বেঙ্গালুরু: জীবনের সব থেকে বড় ধাক্কাটা সামলাতে তাঁর সময় লেগেছিল। তবে সেই ধাক্কা তিনি সামলে আবার মাঠে ফিরেছিলেন।
ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এমনকী আইপিএলেও তাঁর কথা স্মরণে থাকবে সমর্থকদের। একটা সময় জীবনের সব থেকে বড় ধাক্কাটা খেয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক।
দীনেশ কার্তিকের গর্ভবতী স্ত্রী প্রেমে পড়েন মুরলী বিজয়ের। সেই মুরলী বিজয় তখন আবার কার্তিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নিয়মিত মুরলীর যাতায়াত ছিল কার্তিকের বাড়িতে।
আরও পড়ুন- আইপিএলের মাঝেই অবসর ভারতীয় ক্রিকেটারের! চোখের জলে জানালেন বিদায়
ক্রিকেট জীবনের মতোই ব্যক্তিগত জীবনেও নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। বিশেষ করে তাঁর সাংসারিক জীবন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব ক্রিকেট কেরিয়ারে পড়ে একটা সময়।
ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন দীনেশ কার্তিক ও নিকিতা বানজারা। তাঁদের দুই পরিবারের মধ্যেও ছিল ঘনিষ্ঠতা। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন কার্তিক-নিকিতা। ২২ বছর বয়সী দিনেশ তখন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য।
নিকিতা বানজারা বেড়ে ওঠেন কুয়েতে। বাণিজ্যে স্নাতক তিনি। তাঁর সঙ্গে পরিচয় ভারতীয় দলের আরেক নিয়মিত সদস্য মুরালি বিজয়। যেটা একসময় পরিণয়ে পরিণত হয়।
জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীনেশ কার্তিকের সতীর্থ ছিলেন মুরলী। দু’জনই তামিলনাড়ুর। একইসঙ্গে খেলেছেন আইপিএলেও। ২০১২ সালে রঞ্জি ট্রফির সময় কার্তিক জানতে পারেন মুরলী-নিকিতার সম্পর্কের কথা। কিন্তু বিষয়টা বাইরে গড়াতে দেননি তিনি।
পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমেই আলাদা হয়ে যান দীনেশ কার্তিক ও নিকিতা বানজারা। ততদিনে অবশ্য নিকিতা অন্তঃসত্ত্বা। এর পর মুরলী বিজয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নিকিতা।
আরও পড়ুন- দল হারলেও বিরাট নজির গড়লেন কোহলি, আরও একবার নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়
নিকিতা অন্তঃসত্ত্বা—বিষয়টা হাসিমুখেই মেনে নিয়েছিলেন মুরলী। ২০১৩ সালে তাদের ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান নবীন। জানা যায়, আইপিএলের কোনো এক মরসুমে পরিচয় হয়েছিল মুরলী-নিকিতার। কিন্তু ঠিক কত বছর তাঁরা এই সম্পর্কের বিষয়টা দীনেশ কার্তিক-সহ সবার আড়ালে রাখে সেটা কখনই জানা যায়নি।
নবীনের পর আরও এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নিকিতা বানজারা। তিন সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন মুরলী-নিকিতা। এর পর দীনেশ কার্তিক সেই ধাক্কা সামলে বিয়ে করেন দীপিকা পাল্লিকেলকে। কার্তিক আবার ক্রিকেটে ফেরেন। তবে আর আইপিএলে দেখা যাবে না তাঁকে।