রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে জাল ফেলছেন গ্রামবাসীরা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন!

মালদহ: বর্ষার আগেই বেহাল নিকাশির জেরে জীবন অতিষ্ঠ। ভোররাত থেকে বৃষ্টিতে প্রায় হাঁটুজল গ্রামে। জলে ডুবে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

বর্ষার আগে নিকাশির দাবিতে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। রাস্তায় মাছ ধরার জাল ফেলে প্রতিবাদ। চাঁচল- ১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংড়িয়া পাড়া এলাকার ঘটনা। যদিও রাস্তায় নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির আশ্বাস তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির।

বুধবার ভোররাত থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলবন্দি গ্রাম। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাঁটু সমান জল। পরিস্থিতির জেরে কার্যত বন্ধ হয়েছে চলাচল। এমনকী সাবমার্সিবল পাম্পও জলের তলায়।

আরও পড়ুন- হাতে আর ঘণ্টাখানেক! ধেয়ে আসছে বৃষ্টি, জোর বজ্রপাত! নিম্নচাপের জেরে ভাসবে ৪ জেলা

সব মিলিয়ে বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে চাঁচল- ১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাংরিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। এই রাস্তা দিয়ে বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষ দৈনিক যাতায়াত করেন। কিন্তু, মাত্র কয়েক ঘণ্টার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই রাস্তা কার্যত পুকুরে পরিণত হয়।

গ্রামে জল বেরনোর কোনও রাস্তা বা ব্যবস্থা নেই। জল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, জল যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন হাসপাতালে যাওয়া অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে স্কুলের পড়ুয়ারাও।

স্থানীয়দের ক্ষোভ, এলাকায় নিকাশি সমস্যার সমাধানের দাবিতে, এর আগেও বহুবার পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলেছে।

আরও পড়ুন- বাংলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টি, বিকেলে ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? কোন জেলায় কেমন আবহাওয়া?

দ্রুত নিকাশি নালার দাবিতে বুধবার জলমগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি মাছ ধরার জাল ফেলে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। দাবি পূরণ না হলে ফের বৃহত্তম আন্দোলনের নামার হুমকিও দিয়েছেন স্থানীয়রা।

যদিও তৃণমূল পরিচালিত চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি জাকির হোসেনের পাল্টা দাবি, দীর্ঘদিন এই এলাকা কংগ্রেসের দখলে ছিল। তাঁরা উন্নয়নের ব্যর্থ। কংগ্রেসের সময়ে এলাকায় উন্নয়ন হয়নি। গত পঞ্চায়েতে তৃণমূল এলাকায় জিতেছে। এখন কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্ষার আগেই নিকাশি-নালা তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।