Tag Archives: Viral News
Viral News: আকাশ থেকে উড়ে পড়ল ওটা কী? চুঁচুড়ায় মারাত্মক কাণ্ড! আতঙ্ক-শোরগোল
হুগলি : আকাশ থেকে মাটিতে পড়ল অদ্ভুত এক যন্ত্র! বেলুনের সঙ্গে আটকানো সেই যন্ত্র মাটিতে পড়তেই বিকট শব্দ। যা দেখে স্তম্ভিত ও অতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে হুগলির চুঁচুড়ায়। আকাশ থেকে মাটিতে পড়া এই যন্ত্র ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হওয়ায় সেখানে এসে উপস্থিত হয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ ও যন্ত্রটিকে নিয়ে যায় চুঁচুড়া থানায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের ২ নং কাপাসডাঙায় একটি বাড়ির সামনে সাদা রঙের অচেনা যন্ত্র আকাশ থেকে ধপ করে মাটিতে পরে। সঙ্গে একটা বেলুন ছিল সেটা ফেটে যায়। ওই বাড়ির বাসিন্দা বিপ্লব হালদার যন্ত্রটিকে হাতে করে তুলে পাঁচিলের উপর রেখে দেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা একত্র হন, যন্ত্রটি দেখে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
যন্ত্রটি কী, তা দেখার জন্য ভিড় জমে। খবর যায় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে যন্ত্রটিকে তুলে নিয়ে যায়। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন প্রদীপ পাল। তাঁর বাড়ির পাশে এই ঘটনা। প্রদীপ পাল বলেন, ‘আমাকে বিপ্লব খবর দেয় যে আকাশ থেকে মেশিন পড়েছে। আমরা পুলিশে খবর দিই। যন্ত্রটি কী তা বুঝতে না পারায় প্রাথমিক ভাবে একটা আতঙ্ক ছড়ায়।অনেকে আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করে বোমা পাওয়া গেছে নাকি! আমি বলি না একটা যন্ত্র যেটা আকাশ থেকে পরেছে।’
আরও পড়ুন: সকাল না রাত, কখন শরীরচর্চা করলে থলথলে মেদ ঝটপট কমবে জানেন?
জানা গিয়েছে, যন্ত্রটি একটি রেডিওসোন্ড। ব্যাটারি চালিত টেলিমেট্রি যন্ত্র। বেলুনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে ঘোরে। রেডিওর মাধ্যমে উচ্চতা, চাপ, তাপমাত্র, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বায়ুর গতি দিক এবং ভৌগলিক অবস্থান (অক্ষাংশ/দ্রাঘিমাংশ) গ্রাউন্ড রিসিভারে পাঠায়। ওজন ঘনত্ব পরিমাপকারী রেডিওসোন্ডকে ওজোনসোন্ডও বলা হয়। যন্ত্রটির গায়ে মেড-ইন-কোরিয়া লেখা। কোথা থেকে এল তা জানা যায়নি। তবে এই যন্ত্রকে ঘিরে আতঙ্কের কিছু নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে অসম, তামিলনাড়ুতে এই ধরনের যন্ত্র আকাশ থেকে পড়েছিল।
রাহী হালদার
Spirit marriage: তিরিশ বছর আগে মৃত মেয়ে, পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিল পরিবার! পুরোটা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
বেঙ্গালুরু: তিরিশ বছর আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল৷ মৃত সেই মেয়ের বিয়ে দিতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিল পরিবারর৷ মৃত মেয়ের আত্মার জন্য জামাই হিসেবেও উপযুক্ত কোনও আত্মার খোঁজই করা হয়েছে৷
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই ঘটেছে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুড়ে৷ আত্মার এই বিয়ে দেওয়া ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি ধর্মীয় রীতির মধ্যেই পড়ে৷ যে রীতিকে স্থানীয় ভাবে কুলে মাদিমে অথবা প্রেত মাদুভে বলা হয়৷
জানা গিয়েছে, সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ওই বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়৷ সেখানে বর্ণ, গোত্র উল্লেখ করে এমন পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে, যার মৃত্যুও তিরিশ বছর আগেই হয়েছিল৷
মৃত মেয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া ওই পরিবারটি টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছে, বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার পর অন্তত পঞ্চাশজন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে পছন্দসই কোনও পাত্রকে পছন্দ হলেই রীতি পালনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবেন তাঁরা৷ ওই পরিবারের সদস্য আরও জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরেই উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ করছিলেন তাঁরা৷
ওই ব্যক্তির কথায়, যখন আমরা প্রথমে এই বিজ্ঞাপন দিলাম, ‘আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা করবেন৷ কিন্তু এই বিজ্ঞাপন দেখেই বহু মানুষ এই রীতি সম্পর্কে জেনেছেন৷ অন্য বর্ণের বেশ কিছু মানুষও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ অনেকে শুধুমাত্র এই রীতি সম্পর্কে জানতেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷’
জানা গিয়েছে, ওই রীতি অনুযায়ী পরিবারের যে সদস্যদের বিয়ের আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের আত্মার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷ এর ফলে, পরিবারের বর্তমান জীবিত সদস্যদের মধ্যে যাঁরা অবিবাহিত, তাঁদের বিয়ের বাধাও দূর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়৷ জীবিতদের বিয়েতে যেভাবে হয়, সেই একই রীতি মেনেই দুই আত্মার বিয়ে দেওয়া হয়৷
Trending News: এবার পালা আপনার! বছরে একবার, মাসে দু’বার, সপ্তাহে তিনবার, দিনে ছ’বার কে আসে? রইল চ্যালেঞ্জ, সবার সামনেই
Viral News: ভুলেও এই ৫টি নম্বরে কখনও ডায়াল করবেন না, রিং হলেই বাড়বে চাপ, ৩ জনের জীবনে ঘনিয়েছে চরম পরিণতি
Viral News: অন্ধকার সুনসান রাস্তায় সজোরে থাপ্পড় পথচারীদের; সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে ভয়ে কাঁটা নেটিজেনরা
বেঙ্গালুরু: এক ভয়াবহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু। দুই স্কুটার আরোহীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। এমনকী নিজের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সাবরেডিট ব্যাঙ্গালোর-এ ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ব্যাখ্যা করে লিখেছেন @avi1299 নামে এক ব্যবহারকারী। ওই ব্যক্তি লিখেছেন যে, কোরামঙ্গলা এলাকায় তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ একটি শো দেখতে যাচ্ছিলেন। কোনও গাড়িতে না চেপে তাঁরা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁরা জানতেন না, তাঁদের জন্য কোন বিপদ অপেক্ষা রয়েছে!
আরও পড়ুনঃ লিফটে ঢুকে কিশোরীকে কামড়, কুকুর-হানার নয়ডার ভিডিও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়
ওই ব্যক্তি বলেন, “সেকেন্ড ক্রস রোড এবং সেভেন্টিন্থ এফ মেন রোডের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে হাঁটার সময় আমার মনে হয় কেউ যেন আচমকাই সজোরে আমায় থাপ্পড় মারল। বিষয়টা বোঝার জন্য আশপাশে তাকাই। দেখতে পাই, স্কুটি চেপে দুজন ব্যক্তি বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন কোনও প্র্যাঙ্ক করার চেষ্টা করছিল। তারা কারা তা শনাক্ত করার চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি তাদের আমি চিনি না।”
কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে থাকেনি। ওই দুই আগন্তুক পালিয়ে তো যায়ইনি, বরং সেখানে ঝামেলা করতে শুরু করে। ওই ব্যবহারকারী আরও লেখেন, “স্কুটার থেকে নেমে কন্নড় ভাষায় চিৎকার শুরু করে। আমায় ফের থাপ্পড় মারতে আসে। কিন্তু আমি সরে যাই। আমরা অনেকটা দূর থেকেই তাঁদের মুখ থেকে মদের গন্ধ পাচ্ছিলাম।” শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যবহারকারী আরও বলেন, “আমরা যেহেতু ওঁদের দিকে তাকিয়েছিলাম, তাই আমাদের কন্নড় ভাষায় জিজ্ঞাসা করে, আমার দিকে তাকিয়ে থাকার সাহস হয় কী করে? এরপর আমার চোখ থেকে চশমা ছিনিয়ে নিয়ে বলে, এবার কী করে দেখবে তুমি। এরপর চিৎকার করতে শুরু করে, আমি একাই একশো। তোমাদের সকলকে দেখে নেব।” এভাবেই ওই ব্যবহারকারী এবং তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত লাঞ্ছনা করে গিয়েছে ওই হামলাকারী। আগন্তুকদের এহেন উস্কানিমূলক কার্যকলাপেও ঝামেলায় জড়াতে চায়নি ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের দলটি।
এই ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তবে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানালেও তারা জানায় যে, ওই হামলাকারীরা সম্ভবত সংলগ্ন এলাকার বস্তির বাসিন্দা। ওই ব্যবহারকারী শেষে জানান, “আমি জানি না যে, এক্ষেত্রে আমরা কী ভুল করেছিলাম! কিংবা আমাদের সেখানে কী করা উচিত ছিল! কিন্তু আমরা প্রত্যেককে পরামর্শ দেব যে, এসব থেকে দূরে থাকুন আর সতর্ক থাকুন। কারণ আপনারা জানতেও পারবেন না কখন আপনার নিগ্রহকারীরা ঘণ্টা প্রতি ৪০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে।”
৪০ বছর আগে প্রেমিকার মায়ের অভিযোগের জের, কিন্তু একটিমাত্র ভুলের কারণে আজ জেলবন্দি বৃদ্ধ
মুম্বই: ভালবেসে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন। জন্মেছিল ওই দম্পতির চার সন্তানও। কিন্তু ৪০ বছর আগে করা একটা ভুলের মাসুল গুনতে হচ্ছে সেই প্রেমিককে। আসলে ওই ভুলের জেরে ফেঁসে গিয়ে এখন জেলে বন্দি তিনি। তবে যিনি তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, অর্থাৎ তাঁর সেই প্রেমিকা আর ইহলোকে নেই। বিষয়টা ঠিক কী?
বর্তমানে ৭০ বছর বয়স দাউদ বান্দু খানের। ১৯৮৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী কন্যার প্রেমে পড়েছিলেন দাউদ বান্দু খান (Dawood Bandu Khan)। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ নিয়ে আসেন প্রেমিকার মা। নাবালিকা কন্যাকে দাউদ যৌন হয়রানি করেছেন, বলে অভিযোগ জানান তিনি। তবে সেই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে অবশ্য তাঁকেই বিয়ে করেন দাউদ বান্দু খান। তবে সেই প্রেমিকার সঙ্গে নিজের বিয়ে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সমস্যা মিটমাট হওয়ার কথা তিনি পুলিশ ও আদালতকে জানাতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। এমনকী, পুলিশকে না জানিয়ে তিনি আগ্রায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।
এখন মুম্বই পুলিশ উত্তর প্রদেশের আগ্রা থেকে গত ৪০ বছর ধরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় পলাতক দাউদ বান্দু খানকে গ্রেফতার করেছে। আসলে তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি, সেই কারণেই আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছিল। এদিকে সবথেকে বড় সমস্যার বিষয়টি হল, অভিযুক্তের স্ত্রী এবং শাশুড়িও এখন আর ইহলোকে নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেই অভিযোগও তুলে নেওয়ার আর কেউ নেই। যার জেরে বৃদ্ধ দাউদকে এখন সেই পুরনো যৌন হয়রানির মামলার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
শাশুড়ি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছিলেন:
পুলিশ জানিয়েছে যে, ১৯৮৪ সালে দাউদ খান এবং তাঁর প্রেমিকা (যিনি তখন ১৭ বছর বয়সী ছিলেন এবং পরে দাউদের স্ত্রী হয়েছিলেন) পাশাপাশি বাড়িতেই থাকতেন। সেই সময় তাঁরা মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের ভিপি রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দাউদ বান্দু খান সোনা গলানোর কাজ করতেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। পাশের বাড়ির কিশোরী কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও মেয়েটির মা সেই প্রেমের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। ফলে ডিবি মার্গ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পরেই দাউদ খানকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও কোনওক্রমে জামিন পেতে সক্ষম হন দাউদ। এরপর তিনি জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। অবশেষে প্রেমিকা সাবালিকা হলে তাঁকে বিয়ে করে নেন দাউদ।
খানের সবচেয়ে বড় ভুল কী ছিল?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বইয়েই ওই দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তাঁরা কাউকে কিছু না জানিয়ে আগ্রা চলে যান। একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন যে, আগ্রায় যাওয়ার আগে হওয়ার আগে তাঁদের উভয়েরই (দাউদ এবং তাঁর বান্ধবী তথা স্ত্রী) পুলিশ এবং আদালতকে জানানো উচিত ছিল যে, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে এবং তাঁরা একে অপরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এর ফলে বছরের পর বছর ধরে মামলাটি চলতে থাকে। বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জারি করতে থাকে। অথচ দাউদ আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। সেই কারণে আদালত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ‘পলাতক’ বলেও ঘোষণা করে দেয়।
আরও পড়ুন– আর মাত্র কয়েকদিন, তারপরেই গোচর করবেন শুক্র; এর প্রভাবে মালামাল হতে চলেছে এইসব রাশি
৪০ বছর পর যেভাবে খানের নাম প্রকাশ্যে আসে:
আসলে মুম্বই পুলিশ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শহরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পলাতকদের খুঁজে বার করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে, তখনই দাউদ বান্দু খানের নাম প্রকাশ্যে আসে। ডিবি মার্গ পুলিশ জানিয়েছে যে, খানের ব্যাপারে তাদের কোনও ধারণাই ছিল না, কারণ তিনি দুই দশক আগে কাউকে না জানিয়ে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, এদিকে যিনি মামলা করেছিলেন অর্থাৎ তাঁর স্ত্রীর মা-ও মারা গিয়েছেন। ফলে দাউদ কোথায় থাকতেন, তা আমাদের বলার কেউ ছিল না।
এক শ্যেফের জন্য সামনে আসে দাউদের নাম:
সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর বিজয় ঘোরপাড়ের তত্ত্বাবধানে কনস্টেবল বিনোদ রানে এই মামলায় কাজ করতে শুরু করেন এবং এলাকায় ইনফর্মারদের খোঁজ করেন। পুলিশের কাছে দাউদের পুরনো ঠিকানা ছিল, কিন্তু তিনি কোথায়, সেই বিষয়ে কেউই জানতেন না। তাই পুলিশ প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজ করতে শুরু করে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একজন শ্যেফ সম্পর্কে তথ্য হাতে আসে। আসলে এই শ্যেফকে প্রায় বছর দশেক আগে নিজের ছেলের বিয়েতে রান্নাবান্না করার জন্য আগ্রায় ডেকেছিলেন দাউদ।
৪০ বছর পর পুলিশ কীভাবে অভিযুক্তের কাছে পৌঁছল?
পুলিশ ওই শ্যেফের সন্ধান করে। এরপরে তাঁর কাছ থেকেই দাউদের নম্বর পেয়ে রবিবার আগ্রায় পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে বাড়ি থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। এরপর দাউদ খানকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দাউদ খান দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে, নির্যাতিতাকে বিয়ে করার পর মামলাটি বন্ধ হয়ে যাবে। পুলিশের দাবি, দাউদ জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী ২০১১ সালে মারা গিয়েছেন। এমনকী স্ত্রীর ডেথ সার্টিফিকেটও তিনি পুলিশকে দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে দাউদ খানকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি জেলে রয়েছেন। একজন অফিসার বলেন যে, “দাউদ খান প্রায় ৪০ বছর আগে নিজের বিয়ের কথা আদালতকে না জানিয়ে একটি মস্ত বড় ভুল করেছিলেন। শিগগিরই ওই মামলার কার্যবিধি শুরু হতে পারে।”
Viral News: লিফটে ঢুকে কিশোরীকে কামড়, কুকুর-হানার নয়ডার ভিডিও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়
নয়ডাঃ অনেকেরই ধারণা, পোষা কুকুর না কি কামড়ে দেয় না। যাঁদের কুকুরে ভয় থাকে, তাঁরা সহজে এ কথা মেনে নিতে পারেন না। তবে সব মালিক যে অতিথি ভয় পেলেও তাঁদের সামনে কুকুর বেঁধে রাখেন, এমন নয়। ফলে, অনেক সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পোষা কুকুর কোনও কারণ ছাড়াই কামড়ে দিয়েছে কাউকে, এমন উদাহরণ নেহাত বিরল নয়। তবে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ঘটে যাওয়া যে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, তা বেশ আতঙ্কের।
সম্প্রতি এই ভিডিওটি এক্স সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন জ্যোতি কারকি নামের এক ইউজার। সেই ভিডিও ফুটেজে লিফটের ভিতরে এক কিশোরীকে দেখা যাচ্ছে। লিফটের ভিতরে তাকে এক দিক থেকে আরেক দিকে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যাচ্ছে। এক সময়ে লিফট যখন এক ফ্লোরে এসে থামে, তখন এক ব্যক্তিতে শশব্যস্ত হয়ে লিফটে ঢুকে আসতে দেখা যায়। লিফটে ঢুকে তিনি একটা কুকুরকে ভিতর থেকে বের করে আসেন। দেখে মনে হয়, কুকুরটা আগে কোনও ফ্লোরে যখন লিফট থেমেছিল, তখন ভিতরে ঢুকে পড়েছিল।
Dog attack a teenager in Noida sector-107 society . #Noida #dogattack pic.twitter.com/Il594emIv1
— Jyoti Karki (@Jyoti_karki_) May 7, 2024
এর পরেও অবশ্য তার উৎপাত বন্ধ হয়নি। ওই কুকুর আবার দৌড়ে আসছিল লিফটের দিকে, কিশোরীকে আবার কামড়ে দিতে। সৌভাগ্যবশত সেই সময়ে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেয়েটি সে যাত্রা রক্ষা পায়। লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে তাকে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, সে নিজের হাতে কুকুরের আঁচড় বা কামড়ের ক্ষত পরীক্ষা করছে। এক সময়ে, টি-শার্টে চোখের জল মুছতেও দেখা যায় তাকে। লিফট গ্রাউন্ড ফ্লোরে এলে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের নয়ডার ১০৭ সেক্টরের লোটাল ৩০০ সোসাইটিতে ঘটেছে। এর আগেও এলাকায় কুকুরের উৎপাতের খবর মিলেছে। তবে, সাম্প্রতিক এই ঘটনার জেরে কারও কোনও অভিযোগ দায়ের করার খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
Viral News: ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে, পারিবারিক আদালতেই স্বামীকে উত্তম-মধ্যম প্রথম স্ত্রীর
পাটনাঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শুধু আমাদের দেশে কেন, পৃথিবীর কোনও দেশেই খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। বহুবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ, কিন্তু তার পরেও আইনের চোখে ধুলো দিয়ে অনেকেই বিবাহ করে থাকেন। এই নিয়ে অশান্তিও হয়ে থাকে। তবে, সম্প্রতি বিহারের জামুইতে এই বহুবিবাহ বা বলা ভাল দ্বিতীয় বিবাহের জেরে যা কাণ্ড ঘটে গেল, তা সচরাচর বড় একটা চোখে পড়ে না।
আরও পড়ুনঃ বিরাট খবর, বিশ্বজুড়ে বন্ধ করা হল কোভিশিল্ড টিকা! মারাত্মক সাইড এফেক্টই কারণ? তুমুল চাঞ্চল্য
জানা গিয়েছে যে জামুইয়ের ঝাঝা পুলিশ স্টেশন এলাকার অন্তর্গত হারনির বাসিন্দা বিকাশ কুমার সাত বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রী বিহারের খয়রা পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত তারাডি গ্রামের বাসিন্দা। প্রথম দিকে সব ঠিক থাকলেও সন্তানধারণ এই দম্পতির সম্পর্কে ফাটল ধরায়। বিয়ের সাত বছর পরেও এই দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। ফলে, বিকাশ কুমার সন্তানের মুখ দেখার জন্য দ্বিতীয় বিবাহ করেন। যদিও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া না মিটিয়েই তিনি এই দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেলেন।
এরই জেরে প্রথম স্ত্রী জামুই পারিবারিক আদালত এবং সিভিল কোর্টে বিকাশ কুমারের নামে তিনটি আলাদা কেস ঠুকে দেন। বহু চেষ্টা করেও বিকাশ বেল পাননি। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পরে পটনা হাই কোর্ট থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে তিনি বেল পান। সেই বেলের কাগজ নিয়ে তিনি যখন জামুই পারিবারিক আদালতে পৌঁছন, তখন সেখানে তাঁকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দেখেই প্রথম স্ত্রী তাঁর উপরে চড়াও হন। লাথি, ঘুষি মেরে বিকাশ কুমারকে নাজেহাল করে তোলেন তিনি। বহু চেষ্টার পরে অবশেষে পরিবারের সদস্যরা প্রথম স্ত্রীর প্রহারের হাত থেকে বিকাশ কুমারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
প্রথম স্ত্রী জানিয়েছেন, বিকাশ দেওঘরে শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানেই তিনি থাকেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে তিনি দেওঘরের বাড়িতেই রেখেছিলেন। এ কথা জানতে পেরেই প্রথম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
Viral news: নিজের কাছে ছিল সামান্য অর্থ, ভিক্ষুক ভেবে কোটিপতিকে সেটাই দিয়ে দিল বালক! কী হল তারপর?
কলকাতা: স্কুলের পরীক্ষায় ভাল ফল করে ১ ডলার পুরস্কার পেয়েছিল ৯ বছরের বালক৷ পথে এক ব্যক্তিকে রাস্তার ধারে বসে থাকতে দেখে তাঁকে ভিক্ষুক ভেবে নিজের কাছে থাকা সেই ১ ডলারই দিয়ে দিয়েছিল সে৷ কিন্তু যাঁকে ওই বালক ভিক্ষুক ভেবে ভুল করেছিল, তিনি আসলে একজন কোটিপতি৷ ছোট্ট ছেলের এই উদারতা দেখে আপ্লুত ওই কোটিপতি ব্যবসায়ী অবশ্য তাঁকে পুরস্কৃতও করেছেন৷ মন ছুঁয়ে যাওয়া এই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার লুসিয়ানায়৷
গত মাসে ঘটনাটি ঘটেছে লুসিয়ানার একটি কফি শপের বাইরে৷ ৯ বছরের ওই বালকের নাম কেলভিন এলিস জুনিয়র৷ আর যে কোটিপতি ব্যসায়ীকে সে ভিক্ষুক ভেবে ভুল করেছিল, তাঁর নাম ম্যাট বুসবাইস৷
আরও পড়ুন: ‘মানুষরূপী শয়তান?’ ১৭ জন রোগীকে হত্যা, খুনে নার্সকে ৭০০ বছর জেলের নির্দেশ আদালতের
৪২ বছর বয়সি ওই ব্যবসায়ীর বর্ণনা অনুযায়ী, ঘটনার দিন নিজের আবাসনের ফায়ার অ্যালার্ম শুনে তড়িছড়ি বেরিয়ে আসেন তিনি৷ তার পরনে বাড়ির সাধারণ পোশাকই ছিল৷ এর পর কিছুটা ঘোরাঘুরির পর এক কাপ কফি খেয়ে রাস্তার পাশে একটি বেঞ্চে বসে সামান্য জিড়িয়ে নিচ্ছিলেন তিনি৷ চোখও লেগে এসেছিল তাঁর৷
হঠাৎই চোখ খুলে দেখেন, তাঁর সামনে হাতের মুঠো পাকিয়ে এক বালক দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ প্রথমে খানিক ঘাবড়েই গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী৷ এর পরেই আসল বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি৷ ওই বালক তার হাতের মুঠো খুলে ভিতরে থাকা ১ ডলার ওই ব্যবসায়ীর দিকে এগিয়ে দেয়৷ ছোট্ট ছেলের এমন উদারতা দেখে অবাক হয়ে যান ওই ব্যবসায়ী৷
এর পরেই ওই বালককে নিজের পরিচয় দেন তিনি৷ ওই অঞ্চলে তাঁর একটি বড় খেলাধুলোর সামগ্রীর দোকানও রয়েছে৷ প্রথমে ওই বালককে নিয়ে গিয়ে পছন্দের খাবার খাওয়ান ওই ব্যবসায়ী৷ এর পর নিজের দোকান যা খুশি বেছে নেওয়ার জন্য কেলভিনকে ৪০ সেকেন্ড সময় দেন তিনি৷ তার মধ্যে একটি সাইকেলও ছিল৷
কেলভিনের কথায়, ‘আমি সবসময় কোনও গৃহহীনকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম৷ তাই ভেবেছিলাম এটাই আমার সুযোগ৷’ কেলভিনের অবশ্য দাবি, সে যা পুরস্কার পেয়েছে, তার থেকেও নিজের কাছে থাকা ১ ডলার দিয়ে কাউকে সাহায্য করেছে ভেবেই বেশি খুশি হয়েছে সে৷