Tag Archives: ayurveda
Medicinal Plant: প্রোটিনের পাওয়ারহাউস…! বডিবিল্ডাররাও ব্যবহার করেন! ‘এই’ পাতা মানুষ থেকে পশু সবার জন্য আয়ুর্বেদের আশীর্বাদ
Ayurveda Leaf: ওষুধের রাজা…! ডায়াবেটিস, ম্যালেরিয়ার চরম শত্রু! দেশি এই ‘পাতা’ পরিষ্কার করে রক্ত! আয়ুর্বেদের এক অলৌকিক আশীর্বাদ
Amrit Food: দীর্ঘায়ু দেয় ‘সোনার খনি’! আপনার হাতের কাছে থাকা এই ৯ খাবারই আয়ুর্বেদে ‘অমৃত’
Healthy Lifestyle: আগাছা ভেবে অবহেলা করলেই চরম বিপদ, ‘এভাবে’ খেলেই বেরিয়ে আসবে শরীরের নোংরা-ময়লা, সাপের বিষেরও যম!
Healthy Lifestyle: আয়ুর্বেদিক ওষুধের ‘রানি’…! পুষ্টির ভাণ্ডার এই ভেষজ, পুরুষ-মহিলাদের জন্য আশীর্বাদ, মাত্র ৭ দিন খেলেই শরীর-যৌবন চাঙ্গা!
Ayurvedic Plant Garden: বাঁকুড়ার এই সরকারি বাংলোয় আছে ভেষজ রত্নে ভরা জীবনদায়ী বাগান, নেপথ্যকাহিনি জানলে চমকে যাবেন
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার আনাচেকানাচে যে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলি দেখে আপনারা আগাছা বলে মনে করেন তার অধিকাংশরই রয়েছে ভেষজ গুণ! বাঁকুড়ায় আয়ুষ শাখার হাত ধরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ভেষজ বাগান। তেমনই একটি বাগান রয়েছে বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি বাংলোয়। মোটামুটি আকারে দুই থেকে আড়াই কাঠার মতো জায়গায় তৈরি এই ভেষজ বাগানে পাওয়া যাবে এক একটি ভেষজ রত্ন। সহজলভ্য এই গাছগুলি চেনেনই না অনেকে যেমন, কালমেঘ, সিট্রোনেলা, কুলেখাড়া এবং ঘৃতকুমারী। এই বাগান তৈরি করা হয়েছে বাঁকুড়া আয়ুষ শাখার তরফ থেকে।
এমনিতেই সরকারি বাংলো, ছিমছাম। গাছগাছালিতে ঘেরা সুন্দর পরিবেশ। বাগানে প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা রয়েছে নাম। সেই নাম দেখে খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারবেন গাছটি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মানুষের ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আয়ুষ শাখার এমন চিন্তাভাবনা। এছাড়াও নিজেদের বাগানের ভেষজ উদ্ভিদগুলিও নানারকম ভাবে জনকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই দফতর থেকে।
আরও পড়ুন : মহিষাদলের রথযাত্রা দেখতে যাবেন? বিশদে জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী চিকিৎসকরা ওষধি গাছ ব্যবহার করে আসছেন এবং মানবতার ঐতিহ্যগত জ্ঞানের অংশ এই ভেষজ পাঠ। ভারতবর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের নাম। প্রাচীন ভারতে এই উদ্ভিদ ব্যাবহার করে এক অন্য মাত্রায় পোঁছে ছিল তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাঁকুড়ার মাটিও বহু প্রাচীন, রয়েছে ভেষজ ইতিহাস এবং প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। যেখানে গেলে আজও খুঁজে পাওয়া যাবে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদ। সেই কারণেই বাঁকুড়ার আয়ুষ ভেষজ উদ্যানগুলি একটি বিশেষ বার্তা বহন করছে।
Healthy Lifestyle: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ
গত ৪০ বছর ধরে পতঞ্জলিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে। তিনি বলছেন, গ্রীষ্মকালে যদি পিপল গাছের পাতার সঙ্গে শিশম তথা বেল পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রখর রোদেও শরীর ঠান্ডা থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ, ঘাম, পিত্ত, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থেকে মিলবে সম্পূর্ণ মুক্তি। পিপল, রোজউড এবং কাঠ আপেল গাছের পাতা গ্রীষ্মে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পাণ্ডে লোকাল ১৮-কে জানান, ১৫টি পিপল গাছের পাতা এক গ্লাস জলে ভাল করে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না এক তৃতীয়াংশ জল অবশিষ্ট থাকে। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর এই জল পান করতে হবে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। জন্ডিসেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে পিপল গাছের পাতা। তিনি বলছেন, ৫টি পিপল গাছের নরম পাতা পিষে ক্কাত্থ তৈরি করতে হবে। তারপর তাতে হলুদ এবং চিনি মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এতে জন্ডিস নিরাময় হবে।
গ্রীষ্মকালে যদি কেউ পিপল গাছের পাতার সঙ্গে বেল পাতা মিশিয়ে তৈরি করা ক্কাত্থ সেবন করেন, তাহলে দুপুরের প্রখর রোদেও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। শুধু তাই নয়, শরীরের ভিতরও ঠান্ডা ভাব থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত ঘাম, পিত্ত বৃদ্ধি এবং নাক দিয়ে রক্তপাতের মতো সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।
আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে বলেন, পিপল গাছের পাতা খুবই তেঁতো খেতে। তাই এই পাতার ক্কাত্থ তৈরি করলে কম জলে ৩ থেকে ৫টি পাতা দেওয়া উচিত। এবং দিনে ২ থেকে ৩ বার এই ক্কাত্থ পান করতে হবে। একইভাবে পিপল পাতা গুঁড়ো করে সেবন করলে দিনে আড়াই থেকে পাঁচ গ্রামের বেশি নেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন– সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘রিমল’! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি? জেনে নিন
বলে রাখা ভাল, প্রথাগতভাবে, পিপল গাছের পাতার রস কাশি, হাঁপানি, ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, হেমাটুরিয়া (প্রস্রাবে রক্ত), মাইগ্রেন, চুলকানি, চোখের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ওষুধ হিসেবে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। পিপল গাছের কাণ্ডের বাকল প্যারালাইসিস, গনোরিয়া, হাড় ভাঙা, ডায়রিয়া ও ডায়াবেটিস রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।