লোডশেডিং-এর জন্য দায়ী টোটো! বিদ্যুৎ পর্ষদের ভয়ঙ্কর অভিযোগ, রাতেই হয় ‘বেআইনি কাজ’!

রাজ্যে লোডশেডিং-এর জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত বহু মানুষের। জেলার কিছু অংশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং থাকছে। ফলে অসুস্থ মানুষ, বয়স্ক, শিশুদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। এবার জানা যাচ্ছে, লোড শেডিং-এর এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে আসল কারণ টোটো।
রাজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে লোড শেডিং। জেলার কিছু অংশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং থাকছে। ফলে অসুস্থ মানুষ, বয়স্ক, শিশুদের নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। এবার জানা যাচ্ছে, লোড শেডিং-এর এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে  টোটো একটা বড় কারণ।
বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় বলছেন, রাজ্যে টোটো চলাচল হয়েছে লাগামছাড়া। বেশিরভাগ টোটোচালকরা রাতে টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসান। সারা রাত চলে চার্জিং। যার জেরে চাপ বাড়ছে।
বিদ্যুৎ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে, জেলার বেশিরভাগ এলাকার টোটোচালকরা রাতে টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসান। সারা রাত চলে সেই চার্জিং। যার জেরে লোড বাড়ছে নির্দিষ্ট এলাকায়।
তিনি জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো ছোট জেলায় আগের থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি লোড বেড়েছে। ফলে বিদ্যুতের জোগানে ঘাটতি হচ্ছে।
বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্তাদের একাংশ বলছে, কয়েক হাজার টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসানো হচ্ছে রাতের বেলায়। ফলে বহু এলাকায় বিদ্যুতের জোগানে ঘাটতি হচ্ছে। যার ফল, লোড শেডিং।
বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, বহু মানুষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই বাড়িতে এসি ইনস্টল করছেন। ফলে লোড বাড়ছে। সেই কারণেও বিদ্যুতের জোগানে ঘাটতি হচ্ছে।
বিদ্যুৎ পর্ষদের  রিপোর্ট বলছে, বহু বাড়িতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই  এসি ইনস্টল করা হচ্ছে। ফলে লোড বাড়ছে। 
হাওড়া, হুগলি, দুই পরগণা-সহ একাধিক জেলায় লোডশেডিং-এর জেরে সমস্যা বাড়ছে। বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরও জানিয়েছেন, কয়েক লাখ টোটোর ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে সারা রাত ধরে। টোটো যারা চালান, তারা ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন ডোমেস্টিক রেটে। কিন্তু এতে লোড বাড়ছে। ফলে ভোল্টেজ ডাউন হচ্ছে।
হাওড়া, হুগলি, দুই পরগণা-সহ একাধিক জেলায় লোডশেডিং-এর জেরে সমস্যা বাড়ছে। বাড়তি লোড-এর ফলেই ভোল্টেজ ডাউন হচ্ছে বলে খবর।
রাজ্যে টোটোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় পরিবহণ দফতরও। বর্ধমান শহরে দিনের বেলা টোটো প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে সব জায়গায় এই নিয়ম নেই। ফলে টোটোর চলাচল হয়েছে লাগামহীন।
রাজ্যে টোটোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় পরিবহণ দফতরও। বর্ধমান শহরে দিনের বেলা টোটো প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে সব জায়গায় এই নিয়ম নেই। ফলে টোটোর চলাচল হয়েছে লাগামহীন।
বহু টোটো চলছে বিনা রেজিস্ট্রেশনে। এমনকী টোটোর জন্য বহু দুর্ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
বহু টোটো চলছে বিনা রেজিস্ট্রেশনে। এমনকী টোটোর জন্য বহু দুর্ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ উঠছে। টোটোয় রাশ টানতে প্রশাসন এবার তৎপর হতে পারে বলে খবর।
বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট মিটলেই রেইড হবে। রাতভর টোটো চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয় কি না সেটাই এখন দেখার।
বিদ্যুৎ পর্ষদ ইতিমধ্যে ভোটের পর ধরপাকড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় লোড বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে তদন্তও হতে পারে।