বলেই জানা গিয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি চর্চাও রয়েছে প্রাঞ্জলের। নানা জায়গা থেকে প্রচুর পুরস্কার মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে। এরপর জেনারেল লাইনেই যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। ফিজিক্স নিয়ে রিসার্চ করার ইচ্ছে রয়েছে মাধ্যমিকের স্থানাধিকারী প্রাঞ্জলের। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ যা শতাংশের হিসাবে ৯৭.৭১।

Rudra Narayan Roy

New Business Idea: মুক্তো চাষে মিলছে সাফল্য, মহিলারা পাচ্ছেন মুঠো মুঠো টাকা!

মীন ধরা ছেড়ে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে মুক্তো চাষে ঝুকছে সুন্দরবন এলাকার মহিলারা। মুক্তো চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখার মহিলারা।
মীন ধরা ছেড়ে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে মুক্তো চাষে ঝুকছে সুন্দরবন এলাকার মহিলারা। মুক্তো চাষ করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখার মহিলারা।
মুক্তো চাষের পুকুরে গিয়ে দেখা যায় পুকুরের জলে তিন ফুট পর-পর ভাসছে ফাঁকা প্লাস্টিকের বোতল। সেখানে জলের এক ফুট নিচে রয়েছে একটি করে বাঁশের জালি। সে সব জালির প্রতিটিতে রয়েছে ২-৩ টি করে জীবন্ত ঝিনুক।
মুক্তো চাষের পুকুরে গিয়ে দেখা যায় পুকুরের জলে তিন ফুট পর-পর ভাসছে ফাঁকা প্লাস্টিকের বোতল। সেখানে জলের এক ফুট নিচে রয়েছে একটি করে বাঁশের জালি। সে সব জালির প্রতিটিতে রয়েছে ২-৩ টি করে জীবন্ত ঝিনুক।
এভাবে তিনি ওই পুকুরে প্রায় কয়েক'শ ঝিনুক বিশেষ প্রক্রিয়ায় চাষ করা হচ্ছে। ঝিনুকের মধ্যে প্রতিটিতে কমপক্ষে দু’টি করে বিভিন্ন ডিজাইনে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এভাবে তিনি ওই পুকুরে প্রায় কয়েক’শ ঝিনুক বিশেষ প্রক্রিয়ায় চাষ করা হচ্ছে। ঝিনুকের মধ্যে প্রতিটিতে কমপক্ষে দু’টি করে বিভিন্ন ডিজাইনে নিউক্লিয়াস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এসব ঝিনুক থেকেই উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের মুক্তো। কোনও মুক্তোতে গণেশের আদল, কোনওটিতে স্বস্তিক চিহ্ন, আবার কোনওটিতে শিবলিঙ্গ! এমন ডিজাইনার মুক্তো দিয়ে তৈরি হচ্ছে অলঙ্কার।
একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এসব ঝিনুক থেকেই উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের মুক্তো। কোনও মুক্তোতে গণেশের আদল, কোনওটিতে স্বস্তিক চিহ্ন, আবার কোনওটিতে শিবলিঙ্গ! এমন ডিজাইনার মুক্তো দিয়ে তৈরি হচ্ছে অলঙ্কার।
আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হচ্ছে নকশাওয়ালা মুক্তো। পুকুরে ঝিনুক চাষ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঝিনুকের মধ্য এক ধরণের নিউক্লিয়াস প্রয়োগ করা হয় ও ঝিনুক থেকে এক ধরনের লালা বা রস ক্ষরণ হয়। তা জমাট বেঁধেই মুক্তো হয়।
আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ হচ্ছে নকশাওয়ালা মুক্তো। পুকুরে ঝিনুক চাষ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঝিনুকের মধ্য এক ধরণের নিউক্লিয়াস প্রয়োগ করা হয় ও ঝিনুক থেকে এক ধরনের লালা বা রস ক্ষরণ হয়। তা জমাট বেঁধেই মুক্তো হয়।
ঝিনুকটির মুখ ফাঁক করে তা পরিষ্কার করার পরে তার মধ্যে নকশার ছাঁচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেই নকশার উপরে রস জমাট বেঁধে নির্দিষ্ট আকার নেয়। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার মধ্যে বিভিন্ন নকশাওয়ালা মুক্তো তৈরি করা হচ্ছে।
ঝিনুকটির মুখ ফাঁক করে তা পরিষ্কার করার পরে তার মধ্যে নকশার ছাঁচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেই নকশার উপরে রস জমাট বেঁধে নির্দিষ্ট আকার নেয়। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার মধ্যে বিভিন্ন নকশাওয়ালা মুক্তো তৈরি করা হচ্ছে।
মিনাখাঁ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পুকুরে নকশাওয়লা মুক্তো চাষ করা হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকায় সাধারণত মহিলারা মীন ধরে সংসার নির্বাহ করেন। এর ফলে চর্মরোগসহ একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে মুক্তো চাষ বাড়ছে। এরফলে এলাকার মহিলারা দিন দিন মুক্তো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
মিনাখাঁ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পুকুরে নকশাওয়লা মুক্তো চাষ করা হচ্ছে। সুন্দরবন এলাকায় সাধারণত মহিলারা মীন ধরে সংসার নির্বাহ করেন। এর ফলে চর্মরোগসহ একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয়। তবে বিশেষ পদ্ধতিতে মুক্তো চাষ বাড়ছে। এরফলে এলাকার মহিলারা দিন দিন মুক্তো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

Madhyamik Result 2024: ইচ্ছেই শেষ কথা! অভাবের সংসারে মাধ্যমিকের ফলে চমক রিয়াজের, তবু একটা ‘কিন্তু’ থেকে গেল

বসিরহাট: বাবার ছোট্ট মুদির দোকান, মাধ্যমিকে তাক লাগাল সুন্দরবনের ছেলে রিয়াজ। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান না পেলেও চমকে দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হাসনাবাদের চকপাটলি হাইস্কুলের রিয়াজ হোসেন মোল্লা।

প্রত্যন্ত এলাকায়, এখানে না আছে কোনও লাইব্রেরি, ঠিক তেমনভাবে এলাকায় সাক্ষরতার হারও খুব বেশি নেই। এই প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছে রিয়াজ। তবে রিয়াজের পাশাপাশি চকপাটলি হাইস্কুল থেকে যুগ্মভাবে ৯৩.৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে হয়েছে ইভানা নাসরিন সুলতানা, দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৩ শতাংশ। ইভানার বাবা পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক।

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান, অথচ চন্দ্রচূড়ের এই একটি বিষয় শুনে সকলে চমকে উঠছেন

হাঁসনাবাদের পাটলিখানপুর এলাকায় এক ঘরে বসবাস রিয়াজের। বাবা লিয়াকাত হোসেন মোল্লার রাস্তার পাশে ছোট্ট একটি মুদিখানার দোকান আছে। আর তা দিয়েই নিজের সামান্য উপার্জনে কঠোর পরিশ্রমে কোনও রকম দুই ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বছর মাধ্যমিকে চকপাটলি হাইস্কুল (উঃ মাঃ) বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল রিয়াজ। রিয়াজের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৩। যার মধ্যে গণিতে ৯৮, ভূগোলে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৬, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৪, বাংলা ও ইতিহাস উভয় বিষয়েই ৯২ এবং ইংরেজিতে ৮৪ নম্বর তুলেছে সে।

আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মাধ্যমিকের প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

ছোট থেকেই গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়কে ভালবাসে রিয়াজ। পরবর্তীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে সে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু বাদ সাধছে আর্থিক অবস্থা। চোখ মুখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় নিজেকে মেলে ধরলেও তবে কি আর্থিক সঙ্গতি কাটিয়ে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে সে! যা নিয়ে এক চাপা উৎকন্ঠায় রিয়াজ ও তার পরিবার।

জুলফিকার মোল্যা

Panta Bhat: পান্তাভাত কত ঘণ্টা জলে ভেজাবেন? বেশি হলেই বিপদ! এই গরমে খাওয়া ভাল না খারাপ? জানুন চিকিৎসকের মত

তাপপ্রবাহে ব্যহত জনজীবন। এই তীব্র দহনে শরীর সতেজ রাখতে সকালে গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই পান্তাভাতকেই বেছে নেন।
তাপপ্রবাহে ব্যহত জনজীবন। এই তীব্র দহনে শরীর সতেজ রাখতে সকালে গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই পান্তাভাতকেই বেছে নেন।
রাতে খাবারের পর অবশিষ্ট ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা পান্তা হয়। সকালে অনেকে পেঁয়াজ, লঙ্কা ও কিছু লবণ দিয়ে খেয়ে থাকেন। গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপপ্রবাহে অনেকেই খাদ্যতালিকায় পান্তা ভাতকে প্রথমে রাখেন।
রাতে খাবারের পর অবশিষ্ট ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা পান্তা হয়। সকালে অনেকে পেঁয়াজ, লঙ্কা ও কিছু লবণ দিয়ে খেয়ে থাকেন। গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপপ্রবাহে অনেকেই খাদ্যতালিকায় পান্তা ভাতকে প্রথমে রাখেন।
অনেকেই পান্তা ভাত খাওয়া উপকার বললেও কেউ কেউ এর অপকারিতার কথা বলেন। কিন্তু পান্তা ভাত আসলে উপকারী! তা জানা যাক।
অনেকেই পান্তা ভাত খাওয়া উপকার বললেও কেউ কেউ এর অপকারিতার কথা বলেন। কিন্তু পান্তা ভাত আসলে উপকারী! তা জানা যাক।
পান্তা ভাতে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি রয়েছে। যা দিনে অন্তত একবেলা পান্তা ভাত খেলেও দেহে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। এছাড়া এই খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
পান্তা ভাতে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি রয়েছে। যা দিনে অন্তত একবেলা পান্তা ভাত খেলেও দেহে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। এছাড়া এই খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, তাহলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। এছাড়াও একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় পান্তা ভাত।
এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, তাহলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। এছাড়াও একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় পান্তা ভাত।
চিকিৎসক আব্দুস সামাদ জানান, দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পান্তা ভাত। গরমে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূরে থাকবে এই খাবার খেলে। তবে তা ১২ ঘণ্টার বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবেনা।
চিকিৎসক আব্দুস সামাদ জানান, দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পান্তা ভাত। গরমে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূরে থাকবে এই খাবার খেলে। তবে তা ১২ ঘণ্টার বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবে না।

Special Puja for Rain: এবার শহরে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি! ইন্দ্র ও বরুনদেবকে তুষ্ট করতে বিশেষ আয়োজন সল্টলেকে

উত্তর ২৪ পরগনা: তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে চাই মুক্তি। তাই বৃষ্টির আশায় বজ্রদেব ইন্দ্র ও বৃষ্টির দেবতা বরুন দেবকে সন্তুষ্ট করতে বিশেষ পুজো ও যজ্ঞের আয়োজন করা হল শহর তিলোত্তমায়। সল্টলেকের দত্তাবাদ এলাকার একটি মন্দিরে বিধাননগর কর্পোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে করা হয় এই অভিনব আয়োজন।

গোটা রাজ্য জুড়ে যে হারে তাপপ্রবাহ চলছে, গত চার দশকে এরকম দাবদাহর অভিজ্ঞতা নেই শহরবাসীর। কলকাতার তাপমাত্রা ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে। এই দাবদাহের মধ্যেই মানুষকে কাজের প্রয়োজনে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে।

এদিন তাই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় বিশেষ পুজোর মধ্যে দিয়ে ইন্দ্র ও বরুন দেবের আরাধনা করা হয়। সল্টলেকের দত্তাবাদে তাঁরা মায়ের মন্দিরে পুরোহিত দিয়ে পুজোর সব রীতিনীতি মেনে করা হয় যজ্ঞও।

আরও পড়ুন: আবার দুঃসংবাদ! সঙ্গীতজগতে ফের নক্ষত্রপতন, অকালেই চলে গেলেন জনপ্রিয় গায়িকা উমা!

স্থানীয়রা মহিলারা শঙ্খধ্বনি ও ধুপ ধুনো সহযোগে দেবতাকে তুষ্ট করতে বন্দনা করতে থাকেন। অস্বস্তিকর গরমেও এই পুজো ঘিরে যেন স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল অন্য মাত্রায়।

Rudra Narayan Roy

WBBSE Madhyamik Result 2024: মাধ্যমিকে নতুন রেকর্ড! ফলাফলে এমন ঘটনা ঘটল এবারেই প্রথম, জেনে একেবারে চমকে যাবেন

কলকাতা: এ বারের মাধ্যমিকে নতুন রেকর্ড, যা নিয়ে বেজায় খুশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাশ করেছে, যা এককথায় নজিরবিহীন। মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ১,১৮,৮১১ জন। মাধ্যমিকে প্রথম ভাষায় ১৮৪৩৩ জন ৯০ থেকে ১০০ নম্বর পেয়েছে, অর্থাৎ ‘AA’ গ্রেড। পাশাপাশি দ্বিতীয় ভাষায় ৯,৯২২ জন, অঙ্কে ২২,৮৩২ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ১৪,৪১৫, জীবন বিজ্ঞানে ২৮,৬৮৪, ইতিহাসে ১৪,৭১৬, ভূগোলে ৪৯,৯৯৪ জন পেয়েছে।

এ বার মাধ্যমিকে সব থেকে বেশি ভূগোল ‘এ’ পেয়েছে পড়ুয়ারা। প্রায় ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী ‘AA’ পেয়েছে, যাকে নজিরবিহীন হিসাবে দাবি করছে পর্ষদ। মাধ্যমিক বোর্ডে ৬০ পার্সেন্ট পেয়েছে ১,১৮,৪১১ জন। AA পেয়েছে ৯,৯৬১ জন। A+ ২৪,৬৪৩ জন, A পেয়েছে ৮৩,৮০৭ জন।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার প্রথম দশে ৫৭, কোন জেলা থেকে কোন স্কুলের কে পেল স্থান? রইল তালিকা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভবন থেকে সকালে প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের এ বছরের ফলাফল। সাংবাদিক সম্মেলন করে ফল ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০ দিনের মাথায় হল এ বছরের ফল ঘোষণা।

এ বছর মোট ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। যার মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি ছিল বলেও জানা গিয়েছে। পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৪ লক্ষের কিছু বেশি ছাত্র এবং ৫ লক্ষের কিছু বেশি ছাত্রী জীবনের প্রথম এই বড় পরীক্ষায় বসেছিল। সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। পাশের হার ৮৬.৩১%, যার মধ্যে সর্বোচ্চ কালিম্পং, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা।

আরও পড়ুনঃ রোজ এসি চালাচ্ছেন তো? সুইচ অনের আগে ৩ কাজ করুন অবশ্যই, চরম গরমে ১০ মিনিটে কনকনে ঠান্ডা ঘর

রাজ্যের মোট ৪৯ ক্যাম্প অফিস থেকে রেজাল্ট বিতরণ করা হবে বলেও পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মোট ৫৭ জন স্থানাধিকারী রয়েছে মেধা তালিকায়। তার মধ্যে রাজ্যে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের চন্দ্রচূড় সেন, তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা থেকে মেধাতালিকায় রয়েছে মাত্র দু’জন। ফল ঘোষণার পর ওয়েবসাইটে এবং পরবর্তীতে স্কুলে গিয়ে রেজাল্ট সংগ্রহ করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের বলেও পর্ষদের তরফে জানানো হয়।

তথ্য সৌজন্যেঃ সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় 

Rudra Narayan Roy

Garden Plants: গরমে টবে লাগানো গাছ বাঁচাতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

বসিরহাট: গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ টানা চলছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই নেই মানুষ, পশুপাখি থেকে গাছগাছালির। তবে এই গরমে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাগান। গরমের দিনে সঠিকভাবে পরিচর্যা না করলে বাগানের সমস্ত গাছ মরে যায়। কিন্তু এই তীব্র দাবদাহের গরমে বাগানের যত্ন কীভাবে নেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না? সেই টিপস‌’ই আজ আপনাদের দেব আমরা।

সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে তীব্র গরমে বাড়ির সামনের বাগান বা ছাদের টবে যত্নে লাগানো শখের গাছ সহজেই রক্ষা করতে পারবেন। তীব্র রোদে বা গরমের দিনে বাগানের গাছ রক্ষা করার উপায় জানালেন বসিরহাটের সাহানুর নার্সারির উদ্যোক্তা সাহানুর মণ্ডল। গরমে গাছের যে সমস্যাগুলো হয় তার মধ্যে অন্যতম রোদের ভয়ঙ্কর তাপে গাছগুলি শুকিয়ে যেতে থাকে। এরজন্য ছাদে টবে লাগানো গাছ আগেই চড়া রোদ পড়া জায়গা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। বাগান বাঁচাতে হলে বাগানের ওপর খড়ের বা গ্রিনশেড দিয়ে আচ্ছাদন করতে হবে।

আর‌ও পড়ুন: ১৪৪ বর্গফুটের লুডো! কাপড় দিয়ে চমক নদিয়ার দর্জির

প্রতিদিন সকাল-সন্ধে গাছের পরিচর্যার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ জল গাছের গোড়ায় না দিয়ে পাতায় স্প্রে করা প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় সকাল-সন্ধে দুই বেলাই গাছে জল দেওয়ার পরেও গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ জলের পাশাপাশি গাছটির পর্যাপ্ত ছায়া প্রয়োজন হয়। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা যায় ছাদের উপর টবে লাগানো গাছের। খোলা আকাশের নিচে একদিকে রোদের তাপ অন্যদিকে ছাদের ওপর টবে থাকায় ছাদের গরমে টবের মাটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ফলে গাছের শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছগুলি শুকিয়ে মারা যায়। তাই এসময় পুরোপুরি রোদে না রেখে অর্ধেক ছায়াযুক্ত স্থানে গাছ রাখুন।

জুলফিকার মোল্যা

International Labour Day 2024: কাজ না করলে ভাত জুটবে না! মে দিবসের তাৎপর্য ‘ব্যর্থ’ কৃষকদের কাছে

উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রীষ্মের এই প্রখর দাবদাহের মধ্যেও কাজ করে যেতে হচ্ছে। শরীর ক্লান্ত লাগলেও বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক শ্রমদিবসের দিন এটাই বড় আক্ষেপ হতভাগ্য কৃষকদের। মে দিবসে যখন সর্বত্র শ্রমিকের, কর্মীর অধিকার নিয়ে চর্চা হচ্ছে তখন এই বাংলার কৃষকরা যেন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।

প্রতিবছরের মতে এবারেও ১ মে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনটি সম্পর্কে সত্যিই কি অবগত শ্রমজীবী মানুষ? পয়লা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিকরা কাজের বিরতি নিয়ে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করলেও ছুটি নেই বসিরহাটের মিনাখাঁর ক্ষেত মজুর ও কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্গন‌ওয়াড়ি কেন্দ্র না শাসকদলের অফিস? খোলা আকাশের নিচেই হচ্ছে শিশুদের রান্না

কথা বলে দেখা গেল বেশিরভাগ কৃষকই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের গুরুত্ব, তাৎপর্য সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন। এই অসহায় মানুষগুলো একটা সহজ জিনিস ধরে নিয়েছেন, কাজ করলে তবেই পেটে দুটো ভাত জুটবে। কিন্তু একটা মানুষের যেমন কাজ করা প্রয়োজন তেমনই তাঁর জীবনে বিশ্রাম, বিনোদনের দরকার আছে সেগুলো পরিস্থিতির চাপে বেমালন ভুলে গিয়েছেন এই কৃষকরা। আর তাই টানা তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোদ্দুরে পুড়ে জমিতে কাজ করছেন। ওঁরা এইভাবে উদায়স্ত খাটছেন বলেই পেটে ভাত জুটছে আমাদের।

জুলফিকার মোল্যা

Bengal Mat: আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদুর শিল্প

গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি, বিছানায় গা ঠেকানো রীতিমতো দায় হয়ে পড়ছে মানুষের কাছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে শুলে কিছুটা হলেও মেলে স্বস্তি
গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি, বিছানায় গা ঠেকানো রীতিমতো দায় হয়ে পড়ছে মানুষের কাছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে শুলে কিছুটা হলেও মেলে স্বস্তি
আজও গ্রামবাংলায় সেই রীতি দেখা দেখা যায়, তবে হাতে বোনা মাদুরের জায়গা নিয়েছে প্লাষ্টিকের মাদুর। আর এই প্লাষ্টিকের মাদুরের দাপটে গ্রামবাংলার প্রাচীন এই কুটির শিল্প প্রায় অবলুপ্তির পথে
আজও গ্রামবাংলায় সেই রীতি দেখা দেখা যায়, তবে হাতে বোনা মাদুরের জায়গা নিয়েছে প্লাষ্টিকের মাদুর। আর এই প্লাষ্টিকের মাদুরের দাপটে গ্রামবাংলার প্রাচীন এই কুটির শিল্প প্রায় অবলুপ্তির পথে
বর্তমানে বাজারে হাতে বোনা মাদুরের চাহিদা ক্রমশ কমে যাওয়ায় অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক পরিবার
বর্তমানে বাজারে হাতে বোনা মাদুরের চাহিদা ক্রমশ কমে যাওয়ায় অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক পরিবার
মাদুর শিল্পের করুন পরিস্থিতির বর্তমান ছবিটা দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর থানার চারঘাট এলাকায়। এই এলাকার চারঘাট বাজারের একসময় হাতে বোনা মাদুরের জন্য সুনাম ছিল সারা রাজ্যে
মাদুর শিল্পের করুন পরিস্থিতির বর্তমান ছবিটা দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর থানার চারঘাট এলাকায়। এই এলাকার চারঘাট বাজারের একসময় হাতে বোনা মাদুরের জন্য সুনাম ছিল সারা রাজ্যে
বেশ কয়েক বছর আগেও চারঘাট মাদুর বাজার গমগম করত মাদুর শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ২৫-৩০ জন ব্যবসায়ী এই বাজারে মাদুরের ব্যবসা করলেও, আজ মাদুর শিল্পের দৈন্যদশায় চারঘাট মাদুর বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যাটা মাত্র একজনে এসে দাঁড়িয়েছে
বেশ কয়েক বছর আগেও চারঘাট মাদুর বাজার গমগম করত মাদুর শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ২৫-৩০ জন ব্যবসায়ী এই বাজারে মাদুরের ব্যবসা করলেও, আজ মাদুর শিল্পের দৈন্যদশায় চারঘাট মাদুর বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যাটা মাত্র একজনে এসে দাঁড়িয়েছে
এখন সেইসব অতীত। বর্তমানে হাতে বোনা মাদুরের জায়গায় প্লাস্টিক মাদুর বাজার দখল করায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে এইসব এলাকার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
এখন সেইসব অতীত। বর্তমানে হাতে বোনা মাদুরের জায়গায় প্লাস্টিক মাদুর বাজার দখল করায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে এইসব এলাকার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
চারঘাটের মাদুর শিল্পীদের একটাই আর্জি, বাংলার এই মাদুর শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আবার অনেকেই এই পুরনো পেশায় ফিরে আসবে। আবারও স্বমহিমায় ফিরবে বাংলার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
চারঘাটের মাদুর শিল্পীদের একটাই আর্জি, বাংলার এই মাদুর শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আবার অনেকেই এই পুরনো পেশায় ফিরে আসবে। আবারও স্বমহিমায় ফিরবে বাংলার হাতে বোনা মাদুর শিল্প

North 24 Parganas News: অভিনব এই কৌশলেই পাকানো হয় কাঁচা বেল! জানুন পদ্ধতি

রুদ্রনারায়ণ রায়,  উত্তর ২৪ পরগনা: চাঁদিফাটা রোদ্দুরে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই বেলের শরবত খেয়ে থাকেন এই সময়ে। ফলে সারা বছরের তুলনায় গরমে বাড়ে বেলের চাহিদা। গাছপাকা এত বেল তো আর বাজারে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে জানেন কি, অভিনব এই পদ্ধতিতেই কাঁচা বেল পাকানো হয়! উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার অধিকাংশ পরিবারের ব্যবসা কাঁচা বেল পাকানোর ৷ এখানে সারাবছরই বেলের চাহিদা থাকে৷ তবে গ্রীষ্মকালে বেলের সরবতের জন্য বহু অংশে বেড়ে যায় চাহিদা।

এইখানকার পাকানো বেল পৌঁছে যায়, জেলা, রাজ্য তথা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারেও। কাঁচা বেল পাকানোর পদ্ধতি অন্যান্য ফলের মতো নয়। এর পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা৷ বাড়ির সামনে বড় উঠোনে মাটির তলায় গুহার মত বড় গর্ত করা হয়। ওই গুহায় সারি সারি বেল রাখা হয়৷ এক একটা গুহায় প্রায় তিন হাজার বেল ধরে। গুহার উপর ছোট ছোট গর্ত করা হয়৷ গোবরের ঘুঁটে ভেঙে তুষ মিশিয়ে গুহার ভিতরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভাবেই জ্বলতে থাকে সাত দিন। তারপর বেল বের করা হয়।

আরও পড়ুন : বিশ্বমঞ্চে তুলি-কালি-কলমে বাজিমাত বঙ্গসন্তানের! ব্রাজিলের জাদুঘরে সম্মানিত হবেন বাঁকুড়ার ‘বঙ্কু ডাক্তার

এই সাতদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে মাটির গুহার উপরের ঢাকনা খুলে দেখে নেওয়া হয়, যে বেলগুলিতে রঙ ধরেছে কিনা৷ শুধু যে আগুনের তাপে বেল পাকছে তেমনটা নয়, ঘুটে ও তুষের সঙ্গে কার্বাইডও ব্যবহার করা হয়। এতে বেলের পাকা রঙ আসে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বেল পাকানোর ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কাছে প্রথমে কাঁচা বেল আসে৷ সেই বেলগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পাকানোর পদ্ধতি চলে।

জানা গিয়েছে, বেল আসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রাজ্যের বাইরে থেকেও আসে, কিন্তু পাকানোর পর বেল বেশির ভাগ চলে যায় কলকাতার বাজারে। উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার এই ব্যবসায় যুক্ত৷ এক একটি বাড়িতে প্রচুর কর্মচারীও কাজ করেন। এভাবেই কাঁচা বেল পাকিয়ে সংসার চলে রন্ধনগাছা গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের।