সতীপীঠ-শৈবপীঠ বক্রেশ্বর ধাম

২৪ ঘণ্টা মাটি থেকে বেরোচ্ছে গরম জল! বীরভূমের এই ঘোরার জায়গায় সারা বছর থাকে ভিড়

বীরভূম: বীরভূমে অবস্থিত পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম বক্রেশ্বর ভৈরব মন্দির ও সতীপীঠে প্রচুর তীর্থযাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। যাঁরা বীরভূম ঘুরতে আসেন তাঁরা একবার হলেও এই সতীপীঠ-শৈবপীঠ বক্রেশ্বর থেকে ঘুরে আসেন।

প্রসঙ্গত, পঞ্চ সতীপীঠের জেলা বীরভূম। সতীপীঠ ছাড়াও রয়েছে শক্তিপীঠ সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। এই সকল তীর্থক্ষেত্রের টানে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পর্যটক, পুর্ণ্যার্থীদের আগমন হয়ে থাকে।

এই সকল তীর্থক্ষেত্রগুলির মধ্যে বীরভূমের অন্যতম একটি তীর্থক্ষেত্র হল বক্রেশ্বর। এখানে দেবী সতীর মন্দির ছাড়াও রয়েছে ভোলানাথ-এর পুজো দেওয়ার সুযোগ আছে।

আরও পড়ুন- নিমেষে বদলাবে আবহাওয়া, আর কিছুক্ষণেই ৪০ কিমি বেগে ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণের এই জেলায়!

পাশাপাশি এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল উষ্ণপ্রস্রবণ। যেখানে সারা বছর পাওয়া যায় গরম জল এবং গরম জলে স্নান করার সুযোগ। প্রাকৃতিক এই গরম জলে প্রতি বছর বিশেষ করে শীতের সময় পর্যটকদের ভিড় জমতে দেখা যায়।

এ ছাড়াও অন্যান্য সময়ও গঙ্গা স্নানের পবিত্রতা লাভের জন্য এখানে স্নান করে যান অনেকেই।  এখানে এলে দেখা মিলবে মোট দশটি কুণ্ডর। যেগুলি হল পাপহরা গঙ্গা, বৈতরণী গঙ্গা, খরকুণ্ড, ভৈরবকুণ্ড, অগ্নিকুণ্ড, দুধকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, ব্রহ্মাকুণ্ড, অমৃতকুণ্ড।

প্রতিটি কুণ্ডের জলের তাপমাত্রা আলাদা। এই সকল কুণ্ডের জলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেট, ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও সালফেট পাওয়া যায়। যা ঔষধি গুণসম্পন্ন। এ ছাড়াও এখানকার এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে রয়েছে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন এখানে এই প্রাকৃতিক গরম জলে স্নান করার জন্য আসতে দেখা যায় বহু মানুষকে। আগত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- ঘাটালের সভা থেকে হিরণকে আক্রমণ অভিষেকের, সরব সন্দেশখালি নিয়েও

সৌভিক রায়