মরশুমি ফল শরীরের জন্য খুব উপকারী। যেমন গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল। শীতে কমলালেবু, আপেল। মরশুমি ফল শরীরকে পুষ্টি যোগায়। রোগ থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া খেতেও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকর।মরশুমি ফল শরীরের জন্য খুব উপকারী। যেমন গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল। শীতে কমলালেবু, আপেল। মরশুমি ফল শরীরকে পুষ্টি যোগায়। রোগ থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া খেতেও সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকর।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিত জানান, মিষ্টি এই ফল শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। দুর্বলতা দূর হয়। দৃষ্টিশক্তির জন্যও উপকারী।ক্যানসারের মত মারণ রোগের বিরুদ্ধেও লড়ে সবেদা। এই ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সবেদা গাছের ফুল এবং পাতাও রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আরও জানাচ্ছেন, সবেদা ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবারের মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর। ডায়েটারি ফাইবার-সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে এতে।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. চন্দ্রপ্রকাশ দীক্ষিত বলেন, আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে সবেদার পাতা, মূল এবং বাকল ব্যবহার করা হয়। সবেদায় উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।ফুসফুস এবং মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। এতে স্বাস্থ্যকর মাত্রায় ভিটামিন এ এবং বি রয়েছে যা শরীরকে শ্লেষ্মার হাত থেকে বাঁচায়। হজমশক্তি বাড়ায় সবেদা। তাই পেটের রোগেরও অব্যর্থ ওষুধ। চোখের অনেক সমস্যাতেও সবেদা উপকারী। বিশেষ করে গরমে এই ফল শরীরকে ফিট এবং ঠান্ডা রাখে।সবেদা মস্তিষ্ককে রাখে সুস্থ। তাই গরমে অবশ্যই সবেদা খাওয়া উচিত।তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের সবেদা খাওয়া উচিত নয়। শরীরে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে।সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ১টা থেকে ২টো সবেদা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর বেশি নয়।
