Tag Archives: Maldah

খোলা বাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রিপল, ক্ষোভের মুখে বিক্রেতা

মালদায় খোলা বাজারে ত্রাণের ত্রিপল! কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বাখরাবাদের ঘটনা। ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রিপল। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে ত্রিপল বিক্রেতা। ত্রিপল বিক্রেতাকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ত্রিপল বিক্রেতা।

Murder: স্বামীকে গলা টিপে…নৃশংস খুনের পর্দাফাঁস, ময়না তদন্তে চাঞ্চল‍্যকর তথ‍্য, কীভাবে পুলিশের জালে খুনি স্ত্রী?

মালদহ: বিয়ের পর কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। বাড়িতে দুই নাবালক সন্তানও বর্তমান। এরপরও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জড়ায় স্ত্রী। প্রতিবাদ করায় গলা টিপে খুন স্বামীকে। এরপর পড়ে গিয়ে মৃত্যু বলে দাবি করে স্ত্রী। স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে ছিল এমনই চাঞ্চল‍্যকর অভিযোগ।  কিন্তু হল না শেষ রক্ষা।ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হতেই পর্দাফাঁস। পুলিশের জালে অভিযুক্ত স্ত্রী।

খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা প্রেমিকেরও। হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ আগস্ট হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিওয়রের বাসিন্দা সুফল সাহার মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর স্ত্রী আশা সাহা তখন দাবি করেন, কলের পাড়ে পড়ে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, মৃতদেহ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়।

আরও পড়ুন: উত্তাল বঙ্গোপসাগর, নিম্নচাপের জেরে আরও বাড়বে বৃষ্টি! সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভাসবে? বড় আপডেট হাওয়া অফিসের

তাই, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই স্ত্রীর মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সুফল বাবুকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। সুফলের পরিবারের লোকেরাও জানতেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর বিবাদের কথা।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টের কথা জানতে পারার পর তাঁদের কাছেও সবটা স্পষ্ট হয়। আশা সাহার বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুফলের দাদা জোতিষ সাহা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আশাকে গ্রেফতার করল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে এদিন অভিযুক্তকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

আরও পড়ুন: ঝাঁ ঝাঁ করে কমে যাবে বিদ‍্যুতের বিল! এসির রিমোটেই লুকানো রয়েছে বড় সমাধান, ঠান্ডাও থাকবে, টাকাও বাঁচবে

মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন জানান, ধৃত স্ত্রী খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে। তবে, একা স্ত্রীর পক্ষে খুনের ঘটনার সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তার প্রেমিক বা আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে। সেইজন্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সমস্তটা খতিয়ে দেখতে চাইছে। নিহতের দাদা জ্যোতিষ সাহা বলেন, ভাই বারবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তি করেছে। কিন্তু বৌমা শোনেনি। তবে, এভাবে ভাইকে খুন হতে হবে তা ভাবিনি। দোষীর উপযুক্ত বিচার চাই।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দায় তাঁদের কাঁধেই, তার পরও বঞ্চিত গৌড়ের সাফাই কর্মীরা!

মালদহ: বিশাল গৌড় সাম্রাজ্যের দেখভাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব তাদের কাঁধে। কেউ গত ৩০ বছর, আবার কেউ প্রায় ৪০ বছর ধরে গৌড় নগরীর সৌধ থেকে ভবনের ধ্বংসাবেষের অবশিষ্ট অংশ গুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আসছেন।

দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসলেও এখনও তারা থেকে গিয়েছেন শ্রমিক হিসেবেই। দায়িত্ব সহকারে গৌড় নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আশায় অন্য কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত হতেও পারেননি।

বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৪০০ টাকা মজুরি পান। তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তাদের নিয়োগ করা হোক এই কাজের জন্য। একাধিক আন্দোলন বিক্ষোভ বৈঠক প্রায় সমস্ত কিছুই হয়েছে। কিন্তু সমস্যার কোন সমাধানে এগিয়ে আসেননি প্রশাসনিক কর্তারা।

আরও পড়ুন- কৃতি শ্যানন হবেন ধোনির পরিবারের বউ, আবার বলিউডের সঙ্গে মিশে গেল ক্রিকেট!

এই ভাবেই কাজ করে আসছেন প্রায় ৫৮ জন শ্রমিক। কোন বছর নিয়মিত কাজ পান আবার কোন বছর নিয়মিত কাজ মেলে না এই গৌড় নগরীতে। শ্রমিক নন্দ সরকার বলেন, প্রায় প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছি। শ্রমিক হিসাবে আমাদের বেতন দেয়।

আমরা আমাদের কাজের স্থায়ীকরণের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়। বর্তমানে মালদার ইংরেজেবাজার ব্লকের মহদিপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে এই গৌড়ের ধ্বংসাবেশ। বর্তমানে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।

শুধু তাই নয়, ইতিহাস গবেষক থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা এই গৌড়ে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে আসেন। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই গৌড়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে।

সরকারিভাবেই ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে এই বিশাল গৌড়ের ধ্বংসাবেষ ও সৌধ গুলির আগাছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য রয়েছেন প্রায় ৫৮ জন শ্রমিক। পরেশ ঘোষ বলেন, আমরা অবহেলায় রয়েছি। সামান্য কিছু টাকা পাই এই টাকায় সংসার চালানো দায়। সরকার আমাদের জন্য কিছুই করছে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের কাজের স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছি।

দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা কাজ করে আসছেন। তবে এখনও তাদের কাজের কোন স্থায়ীকরণ হয়নি। কর্মরত শ্রমিকদের দাবি তাদেরকে সরকারিভাবে অস্থায়ী পদে নিয়োগ করা হোক এই কাজের জন্য।

কারণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করায় যেমন পারিশ্রমিক বেশি পাচ্ছেন না পাশাপাশি কোনরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসাই অন্য কোন পেশার সঙ্গেও এখন যুক্ত হতে পারছেন না তারা।

এদিকে তাদের হাত ধরেই বিশাল গৌড়ের ধ্বংসাবেশের অবশিষ্ট অংশগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে তাদের কাজের স্থায়ীকরণের কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কর্তারা।

হরষিত সিংহ

Flood: ভাসছে গোটা এলাকা! মূল ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় ফাটল, নতুন আতঙ্ক ভূতনিতে

মালদহ: জলমগ্ন গোটা ভূতনির চর। বন্যা কবলিত এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা। গঙ্গা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ভূতনি বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জায়গায় ভেঙেছে কালভার্ট থেকে রাস্তা ফলে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ভূতনির একাধিক গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর উঁচু জায়গায়।

মালদহের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভূতনির যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ফুলহার নদীর ওপর ব্রিজ। এবার বন্যার জলে ভূতনি অংশের ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় দীর্ঘ ফাটল দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। সংযোগকারী রাস্তার দুই ধারে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে এই ফাটল দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: জিন্স প‍্যান্টে কেন থাকে এই ‘ছোট্ট পকেট’? রোজই পরেন, তাও ৯৯% লোকজনই জানেন না, আসল কারণ শুনলে চমকে যাবেন

যেকোনও মুহূর্তে রাস্তায় ধস নামার সম্ভাবনা। ভুতনি ব্রিজের সংযোগকারী এই রাস্তায় ধস নামলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ব্রিজে উঠতে পারবেন না ভুতনির বাসিন্দারা। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে গোটা ভূতনি। রাস্তার দুই ধারে বন্যার জল। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রেম কুমার মন্ডল বলেন, প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল। এই ব্রিজ ভেঙে গেলে ভুতনি শেষ হয়ে যাবে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী করা হচ্ছে এখনও আমরা জানিনা।

ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তার একাংশের ফাটল বেড়ে যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে অনুমান।স্থানীয়রা বলেন, ভূতনি ব্রিজের পাশের প্রবেশ করেছে গঙ্গা নদীর জল। যার ফলে সংযোগকারী রাস্তার নিচের মাটি নরম হয়ে এই বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই রাস্তার একাংশ।এলাকা থেকে জল না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণী চোখ বন্ধ করেও দিব‍্যি সব দেখতে পায়? নামটা খুব চেনা, চার পায়ে হাঁটে, ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

এদিকে গঙ্গা নদীর জল স্তর গত কয়েকদিন ধরে কমতে শুরু করেছে। তবে ভুতনির বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বন্যার জল কমতে শুরু করেনি। বরং জলমগ্ন এলাকাগুলিতে এখনও জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। সংযোগকারী রাস্তার দুই ধারে জল কমে যাওয়ার পরেও ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তার দুই ধারে ফাটল নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন ভুতনিবাসী কারণ এই রাস্তা ভেঙে গেলে একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে গোটা এলাকা।

হরষিত সিংহ

Maldah bank robbery: পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই! মালদহের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়ল দু’জন

মালদহ: ভরদুপুরে মালদহের গাজোলের সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতি৷ সাত-আটজন দুষ্কৃতীর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা-গুলি নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়৷ ডাকাতদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার৷ বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ সেই ডাকাতদলকে পাকড়াও করতে গেলে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে গুলির লড়াই হল পুলিশের৷ গ্রেফতার ২ জন৷

মালদহে পুলিশ- ডাকাতদল গুলি বিনিময়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুই ডাকাত। দুইজনের মধ্যে একজনের পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গাজোলের সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতি করার পরে প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহাঁড়িতে পালানোর চেষ্টা তারা।

এরপর আন্তঃজেলা সীমান্তে বাধা পেয়ে গাজোল হয়ে পুরাতন মালদহের দিকে ফের ফিরে আসছিল ওই ডাকাত দল। সেই সময় পুলিশ ঘিরে ফেলায় পুরাতন মালদহে গাড়ি ফেলে তারা গুলি চালাতে চালাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব! মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে কী বলে এলেন সুকান্ত? তুমুল শোরগোল

গাজোলে বাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহার হওয়া চারচাকা গাড়িটি ডাকাত দল পুরাতন মালদার ভাবুক অঞ্চলের মন্দিলপুর এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ প্রসঙ্গত, এই গাড়িটিকেই মালদহ থানার পুলিশ আগে থেকে ধাওয়া করছিল। পুলিশ গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলিও করে৷ গুলির চিহ্ন গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে।

তবে, পালানোর সময় ডাকাত দল একটি ব্যাগ গাড়িতে ফেলে যায়৷ সেই ব্যাগ থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে৷ তাই আপাতত মালদা থানার পুলিশ বোমা সমেত ব্যাগটি নিরাপদ জায়গায় রেখেছে৷ এ নিয়ে আতঙ্কিত গোটা এলাকা।

আরও পড়ুন: কর্ণাটকের পথে এবার বাংলাও! NEET নিয়ে কড়া প্রস্তাব পাশ, রাজ্যে পরীক্ষা ফেরানোর পক্ষে সওয়াল ব্রাত্যর

গোটা গ্রামকে পুলিশ ঘিরে রাখা হয়েছে৷ ডাকাত দল এই এলাকাতেই গাড়ি রেখে পালাতে গেলে পুলিশ ধাওয়া করে দু’জনকে ধরে ফেলে৷ ধৃতদের একজনের কোমরে গুলি লাগে অন্যজনের পায়ে। জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ দুই ডাকাতের একজনের বাড়ি চাঁচলে এবং অপরজনের বাড়ি গাজলের কেষ্টপুরে।

টোটোচালকরা সাবধান! টোটো চার্জ দেওয়া নিয়ে বড় নির্দেশ, না মানলে মোটা টাকা জরিমানা

মালদহ: আপনার কি টোটো আছে? বাড়িতে‌ নিয়মিত সেই টোটো চার্জ দেন! এবার বাড়িতে টোটোয় চার্জ দেওয়ার জন্য দিতে হবে অতিরিক্ত টাকা।

নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে বিদ্যুৎ দফতর। বাড়িতে টোটোয় চার্জ দেওয়ার জন্য বসাতে হবে আলাদা মিটার। নিতে হবে বিদ্যুৎ দফতরের অনুমতি।

এতদিন টোটোচালকেরা ইচ্ছেমতো চার্জ করেছেন টোটোয়। সাধারণত প্রত্যেকেই নিজের বাড়িতেই টোটোর চার্জ দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রতিটি বাড়িতে যে ইলেকট্রিক লাইন রয়েছে তার ধারণ ক্ষমতা কম। টোটোর চার্জ করতে গেলে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। সেইমতো ট্রান্সফরমার গুলো তৈরি নয়।

আরও পড়ুন- অযথা প্রতি মাসে এত্ত এত্ত টাকা বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন! এই নিয়মে চললে খরচ হাফ!

এদিকে শহর থেকে গ্রাম প্রায় সর্বত্র ইলেকট্রিক লাইনে চার্জ দেওয়া হচ্ছে টোটোর। কিন্তু কোনও অনুমতি নেওয়া নেই বিদ্যুৎ দফতরের। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। লো ভোল্টেজ লোড সেটিং এর মতো ঘটনা ঘটছে।

এবার বিদ্যুৎ সঠিক ব্যবহার করতে ও কোন এলাকায় কত টোটো চার্জ দেওয়া হয় সেই পরিসংখ্যান দেখে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার অভিষেক দে বলেছেন, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। বাড়িতে টোটো চার্জের জন্য আলাদা মিটার নিতে হবে। যদিও এই মিটারের খরচ খুব কম।

বাড়িতে ইলেকট্রিক মিটার থাকলেও আলাদা করে আরও একটি নতুন বিদ্যুতের সংযোজন নিতে হবে টোটো চালকদের। বাড়ির বিদ্যুৎ মিটারের থেকে এই মিটারের খরচ তুলনায় অনেক কম।

আরও পড়ুন- মাইক্রোসফটের সার্ভার বিভ্রাটের জেরে কম্পিউটারে ব্লু স্ক্রিন এরর? কী ভাবে মেটাবেন

কত ওয়াটের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, সেই মতো বিদ্যুৎ দফতরে অগ্রিম টাকা দিতে হবে। ইতিমধ্যে মালদহ জেলা বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি প্রান্তে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে টোটো চালকদের।

টোটো চালকদের আলাদা মিটারের জন্য আবেদন করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এর পরও যদি কোনও টোটো চালক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়িতে টোটো চার্জের জন্য মিটার না বসিয়ে থাকেন তা হলে বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ওই টোটো চালকের বিরুদ্ধে।

এই পরিষেবা সঠিকভাবে চালু হলে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে দাবি বিদ্যুৎ দফতরের। সুষ্ঠুভাবে টোটো চার্জ করতে পারবেন মালিকেরা।

হরষিত সিংহ

Malda: উত্তপ্ত মালদহ…! বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ ঘিরে বিক্ষোভ, ‘গুলি’? জেলাশাসককে ফোন মুখ্য সচিবের

মালদহ: মালদহের মানিকচকের ঘটনা ঘিরে তৎপর নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি রাজ্যের মুখ্য সচিবের ফোন গেল মালদহ জেলা শাসকের কাছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে পরিস্থিতি কী সেটা জানতেই মুখ্য সচিব ফোন করেছেন জেলাশাসককে। কী ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে সবিস্তারে টেলিফোনিক আলোচনা মুখ্য সচিবের। যদিও মালদহ প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমনটাই মালদহ জেলাশাসক জানিয়েছে মুখ্য সচিবকে।

ঘটনায় কোনওরকম প্রশাসনিক গাফিলতি যাতে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করে জেলাশাসককে প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। পুলিশ ও গ্রামবাসী দুই তরফেই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। মালদহ জেলা শাসক ঘটনার রিপোর্ট দিলেন মুখ্য সচিবকে। সূত্রের খবর, কে কে আহত, কোথায় কোথায় আঘাত পেয়েছেন? সেসব কিছুই- ইতিমধ্যেই হাসপাতালের থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীদের আঘাত কেমন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে প্রশাসনিক তরফে।

উল্লেখ্য, মালদহের মানিকচকের ঘটনায় এখনও গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করেনি পুলিশ। অবরোধকারী এবং পুলিশ দুই তরফেই জখম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এ পর্যন্ত ঘটনায় আটক ৫জন। এলাকায় চলছে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযান। মানিকচকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত, আক্রান্ত পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন মানিকচক থানার আইসি। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও খবর। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, নয়ানজুলিতে পুলিশের গাড়ি ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনায় সংবাদ মাধ্যম আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। গোটা এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা।

প্রসঙ্গত, মালদহের মানিয়াচকের এনায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে তুমুল বিক্ষোভ ও রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় বৃহস্পতিবার। মালদহ- মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার গ্রামবাসীরা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ব্যাপক দুর্ভোগ হয় সাধারণ যাত্রীদের। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ক্ষিপ্ত বাসিন্দাদের পাল্টা অভিযোগ, দিনের মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে মানিকচকে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের অভাবে চরম কষ্টে পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। পানীয় জলের সমস্যা, চাষবাসের সমস্যা, এমনকি দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শিশু, বৃদ্ধ-সহ অসুস্থ মানুষজন সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি, উল্টে বুধবার রাতে মানিকচক বিদ্যুৎ দফতরে সমস্যা জানাতে গেলে বাসিন্দাদের পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর তারই প্রতিবাদে সকাল থেকে শুরু হয় লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ।

অবরোধকারী ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। পুলিশের গুলিতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও অভিযোগ। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এদিন সকাল থেকেই। ঘটনা ঘিরে তৎপর নবান্ন। কী কারণে গুলি চালাতে হল পুলিশকে, কারা কারা অসুস্থ তা জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চায় নবান্ন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলাশাসক তাঁর রিপোর্ট দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনও কসুর রাখতে চাইছে না প্রশাসন।

 

মালদহে ভয়াবহ নদী ভাঙন, রোজই পাড় ভাঙছে গঙ্গা ও কোশি নদী

মালদহ:  উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়তেই ভয়াবহ নদীভাঙন মালদহে। পাড় ভাঙছে গঙ্গা ও কোশি নদী। মালদহের ভূতনিতে ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। পরিদর্শনে প্রশাসন।

বর্ষার শুরুতেই ভয়াবহ নদী ভাঙন শুরু মালদহে। বিঘের পর বিঘে চাষ জমি নদীগর্ভে। ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনির উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর কলোনি ও কোশিঘাট এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গঙ্গা ও কোশী নদীর জোড়া তাণ্ডবে প্রতি মুহূর্তে পাড় ভাঙছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোশি নদীর জল হঠাৎ করে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় সেই জল ঢুকছে গঙ্গা নদীতে। এর ফলে দ্রুত বাড়ছে দুই নদীর জলস্তর। আর এতেই বিপত্তি।

আরও পড়ুন- বৃষ্টির সঙ্গেঝোড়ো হাওয়া, মুহুর্মুহু বাজ! কলকাতা-সহ দক্ষিণের ৬ জেলায় দুর্যোগ

ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে ভাঙন পরিস্থিতি। চোখের সামনে জমি কার্যত গিলে খাচ্ছে নদী। অথচ, নিরুপায় হয়ে দেখা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। এরইমধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে।

অনেকেই বলছেন, যেসব এলাকায় কাজ করার কথা তা হচ্ছে না। কাজ হচ্ছে অন্য জায়গায়। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এতেই বাড়ছে বিপদ। অবিলম্বে ভাঙন রোধ করা না গেলে নদীবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জল ঢুকতে পারে বলেও আশঙ্কা।

এদিকে মালদহের ভূতনির ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রশাসনিক মহলেও। এলাকায় গিয়ে স্বচক্ষে ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মালদহের মহকুমা শাসক সহ ব্লক প্রশাসন ও সেচদপ্তরের কর্তারা।

প্রশাসনিক কর্তাদের পরিদর্শনের সময়ও ভয়াবহ ভাঙন লক্ষ্য করা যায়। নদীপাড়ের পাশাপাশি লঞ্চে চেপেও নদী ভাঙন পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক কর্তারা। হঠাৎ করে নদীর জলের স্রোত বাড়াতেই ভাঙন হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- টোটো নিয়ে বড় খবর, রাস্তায় দাপাদাপির দিন শেষ, প্রশাসনের বড়সড় সিদ্ধান্ত

দ্রুত সেসব এলাকায় কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালদহের মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং। এরইমধ্যে ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

মানিকচক তথা ভুতনিতে ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তাঁর যুক্তি,  ভাঙন জাতীয় বিপর্যয়।

পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড এই তিন রাজ্যে মিলে একযোগে কাজ না করলে ভাঙন সমস্যা মিটবে না। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলছে না।আর বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডলের পাল্টা দাবি, রাজ্যের দুর্নীতির ফলেই নদী ভাঙন সমস্যা মিটছে না। রাজ্য নিজেও কাজ করছে না। কেন্দ্রকেও কাজ করতে দিচ্ছে না।

গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টা! বাধা দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড গাড়ির মালিকের সঙ্গে

মালদহ: চার চাকা গাড়ি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা। শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ। আক্রান্ত ব্যবসায়ী ভর্তি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার অঞ্চল মোড় এলাকায়। জানা গিয়েছে,আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম আতিউর মাহাতল। বাড়ি বড়কল চন্ডীপুর এলাকায়।

পরিবার সূত্রে দাবি, বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে অঞ্চল মোড় এলাকায় ওই ব্যক্তির একটি স্টিল ফ্যাক্টরি রয়েছে। রাতে পাড়াতে জলসার অনুষ্ঠান চলছিল। এই অনুষ্ঠান শেষে স্টিল ফ্যাক্টরি হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় কয়েকজন স্টিল ফ্যাক্টরিতে রাখা তাঁর চারচাকা গাড়ি ছিনতাইয়ের করছিল।

ঘটনা দেখে ফেলে প্রতিবাদ করায় ওই ব্যবসায়ীকে চারজন দুষ্কৃতি মিলে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করে। ধারা রাস্তা দিয়ে শরীরে কোপ দেওয়া হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর চিৎকারে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন- টোটো নিয়ে বড় খবর, রাস্তায় দাপাদাপির দিন শেষ, প্রশাসনের বড়সড় সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।আক্রান্ত ব্যবসায়ীর ভাই রাজেন মাহালত দাবি করে বলেন, দুষ্কৃতীদের কয়েকজনকে চেনা সম্ভব হয়েছে। পুলিশকে সে সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিন সাধারণভাবে রাতে দাদা আর ফ্যাক্টরিতে যান না। অন্যদিকে ফ্যাক্টরিতেই রাতে রাখা থাকে তাঁর গাড়ি। ঘটনাক্রমে গতকাল রাতে ওই এলাকায় গিয়ে গাড়ি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ঘটনা দেখে ফেলেন তিনি। আর এতেই আক্রান্ত হতে হয়।

আরও পড়ুন- বৃষ্টির সঙ্গেঝোড়ো হাওয়া, মুহুর্মুহু বাজ! কলকাতা-সহ দক্ষিণের ৬ জেলায় দুর্যোগ

পরিবারের সন্দেহ, গাড়ি যে প্রতি রাতে ফ্যাক্টরি চত্বরে থাকে সম্ভবত আগে থেকে তা লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা।পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর ওপর হামলার পেছনে সত্যি গাড়ি চুরির ঘটনা রয়েছে নাকি এর পেছনে অন্য কোনও পুরনো শত্রুতা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

বিপদের গন্ধ! দেড়শো ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ! সতর্কতা জারি, নড়েচড়ে বসল পুরসভা

মালদহ:  মালদহে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪২। বেশ কিছু ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসা হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসন ও পুরসভা। ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।

মালদহের ইংরেজবাজার শহর, কালিয়াচক ১ ,২ এবং ৩ নম্বর ব্লকে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। গত বছরের তুলনায় এবার মালদহে ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি।

আরও পড়ুন- এক ফলেই কাবু ‘হাজার রোগ’! লিভারের সমস‍্যা থেকে ডায়াবেটিস, ধারে কাছে ঘেঁষবে না

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্লকের বিডিওদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব দ্রুত মালদহে কিছু চিকিৎসক এবং নার্সিং কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্ষার মরশুমে জমা জলে যাতে ডেঙ্গুবাহী মশার বাড়বাড়ন্ত না হয় সেই জন্য পরিবেশ ও পরিছন্নতা রক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার সমস্ত ব্লকে এজন্য বিডিওদের বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে।

মালদহ শহরে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু সমীক্ষা করছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কোনও বাড়ির কোথাও জমা জল রয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন পুরসভার কর্মীরা।

একইসঙ্গে চলছে সচেতনতা বিযয়ক প্রচারপত্র বিলি। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এবার মালদহে ডেঙ্গু রোগী বেশি ধরা পড়ার একটি কারণ হল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন- সাবধান! ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট কারণগুলি জানেন তো? শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেয়

দীর্ঘদিন কারও জ্বর হলে বা সন্দেহজনক মনে হলে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভয়ভীতির প্রয়োজন নেই। তবে সচেতনতার অবশ্যই প্রয়োজন।যদিও এরইমধ্যে মালদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষন জঞ্জাল জমে থাকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই জঞ্জাল জমে থাকার সমস্যা রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাস্তায় জঞ্জাল সাফাই এবং জমা জল নিষ্কাশনে বাড়তি নজর দেওয়ার দাবি করেছে বিরোধী বিজেপি।