মালদহ: মালদহের কালিয়াচকে জোড়ালো বিস্ফোরণ। কালিয়াচক থানার মডেল এলাকায় আচমকা বিস্ফোরণ। শৌচকার্যের জন্য ব্যবহৃত পরিত্যক্ত ট্যাঙ্কে ফাটল বোমা। বিকেল নাগাদ মজুত রাখা বোমায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের পুরনো শৌচকার্যের ব্যবহৃত ট্যাঙ্কে দুইটি প্লাস্টিক জারে বোমা মজুত ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এরই মধ্যে একটি জারে আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণের আওয়াজ পান স্থানীয়রা। তারপরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কালিয়াচকের এসডিপিও ফয়সাল রেজা এবং কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী। ঘটনাস্থলে যায় কালিয়াচক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যে এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তার ঠিক পাশেই মাটির মধ্যে আরও একটি জারে পুঁতে রাখা আরও বেশকিছু বোমার হদিশ মেলে।
জানা গিয়েছে, যে পরিত্যক্ত ট্যাঙ্কটিতে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল তা স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক শেখের। ভিন্ন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহে মুন্সী হিসেবে কাজ করেন ফারুক। বাড়িতে মা-বোন সহ মহিলারাই থাকেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ওই ট্যাঙ্ক শৌচকার্যের জন্য ব্যবহৃত হয় না। কেউ বা কারা অপরাধমূলক কাজকর্মের উদ্দেশ্যে বোমা মজুত করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা নেমে আসায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা যায়। তড়িঘড়ি এলাকায় আলোর বন্দোবস্ত করে পুলিশ। ঘটনাস্থল লাল ফিতে দিয়ে কর্ডন করে রাখা হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে, রাত হয়ে যাওয়ায় এদিন বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ হয়নি। তাছাড়া, মাটির গভীরে অন্য একটি জারে কতগুলি বোমা রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, অনেকদিন আগেই ওই এলাকায় বোমা মজুত করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।শনিবার সকালে ফের এলাকায় যাবে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড। বাকি বোমাগুলি উদ্ধার করার কাজ হবে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া বোমাগুলিকে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করবে বোম স্কোয়াড।