উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর… (Representative Image)

উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর…

নয়াদিল্লি: হুড়োহুড়ি করে ট্রেন ধরতে গিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় এমনও হয় যে, যাত্রীরা যানজটে ফেঁসে যান। ফলে স্টেশনে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় এবং অনেক সময় গাফিলতির কারণেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। উত্তর-পূর্ব রেলওয়েতে এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে যাত্রীদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকী, এহেন ভুলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েও পার পাননি তাঁরা।

উত্তর-পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সরস্বতী চন্দ্রের মতে, ভ্রমণের সময় মহিলাদের নিরাপত্তা ভারতীয় রেলের অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম। আর সেই কারণেই ‘মহিলা সুরক্ষা’ নামে এক অভিযান চালাচ্ছে রেলওয়ে। এর আওতায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় কোনও পুরুষ যাত্রী উঠে পড়লে তাঁদের ধরপাকড় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন– নেশার ঘোরে মাত্র ‘১০৫ টাকা’ দিয়ে কিনেছিলেন শস্যের গোলা; এখন সেটাই হয়ে উঠেছে এক দম্পতির সাধের আস্তানা

এমতাবস্থায় গত ১ মে থেকে ১৫ মে, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অপারেশন ‘মহিলা সুরক্ষা’-র অধীনে একটি প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। পূর্ব মধ্য রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কোচ বা লেডিজ কামরায় ভ্রমণ করার জন্য রেলওয়ে আইনের ১৬২ ধারার অধীনে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী দল মোট ৬১৫ জন পুরুষ যাত্রীকে আটক করেছে।
এর মধ্যে দানাপুর বিভাগে ৩৫৫ জন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় বিভাগে ১৫১ জন, সোনপুর বিভাগে ৫৬ জন এবং সমস্তিপুর বিভাগে ৫৩ জন পুরুষ যাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁদের থেকে জরিমানাও নেওয়া হয়েছে। তদন্তের সময় যাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দিতে থাকেন। কেউ কেউ বলেন যে, তাঁরা রীতিমতো দৌড়ে তাড়াহুড়ো করে ট্রেন ধরেছেন, তাই আর কোন কামরায় উঠছেন, সেটা খেয়াল করেননি। আবার কেউ বা বলেছেন যে, তাঁরা কোচের বাইরে কী লেখা আছে, তা পড়তে পারছেন না। এভাবে যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষকদের কাছে অনুনয়-বিনয় করতে শুরু করলেও তাঁরা সেদিকে কর্ণপাত করেননি। উল্টে ওই যাত্রীদের আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– বেতন চার কোটি! বিনামূল্যে থাকার জন্য মিলবে প্রাসাদোপম বাড়িও, অথচ এই চাকরি কেউই করতে চাইছেন না; কিন্তু কেন?

সিগন্যাল মনিটর চুরি:

এদিকে আবার রেলওয়ে সুরক্ষা বল, দাদরি এবং খুর্জার যৌথ দল ডিএফসিসিআইএল-এর বোড়াকী জংশন এবং দাদরি স্টেশনের মধ্যে ৮৯৪/০৮ কিলোমিটারে অবস্থিত আরএইচ-বি রিলে রুম থেকে দু’টি মনিটর, কী-বোর্ড, মাউস ইত্যাদি চুরি করার অভিযোগে নাজিম এবং মান নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা দু’জনেই উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ এলাকার বাসিন্দা।