নেপালে দুর্ঘটনা।

Porsche Car Crash: পুণের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পারিবারিক চালক, দাবি অভিযুক্ত নাবালক ও তার পরিবারের

পুণে: বর্তমানে পুণের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। রবিবার ভোররাতে বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি পিষে দিয়েছিল ২ জনকে। আর পোর্শে গাড়ির চালকের আসনে বসেছিল এক বছর সতেরোর নাবালক। এরপর তার বাবাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এবার মোড় ঘুরল সেই ঘটনার। অভিযুক্ত নাবালক সম্প্রতি দাবি করেছে যে, দুর্ঘটনার সময় গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তাদের পারিবারিক গাড়ির চালক। একই সুর শোনা গেল ওই নাবালকের দুই বন্ধুর কথাতেও। যারা দুর্ঘটনার সময় তার সঙ্গেই ছিল।

অভিযুক্ত নাবালকের বাবা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বিশাল আগরওয়ালও বলেন যে, পারিবারিক গাড়ি চালানোর জন্য তিনি যে চালককে কাজে রেখেছিলেন, তিনিই দুর্ঘটনার সময় পোর্শে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ফলে এই ঘটনায় নতুন মোড় আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মোট ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু, শুধু কলকাতাতেই ৩ হাজার! রিমল আসছে, জানুন বাংলার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝড়ের কথা

প্রসঙ্গত রবিবার রাত ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ কল্যাণ নগর জংশনের কাছাকাছি মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন একদল বন্ধু। সেই সমই দ্রুত গতিতে আসা ওই নাবালকের পোর্শেটি গিয়ে পিষে দিয়েছিল মোটরবাইক আরোহী এক যুবক এবং যুবতীকে। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।

এদিকে ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনায় যোগ থাকার অভিযোগে গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আর প্রথম বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন যে, দুর্ঘটনার সময় পোর্শে গাড়িটি তিনিই চালাচ্ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশাল আগরওয়ালের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সামনে আনার জন্য শুরু হয়েছে তদন্ত।

যেহেতু অভিযুক্ত নাবালকের জামিনদার হয়েছিলেন তার দাদু সুরেন্দ্র কুমার আগরওয়াল। সেই কারণে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বুধবার অবশ্য News18-এর তরফে কিছু নথিপত্র যাচাই করে দেখা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, পুণের এক গুলি চালানোর মামলায় যোগ রয়েছে সুরেন্দ্রর। তাঁর নামে বুন্দ গার্ডেন থানায় মামলা ছিল। পরে অবশ্য সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। আর সিবিআই-এর তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে, ওই নাবালকের দাদুর বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০০৯ সালে শিবসেনার কর্পোরেটর অজয় ভোঁসলেকে খুন করার জন্য ছোটা রাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন সুরেন্দ্র।