সিসিটিভি ফুটেজ 

North 24 Parganas News: বাংলাদেশের সাংসদ খুনের পর সিসিটিভিতে দেখা গেল হাড়হিম দৃশ্য, এভাবেই গায়েব দেহ?

উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলাদেশের সাংসদকে নিউ টাউনের বহুতল আবাসনে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায়, এবার প্রকাশ্যে আসল দেহ লোপাটের সময়ের এক্সক্লুসিভ সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সম্ভবত খুনের পর ট্রলি ব্যাগে করে এভাবেই দেহাংশ গায়েব করা হয়েছে।

যদিও সিসিটিভি ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা। ওই ফুটেজে খালি হাতে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করার দৃশ্য ধরা পড়লেও, ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জিহাদ সহ আরও একজনকে দেখা যায় ট্রলি ও ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে। আর এভাবেই দেহ নিয়ে গিয়ে ভাঙ্গরের কৃষ্ণ মাটি এলাকার খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত কসাই জাহিদ।

এ দিনই, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে বনগাঁ সীমান্ত এলাকা থেকে সিআইডি গ্রেফতার করে খুনের ঘটনায় কসাইয়ের ভূমিকা পালন করা অভিযুক্ত এই জিহাদ হাওলাদারকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি এসটিএফ-এর একটি বিশেষ দল গোপালনগর এলাকা থেকে বছর ২৪ এর জিহাদকে গ্রেফতার করে বারাসাত আদালতে পেশ করে। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘোলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে।

এই অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই সিআইডি-র হাতে আসে খুনের ঘটনার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিমকে খুনের পর দেহ লোপাঠ করতে চামড়া ছাড়ানো হয় দেহের। তারপর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় দেহ আলাদা করা হয় মাংস ও হাড়। এরপর ভাগে ভাগে দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় গায়েব করা হয়। সেই ঘটনায় কসাইয়ের ভূমিকা পালন করেছিল এই জিহাদ।

এ দিন তাকে বারাসত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চায় সিআইডি। জেলা সিজিএম আদালত ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কসাই জিহাদের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১, ১২০বি ও ৩৬৪ আইপিসি ধারা দেওয়া হয়েছে।

সরকারপক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে সিআইডি। কোথায় ফেলা হয়েছিল দেহাংশ তাও খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি। এখন নিহত সাংসদের দেহাংশ উদ্ধারই সিআইডির কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Rudra Narayan Roy