শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Healthy Lifestyle: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ

গত ৪০ বছর ধরে পতঞ্জলিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে। তিনি বলছেন, গ্রীষ্মকালে যদি পিপল গাছের পাতার সঙ্গে শিশম তথা বেল পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রখর রোদেও শরীর ঠান্ডা থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ, ঘাম, পিত্ত, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থেকে মিলবে সম্পূর্ণ মুক্তি। পিপল, রোজউড এবং কাঠ আপেল গাছের পাতা গ্রীষ্মে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পাণ্ডে লোকাল ১৮-কে জানান, ১৫টি পিপল গাছের পাতা এক গ্লাস জলে ভাল করে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না এক তৃতীয়াংশ জল অবশিষ্ট থাকে। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর এই জল পান করতে হবে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। জন্ডিসেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে পিপল গাছের পাতা। তিনি বলছেন, ৫টি পিপল গাছের নরম পাতা পিষে ক্কাত্থ তৈরি করতে হবে। তারপর তাতে হলুদ এবং চিনি মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এতে জন্ডিস নিরাময় হবে।

গ্রীষ্মকালে যদি কেউ পিপল গাছের পাতার সঙ্গে বেল পাতা মিশিয়ে তৈরি করা ক্কাত্থ সেবন করেন, তাহলে দুপুরের প্রখর রোদেও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। শুধু তাই নয়, শরীরের ভিতরও ঠান্ডা ভাব থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত ঘাম, পিত্ত বৃদ্ধি এবং নাক দিয়ে রক্তপাতের মতো সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।

আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে বলেন, পিপল গাছের পাতা খুবই তেঁতো খেতে। তাই এই পাতার ক্কাত্থ তৈরি করলে কম জলে ৩ থেকে ৫টি পাতা দেওয়া উচিত। এবং দিনে ২ থেকে ৩ বার এই ক্কাত্থ পান করতে হবে। একইভাবে পিপল পাতা গুঁড়ো করে সেবন করলে দিনে আড়াই থেকে পাঁচ গ্রামের বেশি নেওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন– সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘রিমল’! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি? জেনে নিন

বলে রাখা ভাল, প্রথাগতভাবে, পিপল গাছের পাতার রস কাশি, হাঁপানি, ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, হেমাটুরিয়া (প্রস্রাবে রক্ত), মাইগ্রেন, চুলকানি, চোখের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ওষুধ হিসেবে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। পিপল গাছের কাণ্ডের বাকল প্যারালাইসিস, গনোরিয়া, হাড় ভাঙা, ডায়রিয়া ও ডায়াবেটিস রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।