General Knowledge: সরকারি দুর্নীতি থেকে বেকারত্ব! বিশ্বের কোন কোন দেশে অপরাধের হার বেশি? রইল তালিকা

অপরাধের হার এক-এক দেশে এক-এক রকম। আর এটা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর। উদাহরণস্বরূপ, দারিদ্র্যের উচ্চহার এবং বেকারত্বের কারণে বাড়তে পারে দেশের অপরাধের হার। আবার কড়া পুলিশি পদক্ষেপ এবং কঠিন শাস্তির কারণে অপরাধের হার কমতে থাকে। আবার বয়সের সঙ্গে অপরাধের একটা পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিংসাত্মক অপরাধ করে ২০-৩০ বছর বয়সীরাই। বিশ্বের যেসব দেশে অপরাধের হার সবথেকে বেশি, সেই রকম ১০টি দেশের তালিকা এখানে দেওয়া হল।

ভেনেজুয়েলা:

ভেনেজুয়েলার ক্রাইম ইন্ডেক্স ৮৩.৭৬। এমনকী এখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল ৪ নির্দেশিকা জারি করেছে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট। অপরাধের হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হল সরকারি দুর্নীতি।

পাপুয়া নিউ গিনি:

এখানকার ক্রাইম ইনডেক্স ৮০.৭৯। দ্রুত সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পালাবদলই মূলত অপরাধের আগুনে ঘি ঢালেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা:

অপরাধের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে নিগ্রহ, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং আরও নানা ধরনের হিংসাত্মক অপরাধ দেখা যায়। এর অন্যতম মূল কারণগুলি হল দারিদ্র্য, অসাম্য এবং বেকারত্ব।

আফগানিস্তান:

অপরাধের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। দুর্নীতি, হত্যা, সুপারি হত্যাকাণ্ড, মাদক পাচার, অপহরণ, অর্থ পাচারের আকারে এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়। ২০২০ সালে বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ অবৈধ আফিম সরবরাহ করেছে আফগানিস্তান।

হন্ডুরাস:

এখানকার ক্রাইম ইনডেক্স ৭৪.৫৪। ২০১২-র এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ২০টি করে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে হন্ডুরাসে। এর পিছনে হাত ছিল কিছু বন্দুকবাজ দলের। এছাড়াও আমেরিকার বড়সড় মাদক পথ হিসেবে গণ্য করা হয় এই জায়গাকে।

ত্রিনিদাদ ও টোবাগো:

অপরাধের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এই দেশ। অপরাধদমনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এর পাশাপাশি এই দেশে অবৈধ অস্ত্রের বিপুল চাহিদা রয়েছে। পর্যটকদের সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল ২ ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

গুয়ানা:

সারা বিশ্বের মধ্যে গুয়ানার অপরাধের হার ৬৮.৭৪। আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা পাওয়ার জন্য কঠোর লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের দ্বারা অস্ত্রের ব্যবহার সাধারণ হয়ে উঠেছে। আর গার্হ্যস্থ হিংসাও এখানকার রোজকার ঘটনা।

এল সালভাদর:

অপরাধের নিরিখে এই দেশও রয়েছে তালিকায়। সম্পত্তিগত অপরাধ, ডাকাতি-চুরি এবং গাড়ি চুরির মতো বিষয় এখানে সবথেকে সাধারণ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: বলুন তো পেঁয়াজ আমিষ না নিরামিষ? রান্নাঘরের সঙ্গীর আসল পরিচয় অনেকেই জানে না…

আরও পড়ুন: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ

ব্রাজিল:

এখানে উচ্চ হারে হিংসাত্মক অপরাধ হতে দেখা যায়। শত্রুগোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা-মারামারি, মাদক পাচার, দুর্নীতি, গার্হস্থ্য হিংসা ব্রাজিলে খুবই সাধারণ বিষয়।

জামাইকা:

সরকারি দুর্নীতি, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, যৌন নিগ্রহ এবং উচ্চহারের হিংসাত্মক অপরাধই এই দেশের অপরাধের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানকার স্প্যানিশ শহরতলি, কিংসটন এবং মন্টেগো বে-র কিছু অংশে পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়।