আছড়ে পড়ল ভয়ঙ্কর ঘূর্নিঝড় রিমল। ল্যান্ডফল-এর গোটা প্রক্রিয়া চলবে চার ঘণ্টা ধরে।। সমুদ্রের পার থেকে ৩০কিমি গভীরে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র।পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল ছুঁয়ে আছড়ে পড়তে শুরু করল ঘূর্ণিঝড় রিমল, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।ল্যান্ডফলের সময় রিমল-এর গতিবেগ ছিল ১১০-১২০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার ঘণ্টা প্রতি।রিমলের জেরে রবিবার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দুর্যোগ থাকবে। বিকেল পাঁচটার পর থেকেই রিমল এর প্রভাব সরাসরি পড়তে শুরু করেছে বাংলায়। সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রম রূপেই উত্তরমুখী এগোয় রিমল।এই সাইক্লোনিক ঝড়ের জেরে ২৬ ও ২৭ মে বাংলায় চলবে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাত। পূর্বাভাস বলছে, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে দুই জেলায়।ল্যান্ডফলের আগে,উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগোতে থাকে রিমল। সোওয়া আটটার পূর্বভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ক্যানিংয়ের ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে ছিল রিমল। বাংলাদেশের মোংলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল রিমল।এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি কমলা সতর্কতা। সেখানে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে জারি কমলা সতর্কতা। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি লাল সতর্কতা।কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।