Tag Archives: ayurveda

Curd: ‘নুন’ দিয়ে, না ‘চিনি’ দিয়ে…? বর্ষাকালে ‘দই’ কী ভাবে খেলে বেশি উপকার? যা বলছে আয়ুর্বেদ!

বর্ষাকাল মানেই নানা রকমের সংক্রমণে জেরবার হওয়ার মরশুম। একদিকে জলীয়বাষ্প পূর্ণ জোলো আবহাওয়া, অন্য দিকে ভ্যাপসা গরম। এমন আবহাওয়ায় ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সকলে। সুস্থ থাকতে রোজের পাতে টক দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
বর্ষাকাল মানেই নানা রকমের সংক্রমণে জেরবার হওয়ার মরশুম। একদিকে জলীয়বাষ্প পূর্ণ জোলো আবহাওয়া, অন্য দিকে ভ্যাপসা গরম। এমন আবহাওয়ায় ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সকলে। সুস্থ থাকতে রোজের পাতে টক দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
দই খাওয়া যে উপকার সে কথা কে না জানে। বিশেষজ্ঞদের মতে সব ঋতুতেই দই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে ওজন কমানো, টক দইয়ের গুণের শেষ নেই। বিশেষ করে ওজন কমিয়ে যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের রোজের পাতে টক দই থাকেই।
দই খাওয়া যে উপকার সে কথা কে না জানে। বিশেষজ্ঞদের মতে সব ঋতুতেই দই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে ওজন কমানো, টক দইয়ের গুণের শেষ নেই। বিশেষ করে ওজন কমিয়ে যাঁরা রোগা হতে চাইছেন, তাঁদের রোজের পাতে টক দই থাকেই।
কিন্তু এই দই নিয়েই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রয়েছে বিশেষ পরামর্শ। দই যেমন ভাল তেমনই এই খাবারটি নিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় ও থাকে অনেক সময়। যদিও কেউ কেউ দই খাওয়ার সময় এক চিমটে নুন কিংবা চিনি মিশিয়ে খান স্বাদের জন্য, কিন্তু অনেকেই জানেন না এক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তির শরীরে।
কিন্তু এই দই নিয়েই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রয়েছে বিশেষ পরামর্শ। দই যেমন ভাল তেমনই এই খাবারটি নিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় ও থাকে অনেক সময়। যদিও কেউ কেউ দই খাওয়ার সময় এক চিমটে নুন কিংবা চিনি মিশিয়ে খান স্বাদের জন্য, কিন্তু অনেকেই জানেন না এক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তির শরীরে।
উত্তর প্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সরোজ গৌতম বলেন, গরম থেকে আরাম পেতে দই খাওয়া হলেও দইয়ের প্রভাব কিন্তু আদতে গরম। এর প্রকৃতি অম্লীয় এবং এটি কোনও কিছু না মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়।
উত্তর প্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সরোজ গৌতম বলেন, গরম থেকে আরাম পেতে দই খাওয়া হলেও দইয়ের প্রভাব কিন্তু আদতে গরম। এর প্রকৃতি অম্লীয় এবং এটি কোনও কিছু না মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়।
কিন্তু নুন না চিনি? দইতে কী মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার? দইয়ে মুগ ডাল, মধু, ঘি, চিনি ও আমলা মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার পাওয়া যায় বলেও মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু নুন না চিনি? দইতে কী মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার? দইয়ে মুগ ডাল, মধু, ঘি, চিনি ও আমলা মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার পাওয়া যায় বলেও মনে করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণ দই কিন্তু আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং এর ফলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়ুর্বেদে পরিষ্কার বলা আছে যে রাতে দই এড়িয়ে চলা উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়।
সাধারণ দই কিন্তু আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং এর ফলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়ুর্বেদে পরিষ্কার বলা আছে যে রাতে দই এড়িয়ে চলা উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়।
লবণ বা চিনি কি দইতে যোগ করা উচিত? ডক্টর সরোজ গৌতমের মতে, আপনি মাঝে মাঝে লবণ মিশ্রিত দই খেতে পারেন, তবে তা সবসময় খাওয়া উচিত নয়। দইয়ের প্রভাব গরম এবং এতে বেশি লবণ যোগ করলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
লবণ বা চিনি কি দইতে যোগ করা উচিত? ডক্টর সরোজ গৌতমের মতে, আপনি মাঝে মাঝে লবণ মিশ্রিত দই খেতে পারেন, তবে তা সবসময় খাওয়া উচিত নয়। দইয়ের প্রভাব গরম এবং এতে বেশি লবণ যোগ করলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
দই এই ভাবে খেলে চুল পড়া, চুল অকালে পেকে যাওয়া এবং ত্বকে ব্রণ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দইয়ে লবণ দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
দই এই ভাবে খেলে চুল পড়া, চুল অকালে পেকে যাওয়া এবং ত্বকে ব্রণ হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দইয়ে লবণ দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
অন্যদিকে, দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এর প্রভাব ঠাণ্ডা হয় এবং এটি খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। দইয়ে গুড় মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এর প্রভাব ঠাণ্ডা হয় এবং এটি খেলে কোনও ক্ষতি হয় না। দইয়ে গুড় মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, নুন না চিনি দিতে কোনটি খাওয়া আপনার জন্য উপকার।দইয়ের সঙ্গে নুন মেশালে কী হবে?
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, নুন না চিনি দিতে কোনটি খাওয়া আপনার জন্য উপকার।
দইয়ের সঙ্গে নুন মেশালে কী হবে?
১) হজমের সমস্যা নিরাময় করতে টক দইয়ের সঙ্গে নুন মিশিয়ে নিতে পারেন।২) ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে নুন। দই বা লস্যির সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিলে ক্লান্তি দূর হয়।
১) হজমের সমস্যা নিরাময় করতে টক দইয়ের সঙ্গে নুন মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে নুন। দই বা লস্যির সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিলে ক্লান্তি দূর হয়।
৩) আবার যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিলে ক্যালোরি পোড়ানোর কাজটি সহজ হবে।
৩) আবার যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিলে ক্যালোরি পোড়ানোর কাজটি সহজ হবে।
৪) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিয়োভাসকুলার সমস্যা কিংবা কিডনির কোনও রোগ রয়েছে, তাঁরা দইতে বেশি নুন খাবেন না।দইয়ের সঙ্গে চিনি মেশালে কী হবে?
৪) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিয়োভাসকুলার সমস্যা কিংবা কিডনির কোনও রোগ রয়েছে, তাঁরা দইতে বেশি নুন খাবেন না।
দইয়ের সঙ্গে চিনি মেশালে কী হবে?
১) টক দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে চিনি মিশিয়ে নিলে তা তৎক্ষণাৎ শরীরে এনার্জি দিতে পারে। বিশেষ করে, শরীরচর্চা করার পর ক্লান্তি কাটাতে এই টোটকা বেশ কাজের।
১) টক দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে চিনি মিশিয়ে নিলে তা তৎক্ষণাৎ শরীরে এনার্জি দিতে পারে। বিশেষ করে, শরীরচর্চা করার পর ক্লান্তি কাটাতে এই টোটকা বেশ কাজের।
২) শিশুরা অনেক সময়ে টক দই খেতে চায় না। সামান্য একটু চিনি মিশিয়ে নিলে স্বাদ বাড়বে। শিশুদের প্যাকেজড পানীয় না খাইয়ে চিনি দিয়ে দই খাওয়াতে পারেন। এতে তাদের এনার্জি বাড়বে। এক্ষেত্রে দই চিনি দিয়ে খাওয়ানোই শ্রেয়।
২) শিশুরা অনেক সময়ে টক দই খেতে চায় না। সামান্য একটু চিনি মিশিয়ে নিলে স্বাদ বাড়বে। শিশুদের প্যাকেজড পানীয় না খাইয়ে চিনি দিয়ে দই খাওয়াতে পারেন। এতে তাদের এনার্জি বাড়বে। এক্ষেত্রে দই চিনি দিয়ে খাওয়ানোই শ্রেয়।

Medicinal Plant: প্রোটিনের পাওয়ারহাউস…! বডিবিল্ডাররাও ব্যবহার করেন! ‘এই’ পাতা মানুষ থেকে পশু সবার জন্য আয়ুর্বেদের আশীর্বাদ

মোরিঙ্গা একটি বহুমুখী উদ্ভিদ, যা মানুষ, গবাদি পশু এবং এমনকি মাছও খেতে পছন্দ করে। এটি এতই কার্যকর যে এটি বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টে, ওষুধে, নানান শিল্পে এবং পশুখাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।
মোরিঙ্গা একটি বহুমুখী উদ্ভিদ, যা মানুষ, গবাদি পশু এবং এমনকি মাছও খেতে পছন্দ করে। এটি এতই কার্যকর যে এটি বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টে, ওষুধে, নানান শিল্পে এবং পশুখাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি ড্রামস্টিক, সজনে, সেজান, মুঙ্গা, সরগাভো, সেভগা ইত্যাদি নানা নামে নানা স্থানে পরিচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মোরিঙ্গাকে পশুখাদ্য হিসেবে চাষ করে এক টুকরো জমিতেই ৪ থেকে ৫ বছর ধরে উন্নতমানের সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়।
এটি ড্রামস্টিক, সজনে, সেজান, মুঙ্গা, সরগাভো, সেভগা ইত্যাদি নানা নামে নানা স্থানে পরিচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মোরিঙ্গাকে পশুখাদ্য হিসেবে চাষ করে এক টুকরো জমিতেই ৪ থেকে ৫ বছর ধরে উন্নতমানের সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চাষ করে বছরে ৪ থেকে ৫টি ফসল কাটায় প্রতি হেক্টরে ১০০-১২০ টন সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়, যা মিশ্র খাদ্যে ব্যবহারে মাছসহ ১৮ থেকে ২০টি প্রাণীকে খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চাষ করে বছরে ৪ থেকে ৫টি ফসল কাটায় প্রতি হেক্টরে ১০০-১২০ টন সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়, যা মিশ্র খাদ্যে ব্যবহারে মাছসহ ১৮ থেকে ২০টি প্রাণীকে খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট।
কান্ড এবং বীজ উভয়ই কার্যকরমাঝৌলিয়ার বাসিন্দা পেশায় কৃষক পরশুরাম, গত ২৫ বছর ধরে কৃষিকাজ করছেন, তিনি লোকাল 18-কে বলেন যে, মোরিঙ্গা গাছ লাগিয়ে বা কাণ্ড কেটে চাষ করা যেতে পারে। ক্ষেতে ১ কেজি মরিঙ্গা বীজ থেকে গড়ে প্রায় ২৫০০টি গাছ জন্মায়।
কান্ড এবং বীজ উভয়ই কার্যকর
মাঝৌলিয়ার বাসিন্দা পেশায় কৃষক পরশুরাম, গত ২৫ বছর ধরে কৃষিকাজ করছেন, তিনি লোকাল 18-কে বলেন যে, মোরিঙ্গা গাছ লাগিয়ে বা কাণ্ড কেটে চাষ করা যেতে পারে। ক্ষেতে ১ কেজি মরিঙ্গা বীজ থেকে গড়ে প্রায় ২৫০০টি গাছ জন্মায়।
প্রতিটি অংশই পুষ্টিকরপরশুরামের মতে, কেউ যদি দুগ্ধজাত গবাদি পশুকে দুধ-বর্ধক প্রোটিন সমৃদ্ধ পশুখাদ্য দিতে চান, তাহলে মরিঙ্গা হল সেরা বিকল্প। প্রোটিনের পাওয়ার হাউস তো বটেই, এছাড়াও এতে খনিজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই উদ্ভিদের প্রায় প্রতিটি অংশই পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং তামা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ, যা প্রাণীরা অন্য কোনও আকারে পায় না।
প্রতিটি অংশই পুষ্টিকর
পরশুরামের মতে, কেউ যদি দুগ্ধজাত গবাদি পশুকে দুধ-বর্ধক প্রোটিন সমৃদ্ধ পশুখাদ্য দিতে চান, তাহলে মরিঙ্গা হল সেরা বিকল্প। প্রোটিনের পাওয়ার হাউস তো বটেই, এছাড়াও এতে খনিজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই উদ্ভিদের প্রায় প্রতিটি অংশই পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং তামা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ, যা প্রাণীরা অন্য কোনও আকারে পায় না।
বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিটামিন ই, বি, সি, প্রো-ভিটামিন এ, কেরাটিন তেল এবং অ্যামিনো অ্যাসিডও এতে পাওয়া যায়। এই সমস্ত পুষ্টির ব্যবহার দুগ্ধজাত গবাদি পশুদের মধ্যে দুধের সরবরাহ বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক। মোরিঙ্গার সবুজ পাতা প্রাণীরা খেতে পছন্দ করে।
বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিটামিন ই, বি, সি, প্রো-ভিটামিন এ, কেরাটিন তেল এবং অ্যামিনো অ্যাসিডও এতে পাওয়া যায়। এই সমস্ত পুষ্টির ব্যবহার দুগ্ধজাত গবাদি পশুদের মধ্যে দুধের সরবরাহ বাড়াতে অত্যন্ত সহায়ক। মোরিঙ্গার সবুজ পাতা প্রাণীরা খেতে পছন্দ করে।
বডি বিল্ডাররাও পেশি বৃদ্ধির জন্য এটি ব্যবহার করেন। পশুপালন বিশেষজ্ঞ ডা. জগপাল বলেছেন যে, মোরিঙ্গা ব্যায়ামাগারে পাউডার আকারে পাওয়া যায়, যা বডি বিল্ডাররা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করেন। প্রকৃতপক্ষে, এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক, যার কারণে এটি পেশি বৃদ্ধিতে খুব কার্যকর। এছাড়াও এটি মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়।
বডি বিল্ডাররাও পেশি বৃদ্ধির জন্য এটি ব্যবহার করেন। পশুপালন বিশেষজ্ঞ ডা. জগপাল বলেছেন যে, মোরিঙ্গা ব্যায়ামাগারে পাউডার আকারে পাওয়া যায়, যা বডি বিল্ডাররা ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করেন। প্রকৃতপক্ষে, এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক, যার কারণে এটি পেশি বৃদ্ধিতে খুব কার্যকর। এছাড়াও এটি মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়।

 

Ayurveda Leaf: ওষুধের রাজা…! ডায়াবেটিস, ম্যালেরিয়ার চরম শত্রু! দেশি এই ‘পাতা’ পরিষ্কার করে রক্ত! আয়ুর্বেদের এক অলৌকিক আশীর্বাদ

আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে বিজ্ঞান সব কিছুতেই দেশি যে পাতার উল্লেখ পাওয়া যায় বারে বারে সেই পাতা আর কিছু নয় আমাদের অতি পরিচিত নিম। এমনকি আমরা জানি যে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও নিম থেকে তৈরি ওষুধ অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে বিজ্ঞান সব কিছুতেই দেশি যে পাতার উল্লেখ পাওয়া যায় বারে বারে সেই পাতা আর কিছু নয় আমাদের অতি পরিচিত নিম। এমনকি আমরা জানি যে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও নিম থেকে তৈরি ওষুধ অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ঘরোয়া প্রতিকারেও নিমের ব্যবহার খুবই কার্যকর। তবে জানলে অবাক হবেন যে এই সব ছাড়াও নিমের এমন কিছু গুণ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ঘরোয়া প্রতিকারেও নিমের ব্যবহার খুবই কার্যকর। তবে জানলে অবাক হবেন যে এই সব ছাড়াও নিমের এমন কিছু গুণ রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সরোজ গৌতম নিউজ 18 কে জানিয়েছেন যে আয়ুর্বেদে নিম পাতাকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পাতায় কশয়ার রস থাকে যা খাওয়ার পর মধুর রস (ব্লাড সুগার) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা যদি খালি পেটে কয়েকটি নিম পাতা চিবিয়ে খান, তবে তারা কয়েক দিনের মধ্যে এর প্রভাব লক্ষ্য করতে পারেন। এছাড়াও নিম পাতা ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে। বর্ষায় ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতা উপকারী। তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিম পাতা খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের এগুলি খাওয়া উচিত নয়।
আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সরোজ গৌতম নিউজ 18 কে জানিয়েছেন যে আয়ুর্বেদে নিম পাতাকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পাতায় কশয়ার রস থাকে যা খাওয়ার পর মধুর রস (ব্লাড সুগার) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা যদি খালি পেটে কয়েকটি নিম পাতা চিবিয়ে খান, তবে তারা কয়েক দিনের মধ্যে এর প্রভাব লক্ষ্য করতে পারেন। এছাড়াও নিম পাতা ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে। বর্ষায় ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতা উপকারী। তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিম পাতা খাওয়া উচিত। গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের এগুলি খাওয়া উচিত নয়।
আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে নিমের স্বাদ তেতো হলেও এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুসারে, সকালে খালি পেটে নিম খেলে শরীরের অর্ধেক রোগ সেরে যায়।
আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে নিমের স্বাদ তেতো হলেও এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আয়ুর্বেদ অনুসারে, সকালে খালি পেটে নিম খেলে শরীরের অর্ধেক রোগ সেরে যায়।
ইতিহাসে হাজার হাজার বছর ধরে নিম ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি প্রথম বেদে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এটির রোগ প্রতিরোধকারী বৈশিষ্ট্য এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
ইতিহাসে হাজার হাজার বছর ধরে নিম ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি প্রথম বেদে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এটির রোগ প্রতিরোধকারী বৈশিষ্ট্য এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
ঐতিহ্যগতভাবে, নিম পাতা ত্বক-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন একজিমা, আমবাত, খুশকি এবং ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার।
ঐতিহ্যগতভাবে, নিম পাতা ত্বক-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন একজিমা, আমবাত, খুশকি এবং ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার।
নিম পাতার গুঁড়ো, রস ও তেল বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রে ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। নিমের ঐতিহ্যগত ব্যবহার শুধু ওষুধেই সীমাবদ্ধ নয়। এর পাতাগুলি বাড়িতে জীবাণুনাশক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
নিম পাতার গুঁড়ো, রস ও তেল বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রে ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। নিমের ঐতিহ্যগত ব্যবহার শুধু ওষুধেই সীমাবদ্ধ নয়। এর পাতাগুলি বাড়িতে জীবাণুনাশক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।
নিমপাতা উৎসব এবং পুজোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অসাধারণ ঔষধি উপকারিতার কারণে নিম পাতা এখনও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য পণ্যে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
নিমপাতা উৎসব এবং পুজোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অসাধারণ ঔষধি উপকারিতার কারণে নিম পাতা এখনও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য পণ্যে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
নিম পাতা প্রকৃতির এক অপূর্ব সম্পদ, যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। নিম Azadirachta Indica নামেও পরিচিত, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই পাতা।
নিম পাতা প্রকৃতির এক অপূর্ব সম্পদ, যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। নিম Azadirachta Indica নামেও পরিচিত, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই পাতা।
নিম পাতা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা এটিকে একটি অমূল্য ঔষধি সম্পদ করে তুলেছে যুগ যুগ ধরে।
নিম পাতা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যা এটিকে একটি অমূল্য ঔষধি সম্পদ করে তুলেছে যুগ যুগ ধরে।
আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন, তাহলে নিম পাতা আপনার জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এই পাতা নিয়মিত নিয়ম মাফিক খেলে ব্লাড সুগার স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসে।
আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন, তাহলে নিম পাতা আপনার জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এই পাতা নিয়মিত নিয়ম মাফিক খেলে ব্লাড সুগার স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিম পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা হজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক। তাই নিমপাতা পেটের রোগ দূর করতেও দুর্দান্ত।
নিম পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা হজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক। তাই নিমপাতা পেটের রোগ দূর করতেও দুর্দান্ত।
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য এই পাতা খুবই উপকারী। এই পাতাগুলি মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলতে পারে।
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য এই পাতা খুবই উপকারী। এই পাতাগুলি মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলতে পারে।
নিম পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে, যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়, যা আপনার রক্ত ​​সঞ্চালনকেও উন্নত করে।
নিম পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে, যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়, যা আপনার রক্ত ​​সঞ্চালনকেও উন্নত করে।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Amrit Food: দীর্ঘায়ু দেয় ‘সোনার খনি’! আপনার হাতের কাছে থাকা এই ৯ খাবারই আয়ুর্বেদে ‘অমৃত’

আয়ুর্বেদকে বলা হয় সোনার খনি৷ আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এমন অনেক খাবারের হদিশ আছে, যাদের গুণভান্ডারের জন্য ‘অমৃত’ পরিচয় দেওয়া হয়৷
আয়ুর্বেদকে বলা হয় সোনার খনি৷ আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এমন অনেক খাবারের হদিশ আছে, যাদের গুণভান্ডারের জন্য ‘অমৃত’ পরিচয় দেওয়া হয়৷

 

কোন কোন খাবারকে সর্বগুণের আকর বলা হয়, দেখে নিন৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷
কোন কোন খাবারকে সর্বগুণের আকর বলা হয়, দেখে নিন৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷

 

কাঁচা হলুদকে বলা হয় স্বর্ণালী মশলা৷ এই আয়ুর্বেদিক মশলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর কারকিউমিন যৌগ৷ এর অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ শক্তি, হজমশক্তি, ত্বকের ঔজ্বল্য মজবুত করে৷
কাঁচা হলুদকে বলা হয় স্বর্ণালী মশলা৷ এই আয়ুর্বেদিক মশলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর কারকিউমিন যৌগ৷ এর অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ শক্তি, হজমশক্তি, ত্বকের ঔজ্বল্য মজবুত করে৷

 

স্ট্রেস কমায় এবং কর্মশক্তি বাড়ায় অশ্বগন্ধা৷ মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা বজায় থাকে৷ চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না৷
স্ট্রেস কমায় এবং কর্মশক্তি বাড়ায় অশ্বগন্ধা৷ মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা বজায় থাকে৷ চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না৷

 

স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পরিপূর্ণ ঘি সাহায্য করে হজমে৷ গাঁটের ব্যথা উপশম করে৷ মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে৷
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে পরিপূর্ণ ঘি সাহায্য করে হজমে৷ গাঁটের ব্যথা উপশম করে৷ মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে৷

 

আমলকির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলে৷ ত্বকের উজ্বলতা ও হজমের সুস্থতা বজায় রাখে৷ চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখে৷ লিভারের রোগ প্রশমিত করে৷
আমলকির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলে৷ ত্বকের উজ্বলতা ও হজমের সুস্থতা বজায় রাখে৷ চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখে৷ লিভারের রোগ প্রশমিত করে৷

 

এনার্জি বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ করে মধু৷ মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুম সর্দিকাশি থেকে রক্ষাকবচ দেয়৷
এনার্জি বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ করে মধু৷ মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুম সর্দিকাশি থেকে রক্ষাকবচ দেয়৷

 

কালোজাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷ হজমের জন্যেও উপকারী এই ফল৷ এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে৷ ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ওরাল হেল্থ নির্ধারিত হয় এর অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টের গুণে৷
কালোজাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে৷ হজমের জন্যেও উপকারী এই ফল৷ এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে৷ ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং ওরাল হেল্থ নির্ধারিত হয় এর অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্টের গুণে৷

 

তুলসির গুণে স্ট্রেস দূর হয়৷ রেসপিরেটরি হেল্থ এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকে৷ তুলসির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ সার্বিক সুস্থতা ধরে রাখে৷
তুলসির গুণে স্ট্রেস দূর হয়৷ রেসপিরেটরি হেল্থ এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকে৷ তুলসির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ সার্বিক সুস্থতা ধরে রাখে৷

 

গুলঞ্চ রক্ত শোধন করে৷ হজমশক্তি উন্নত করে৷ ক্রনিক ফিভার প্রশমিত হয়৷ স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি দূর হয়৷ একাধিক রোগের ওষুধ এই ভেষজ৷
গুলঞ্চ রক্ত শোধন করে৷ হজমশক্তি উন্নত করে৷ ক্রনিক ফিভার প্রশমিত হয়৷ স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি দূর হয়৷ একাধিক রোগের ওষুধ এই ভেষজ৷
আদার রসে গা বমি ভাব, বদহজম, মাসল পেইন কমে৷ আদার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে৷ ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে আদার রস খুবই উপকারী৷
আদার রসে গা বমি ভাব, বদহজম, মাসল পেইন কমে৷ আদার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে৷ ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে আদার রস খুবই উপকারী৷

Healthy Lifestyle: আগাছা ভেবে অবহেলা করলেই চরম বিপদ, ‘এভাবে’ খেলেই বেরিয়ে আসবে শরীরের নোংরা-ময়লা, সাপের বিষেরও যম!

অ্যালোপ্যাথি ওষুধের আগে, বেশিরভাগ প্রধান রোগের চিকিৎসা শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধের মাধ্যমেই করা হত। ইংরেজি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে গত কয়েক বছরে মানুষ আবারও আয়ুর্বেদের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। আয়ুর্বেদে এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যা ক্যানসার থেকে শুরু করে লিভার সম্পর্কিত অনেক রোগ নিরাময় করতে পারে।
অ্যালোপ্যাথি ওষুধের আগে, বেশিরভাগ প্রধান রোগের চিকিৎসা শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধের মাধ্যমেই করা হত। ইংরেজি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখে গত কয়েক বছরে মানুষ আবারও আয়ুর্বেদের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। আয়ুর্বেদে এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যা ক্যানসার থেকে শুরু করে লিভার সম্পর্কিত অনেক রোগ নিরাময় করতে পারে।
আজ যে ওষধি নিয়ে আমরা কথা বলছি তার নাম দন্দাসা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সুনীতা সোনল ধামা লোকাল 18- কে জানান, দন্দাসা এমন একটি উদ্ভিদ যা যে কোনও জায়গায় সহজেই পাওয়া যায়।
আজ যে ওষধি নিয়ে আমরা কথা বলছি তার নাম দন্দাসা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সুনীতা সোনল ধামা লোকাল 18- কে জানান, দন্দাসা এমন একটি উদ্ভিদ যা যে কোনও জায়গায় সহজেই পাওয়া যায়।
সাধারণত, বেশিরভাগ মানুষ এই গাছটিকে আগাছা হিসাবে বিবেচনা করে তুলে ফেলেন। তবে এর অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে খুবই কার্যকর। এই গাছটি ক্যানসার ও লিভারের রোগ সারাতেও অত্যন্ত কার্যকর।
সাধারণত, বেশিরভাগ মানুষ এই গাছটিকে আগাছা হিসাবে বিবেচনা করে তুলে ফেলেন। তবে এর অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে খুবই কার্যকর। এই গাছটি ক্যানসার ও লিভারের রোগ সারাতেও অত্যন্ত কার্যকর।
ডা. সুনীতার মতে, দন্দাসা শরীরের ভেতরের ময়লা দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ করতে কাজ করে। এটি ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটি খুব দ্রুত শরীরকে প্রভাবিত করে। কাউকে সাপে কামড়ালে এই ওষুধ খেলে সাপের বিষ শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না।
ডা. সুনীতার মতে, দন্দাসা শরীরের ভেতরের ময়লা দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ করতে কাজ করে। এটি ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটি খুব দ্রুত শরীরকে প্রভাবিত করে। কাউকে সাপে কামড়ালে এই ওষুধ খেলে সাপের বিষ শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না।
এই গাছটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করাও খুব সহজ, তবে তা একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা উচিত। এটি জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই গাছটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করাও খুব সহজ, তবে তা একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা উচিত। এটি জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি সাধারণত পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর গুঁড়ো জলে ফুটিয়ে ক্বাথ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এই ওষুধটি কীভাবে এবং কী পরিমাণে ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কে, ডাক্তার রোগ অনুসারে ডোজ এবং সময়কাল নির্ধারণ করবেন।
এটি সাধারণত পাউডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর গুঁড়ো জলে ফুটিয়ে ক্বাথ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এই ওষুধটি কীভাবে এবং কী পরিমাণে ব্যবহার করা হবে সে সম্পর্কে, ডাক্তার রোগ অনুসারে ডোজ এবং সময়কাল নির্ধারণ করবেন।
দন্দাসা হল গাছের খোসা। এটি আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিকার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি দাঁত ও মুখ সংক্রান্ত অনেক রোগের জন্যও খুবই উপকারী। এর পাউডার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।
দন্দাসা হল গাছের খোসা। এটি আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিকার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি দাঁত ও মুখ সংক্রান্ত অনেক রোগের জন্যও খুবই উপকারী। এর পাউডার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।
এটি বাড়িতেও খোসার আকারে কিনে নিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যায়। তবে এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।
এটি বাড়িতেও খোসার আকারে কিনে নিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যায়। তবে এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।

Healthy Lifestyle: আয়ুর্বেদিক ওষুধের ‘রানি’…! পুষ্টির ভাণ্ডার এই ভেষজ, পুরুষ-মহিলাদের জন্য আশীর্বাদ, মাত্র ৭ দিন খেলেই শরীর-যৌবন চাঙ্গা!

পাহাড়ে পাওয়া আর্য়ুর্বেদিক এই ওষুধকে আয়ুর্বেদে রানির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই ভেষজটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এটি খেলে পুরুষরা শক্তি পায় এবং মহিলারা পিরিয়ড সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি পায়। এছাড়া এই ওষুধটিরও অনেক গুণ রয়েছে।
পাহাড়ে পাওয়া আর্য়ুর্বেদিক এই ওষুধকে আয়ুর্বেদে রানির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই ভেষজটি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এটি খেলে পুরুষরা শক্তি পায় এবং মহিলারা পিরিয়ড সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি পায়। এছাড়া এই ওষুধটিরও অনেক গুণ রয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার ভি কে পান্ডে  বলেছেন, অ্যাসপারাগাস হল খুব শক্তিশালী একটি ওষুধ। এর একাধিক  বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ওষুধটিকে রানির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার ভি কে পান্ডে বলেছেন, অ্যাসপারাগাস হল খুব শক্তিশালী একটি ওষুধ। এর একাধিক বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ওষুধটিকে রানির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এটি হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের পাহাড় ও বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। এটিকে পাউডার আকারে খেলে শরীরের জন্য দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটা আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়।
এটি হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের পাহাড় ও বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। এটিকে পাউডার আকারে খেলে শরীরের জন্য দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটা আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়।
আয়ুর্বেদিক ডাক্তার  বলেছেন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি এবং ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়। যা বিশেষ করে পিরিয়ডের অনিয়ম দূর করতে কাজ করে।
আয়ুর্বেদিক ডাক্তার বলেছেন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি এবং ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়। যা বিশেষ করে পিরিয়ডের অনিয়ম দূর করতে কাজ করে।
পিসিওডি বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি, এই সব জিনিস মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। মাত্র এক সপ্তাহ খেলেই  এই সব রোগ দূর হয়ে যাবে।
পিসিওডি বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি, এই সব জিনিস মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। মাত্র এক সপ্তাহ খেলেই এই সব রোগ দূর হয়ে যাবে।
চিকিৎসক আরও বলেন, এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এটি পুরুষদের দুর্বলতা ও ক্লান্তি বা অলসতার সমস্যা দূর করে এবং শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
চিকিৎসক আরও বলেন, এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এটি পুরুষদের দুর্বলতা ও ক্লান্তি বা অলসতার সমস্যা দূর করে এবং শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
এই ওষুধটি পেটের সমস্যার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প। বিশেষ করে আলসার রোগে এটি খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা করে এবং ভবিষ্যতে আলসার হতে বাধা দেয়।
এই ওষুধটি পেটের সমস্যার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প। বিশেষ করে আলসার রোগে এটি খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা করে এবং ভবিষ্যতে আলসার হতে বাধা দেয় পা

Ayurvedic Plant Garden: বাঁকুড়ার এই সরকারি বাংলোয় আছে ভেষজ রত্নে ভরা জীবনদায়ী বাগান, নেপথ্যকাহিনি জানলে চমকে যাবেন

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার আনাচেকানাচে যে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলি দেখে আপনারা আগাছা বলে মনে করেন তার অধিকাংশরই রয়েছে ভেষজ গুণ! বাঁকুড়ায় আয়ুষ শাখার হাত ধরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ভেষজ বাগান। তেমনই একটি বাগান রয়েছে বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি বাংলোয়। মোটামুটি আকারে দুই থেকে আড়াই কাঠার মতো জায়গায় তৈরি এই ভেষজ বাগানে পাওয়া যাবে এক একটি ভেষজ রত্ন। সহজলভ্য এই গাছগুলি চেনেনই না অনেকে যেমন, কালমেঘ, সিট্রোনেলা, কুলেখাড়া এবং ঘৃতকুমারী। এই বাগান তৈরি করা হয়েছে বাঁকুড়া আয়ুষ শাখার তরফ থেকে।

এমনিতেই সরকারি বাংলো, ছিমছাম। গাছগাছালিতে ঘেরা সুন্দর পরিবেশ। বাগানে প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা রয়েছে নাম। সেই নাম দেখে খুব সহজেই চিনে ফেলতে পারবেন গাছটি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মানুষের ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই আয়ুষ শাখার এমন চিন্তাভাবনা। এছাড়াও নিজেদের বাগানের ভেষজ উদ্ভিদগুলিও নানারকম ভাবে জনকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করা হয় এই দফতর থেকে।

আরও পড়ুন : মহিষাদলের রথযাত্রা দেখতে যাবেন? বিশদে জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী চিকিৎসকরা ওষধি গাছ ব্যবহার করে আসছেন এবং মানবতার ঐতিহ্যগত জ্ঞানের অংশ এই ভেষজ পাঠ। ভারতবর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভেষজ উদ্ভিদের নাম। প্রাচীন ভারতে এই উদ্ভিদ ব্যাবহার করে এক অন্য মাত্রায় পোঁছে ছিল তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাঁকুড়ার মাটিও বহু প্রাচীন, রয়েছে ভেষজ ইতিহাস এবং প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। যেখানে গেলে আজও খুঁজে পাওয়া যাবে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদ। সেই কারণেই বাঁকুড়ার আয়ুষ ভেষজ উদ্যানগুলি একটি বিশেষ বার্তা বহন করছে।

Healthy Lifestyle: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ

গত ৪০ বছর ধরে পতঞ্জলিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে। তিনি বলছেন, গ্রীষ্মকালে যদি পিপল গাছের পাতার সঙ্গে শিশম তথা বেল পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রখর রোদেও শরীর ঠান্ডা থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ, ঘাম, পিত্ত, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থেকে মিলবে সম্পূর্ণ মুক্তি। পিপল, রোজউড এবং কাঠ আপেল গাছের পাতা গ্রীষ্মে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

আয়ুর্বেদাচার্য ভুবনেশ পাণ্ডে লোকাল ১৮-কে জানান, ১৫টি পিপল গাছের পাতা এক গ্লাস জলে ভাল করে ফোটাতে হবে, যতক্ষণ না এক তৃতীয়াংশ জল অবশিষ্ট থাকে। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর এই জল পান করতে হবে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। জন্ডিসেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে পিপল গাছের পাতা। তিনি বলছেন, ৫টি পিপল গাছের নরম পাতা পিষে ক্কাত্থ তৈরি করতে হবে। তারপর তাতে হলুদ এবং চিনি মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এতে জন্ডিস নিরাময় হবে।

গ্রীষ্মকালে যদি কেউ পিপল গাছের পাতার সঙ্গে বেল পাতা মিশিয়ে তৈরি করা ক্কাত্থ সেবন করেন, তাহলে দুপুরের প্রখর রোদেও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। শুধু তাই নয়, শরীরের ভিতরও ঠান্ডা ভাব থাকবে। লিউকোরিয়া, সাদা স্রাব, অতিরিক্ত ঘাম, পিত্ত বৃদ্ধি এবং নাক দিয়ে রক্তপাতের মতো সমস্যা থেকেও মিলবে মুক্তি।

আয়ুর্বেদাচার্য ডা. ভুবনেশ পাণ্ডে বলেন, পিপল গাছের পাতা খুবই তেঁতো খেতে। তাই এই পাতার ক্কাত্থ তৈরি করলে কম জলে ৩ থেকে ৫টি পাতা দেওয়া উচিত। এবং দিনে ২ থেকে ৩ বার এই ক্কাত্থ পান করতে হবে। একইভাবে পিপল পাতা গুঁড়ো করে সেবন করলে দিনে আড়াই থেকে পাঁচ গ্রামের বেশি নেওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন– সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘রিমল’! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি? জেনে নিন

বলে রাখা ভাল, প্রথাগতভাবে, পিপল গাছের পাতার রস কাশি, হাঁপানি, ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, হেমাটুরিয়া (প্রস্রাবে রক্ত), মাইগ্রেন, চুলকানি, চোখের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ওষুধ হিসেবে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। পিপল গাছের কাণ্ডের বাকল প্যারালাইসিস, গনোরিয়া, হাড় ভাঙা, ডায়রিয়া ও ডায়াবেটিস রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।