চার ডিজিটের এই দশ পিন ব্যবহার করছেন না কি? সর্বনাশ, যে কোনও সময় হ্যাক হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট

২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে সাইবার হামলার সংখ্যা ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতকেই সবচেয়ে বেশি নিশানা করছে প্রতারকরা। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে চেক পয়েন্ট সফটওয়্যার টেকনোলজিস লিমিটেড।

সাইবার অপরাধীরা কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে প্রতারণার জাল পাতে। সাধারণ মানুষ, ব্যবসা এবং সরকারকে ফাঁদে ফেলাই তাদের লক্ষ্য। সংবেদনশীল তথ্য চুরি করতে ফিশিং স্ক্যাম এবং র‍্যানস্যামওয়্যারের মতো বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা।

আরও পড়ুন: ছোট্ট ছোট্ট দানাই ইউরিক অ‍্যাসিডের মহাশত্রু! খালি পেটে এই বীজের এক গ্লাস জল খেলেই কেল্লাফতে

সাইবার হামলার এমন বাড়বাড়ন্তের কারণ কী: PIN দুর্বল হলে সাইবার অপরাধীদের পোয়া বারো। তখন যে কোনও সিস্টেম তারা সহজেই হ্যাক করতে পারে। যেমন ‘১২৩৪’ বা ‘০০০০’ হল দুর্বল পিনের জলজ্যান্ত উদাহরণ। অনেক সময় ব্যক্তিগত তথ্যও ‘পিন’ হিসেবে ব্যবহার করেন ইউজাররা। যেমন ফোন নম্বর বা জন্মতারিখ। এগুলো খুব সহজেই অনুমান করা যায়।

সবচেয়ে সাধারণ ৪ সংখ্যার পিন: ইনফরমেশন ইজ বিউটিফুল-এর একটি সাম্প্রতিক সাইবারসিকিউরিটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ইউজারই নিরাপত্তা কোডে সাধারণ প্যাটার্ন ব্যবহার করেন। ৩.৪ মিলিয়ন পিন পরীক্ষা করেছে তারা। তার মধ্যে থেকে সবচেয়ে সাধারণ যে প্যাটার্নগুলো উঠে এসেছে সেগুলি হল –

১২৩৪

১১১১

০০০০

১২১২

৭৭৭৭

১০০৪

২০০০

৮৮৮৮

২২২২

৬৯৬৯

খুব সহজ বা সহজেই অনুমান করা যায় এমন পিন রাখলে সাইবার অপরাধীরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে হয়। অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার জন্য পিন নির্বাচন করার সময় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। পিন শক্তিশালী হলে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন ‘ফল’ নিয়ে প্লেনে ওঠা যায় না! ধারালো অস্ত্র নয়, তাও কেন বারণ? ৯৯% লোকজনই জানেন না

ESET সাইবারসিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ, জেক মুর, সাধারণ পাসকোড ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই সাইবার আক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যাবে। ডেইলি মেইল-কে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দক্ষ হ্যাকাররা এসব সহজেই হ্যাক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জন্মতারিখ ব্যবহার না করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তবে মুরের মতে, যতক্ষণ না মানুষ বিপদে পড়ছে ততক্ষণ বোধোদয় হয় না।