ওয়ারেন বাফেটকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগকারী বলা হয়। তাঁর বিনিয়োগ কৌশল মেনে ভাগ্য বদলে গিয়েছে অনেকের। বছরের পর বছর ধরে নিজের অভিজ্ঞতা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। এখানে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ওয়ারেন বাফেটের সেরা ৭ টিপসের তালিকা দেওয়া হল।যে জিনিস সম্পর্কে ধারণা আছে, সেখানে বিনিয়োগ করা উচিত: খুব স্পষ্ট কথা। বিনিয়োগকারী যেটা বোঝেন, সেখানেই বিনিয়োগ করবেন। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেট। যেখানে বিনিয়োগকারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঝুঁকি নিতে পারবেন এবং সম্ভাব্য রিটার্ন সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন, তাঁর জন্য সেটাই বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা।দীর্ঘমেয়াদি মানসিকতা: ওয়ারেন বাফেট দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পদ্ধতির জন্যই পরিচিত। স্টককে শুধু কাগজের টুকরো নয়, ব্যবসার মালিকানার অংশ হিসেবে ভাবার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর মতে, ধৈর্য ধরতে হবে। স্বল্পমেয়াদি বাজারের ওঠানামায় আটকে পড়ার বদলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিকতা এবং দীর্ঘসময়ের জন্য বিনিয়োগ চালাকেই লাভ।বাজারের ট্রেন্ড নয়, ভ্যালু আছে কি না দেখা উচিত: ট্রেন্ডে গা ভাসানোর পক্ষপাতী নন ওয়ারেন বাফেট। তিনি বিনিয়োগকারীদের ভ্যালুর খোঁজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, “দাম হল আপনি যেটা দেন, আর ভ্যালু হল আপনি যা পান”। বাফেটের বিনিয়োগ দর্শন হল, দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এমন অবমূল্যায়িত কোম্পানিগুলোকে খুঁজে বের করা। তাঁর সাফ কথা, বাজার ট্রেন্ড বা হাইপে কেনার ফাঁদে পা দিলে চলবে না।নিরাপত্তা: ওয়ারেন বাফেট বিনিয়োগ করার সময় নিরাপত্তার মার্জিনের উপর জোর দেন। অর্থাৎ অন্তর্নিহিত মূল্যের নীচে উল্লেখযোগ্য মূল্যে স্টক কেনা। এর ফলে অপ্রত্যাশিত বাজার মন্দার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পাওয়া যায়। সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ কমে।ধৈর্য: এই বিশ্বে সবাই তাৎক্ষণিক সুখ চান। কিন্তু ওয়ারেন বাফেট বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধৈর্য সবচেয়ে বড় গুণ। ঘনঘন ট্রেডিং বা বাজারে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরিবর্তে যথাযথ গবেষণা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।বৈচিত্র ভাল, কিন্তু অতিরিক্ত বৈচিত্র নয়: ঝুঁকি কমাতে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতিরিক্ত নয়। এমনটাই বলছেন ওয়ারেন বাফেট। পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করেই কোনও কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।আবেগ নিয়ন্ত্রণ: শেষ কথা হল, আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভয় এবং লোভের কারণে অনেকেই ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করে বসেন। স্বল্পমেয়াদি বাজারের মনোভাবে প্রভাবিত হওয়া চলবে না।
