নদীর চরে বসে জাল বুনছেন এক গৃহিণী

Hooghly news: বাঁশবেড়িয়ার গঙ্গার চরে বারটি পরিবারের বাস ! কেমন আছেন সেই মানুষরা

হুগলি:  সভ্য জগতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করছেন হুগলির বাঁশবেড়িয়া এলাকার নদীর চরে বসবাসকারী বারটি পরিবার। দৈনন্দিন কাজকর্ম সারতে ও বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটাই মাত্র পথ তাদের নৌকা। ব্যান্ডেল সাহাগঞ্জে গঙ্গার উপর প্রায় ২৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে ডানলপ চর। আগে এখানে প্রায় শ খানেক মানুষ বসবাস করলেও এখন সংখ্যাটা কমে দাড়িয়েছে কুড়ি পঁচিশে। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে বসবাস করছেন রাজেন মাহাত, পার্বতী মাহাতরা। স্কুল, হাট বাজার , সমস্ত দরকারি কাজ করতে একমাত্র ভরসা নৌকা। বন্যার সময় জলে ডুবে গেলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যত্র। জল নেমে গেলে আবার ফিরে আসা। বিদ্যুৎ নেই । রাতে ভরসা টর্চ, হ্যারিকেন। বাসিন্দাদের আক্ষেপ যদি বিদ্যুৎ এর ব্যাবস্থা হত তাহলে কিছুটা স্বস্তি পেতেন চড় এর বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: অতল গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্যভেদে মার্কিন মুলুক থেকে ডাক উত্তরপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারকে

এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা নদীর মাছ ধরা ও নদীর চরের চাষ বাস আর গবাদি পশু পালন। রাত হলেই নেমে আসে গভীর অন্ধকার। জীবনে আরও অন্ধকার ঘনিয়ে আসে বর্ষাকালে। কারণ তখন তাদের বাড়িঘর আসবাবপত্র ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় অন্যত্র। কোন স্কুল বা কোন সহৃদয় ব্যক্তির বাড়ি কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস হয়ে ওঠে অস্থায়ী বাসস্থান। রাতের অন্ধকারে হ্যারিকেনের আলো জ্বেলে পড়াশোনা করে এখানকার বাচ্চারা। দিনের বেলায় নৌকায় ভরসা তাদের স্কুল যাওয়ার জন্য।এ বিষয়ে সেখানকার এক বাসিন্দা, রাজীব মাহাত বলেন, কোনক্রমে দিনও না দিন খাওয়া করে চলে তাদের জীবন। তারা দাবি জানাচ্ছে যদি কোনভাবে সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যায় তাহলে অন্তত তাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।যদিও এ বিষয় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী বলেন- চরের বাসিন্দাদের দাবী যুক্তিসঙ্গত। পুরসভার পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা করা যায় সেটা করা হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাহী হালদার