Tag Archives: Cyclone Remal Updates

Sundarban: সুন্দরবনের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্তদের পাশে শান্তিপুরের মানুষ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবনবাসীদের পাশে এসে দাঁড়াল শান্তিপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রায় চার ঘণ্টা জলপথে পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের কুমারীমারি দ্বীপে পৌঁছন ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে তাঁরা ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন।

এর আগে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের গ্রামবাসীদের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের। তারপর থেকেই সারা বছর জুড়ে সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের বিভিন্ন দরকারে পাশে থাকার চেষ্টা করে নদিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের উদ্যোগে প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস ‘শিকড়ের টানে’। উদ্দেশ্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিল্প-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটানো। ইতিমধ্যেই কুমারীমারি দ্বীপে হাজারেরও বেশি গাছ লাগিয়েছে তাঁরা। প্লাস্টিক মুক্ত দ্বীপ, এই স্লোগান তুলে মানুষকে সজাগ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

আর‌ও পড়ুন: চা খেতে মাটির ভাঁড়ের চাহিদা আবার বাড়ছে, তবুও হতাশ কুমোররা

সুন্দরবনের কুমারীমারি দ্বীপে হাজারের বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। সুন্দরবনের এই আদিবাসীদের নিজ রাজ্য ছেড়ে এখানে আসার এক ঐতিহাসিক কাহিনী আছে, যার সূত্রপাত হয়েছিল তৎকালীন ইংরেজ সরকারের হাত ধরে। জানা যায় সুন্দরবনের আদিবাসীদের আনা হয়েছিল ভূমি সংস্কারের বিভিন্ন কাজে। ভাবতে অবাক লাগে যারাই ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে বাঘের পেটে গিয়ে গভীর জঙ্গলকে জনবসতিতে পরিণত করেছিলেন তাঁরাই আজ তাঁদের ভূমি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত মানুষদের মূলত চাষাবাদ আর মাছ ধরাই প্রধান জীবিকা হয়ে ওঠে।

সুন্দরবনে প্রতিবছর নানান ধরনের দুর্যোগ লেগেই থাকে। এই কারণে কলতানের একটি শাখা দ্বীপে স্থাপিত করা হয়। যেখানে আদিবাসী শিশুদের শিল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের বিকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা যায়। শিশুরা ধামসা, মাদলের মত বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ঝুমুর গানের শিক্ষা নেয় এই বিদ্যালয় থেকেই। যদিও বর্তমানে সেখানে আদিবাসী শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ শিশুদের‌ও ভিড় জমতে শুরু করেছে। দিশারী সংস্থার প্রচেষ্টায় এখানকার আদিবাসী শিল্পীদের আজ ভারত সরকারের সেন্ট্রাল বিওডো অফ কমিউনিকেশনের অন্তর্গত সং অ্যান্ড ড্রামা ডিভিশনে শিল্পী হিসেবে নাম নথিভুক্ত হয়েছে।

এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার জানান, কুমারীমারি দ্বীপের সঙ্গে তাঁদের এক মজবুত বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। ফলে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে কঠিন কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলছেন। এদিন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে নানান সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। ছাদবিহীন ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়িগুলোতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন শুকনো খাবার, মশারি, মহিলাদের শাড়ি, শিশুদের জন্য ঔষধপত্র ও পড়াশোনা সামগ্রীর পাশাপাশি বেশ কিছু ত্রিপল তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।

সুমন সাহা ও মৈনাক দেবনাথ

Cyclone Remal Update: ভয়ঙ্কর ঝড়ের তাণ্ডবে বিরাট ক্ষয়-ক্ষতি! বিচ্ছিন্ন হল যোগাযোগ ব্যবস্থা, এলাকায় বিরাট চাঞ্চল্য

ঝড়ের দাপটে বুধবার রাতে গাছ ভেঙে পড়ল ভারত-ভুটান প্রধান সড়কে৷
ঝড়ের দাপটে বুধবার রাতে গাছ ভেঙে পড়ল ভারত-ভুটান প্রধান সড়কে৷
যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন জয়গাঁর সঙ্গে ভুটানের ফুন্টশলিং-এর৷
যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন জয়গাঁর সঙ্গে ভুটানের ফুন্টশলিং-এর৷
বড় গাছটি রাস্তায় ভেঙে পড়ায় উপড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি৷
বড় গাছটি রাস্তায় ভেঙে পড়ায় উপরে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি৷
ঝড়ের ফলে বড় গাছটি ভেঙে পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ওপর৷
ঝড়ের ফলে বড় গাছটি ভেঙে পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির ওপর৷
যদিও কেউ আহত হননি, ঘটনায় এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য৷
যদিও কেউ আহত হননি, ঘটনায় এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য৷

Remal After Effect: রিমলের তাণ্ডবে তছনছ চারদিক! ঝড়ে গাছ উপড়ে বিপত্তি

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দুর্যোগ। ঝড়ে গাছ উপড়ে বিপত্তি জেলায় জেলায়। শিলিগুড়ি, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে একাধিক গাছ।

Lok Sabha Election 2024: রিমল ধাক্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ফেরি যোগাযোগ, চালুর জন্য চিঠি সায়নের

পূর্ব মেদিনীপুর: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে কুকড়াহাটি-ডায়মন্ডহারবার ফেরি পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই দুই জেলার অসংখ্য মানুষ। তাদের এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে জেলাশাসককে মেল করলেন তমলুক কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি। তিনি দ্রুত এই ফেরি পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোটগ্রহণ

হলদিয়া মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারে জেটি খারাপ থাকায় বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুকড়াহাটি-ডায়মন্ডহারবার ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে হলদিয়ার কুকড়াহাটি থেকে ভেসেলে রায়চক পেরিয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুনরায় কবে ফেরি পরিষেবা চালু হবে তা নিয়ে চিন্তায় দুই জেলার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: গোটা গ্রাম আর্সেনিক যুক্ত জল পান করছে! দেখার নেই কেউ

ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবের কারণেই ডায়মন্ডহারবারে জেটির গ্যাংওয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই যাত্রীদের ঝুঁকি এড়াতে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে জেটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। হুগলি নদীর উপর এই ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নদীপথ পারাপার করে বিভিন্ন কাজে আসেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বহু মানুষ এই রুটের ফেরি সার্ভিস দিয়েই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কলকারখানায় কাজ করতে আসেন। নিরুপায় হয়ে তাঁদেরকে কুকড়াহাটি-রায়চক ফেরি সার্ভিস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সদ্য হয়ে যাওয়া তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী, তরুণ আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি এগিয়ে আসার বিষয়টি অনেকেরই নজর কেড়েছে।

সৈকত শী

Cyclone Remal Effects: বিধ্বংসী ঝড়ের দাপটে তছনছ… ফের দুর্যোগের ভয়! ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, গাছপালা, ক্ষোভ বাড়ছে তুফানগঞ্জে

তুফানগঞ্জ: বিধ্বংসী রিমলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের চামটা মোড় সংলগ্ন নাককাটিগাছ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী সেদিন সাইক্লোনের রাত আনুমানিক ২:৩০ নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু। এই ঘটনায় এলাকার বহু গাছ ভেঙে পড়ে এবং বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। এখনও পর্যন্ত বহু বাড়ি মেরামতি করা সম্ভব হয়নি। এরই মাঝে আকাশে কালো মেঘ আতঙ্ক তৈরি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় এক বাসিন্দা সন্তোষ দাস জানান, ঝড়ের দাপটে তাঁর বাড়ির ওপর একটি বড় কাঁঠাল গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। ফলে ঘরের টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকার সাহায্য এসে পৌঁছয়নি। এখন একপ্রকার কষ্ট করেই তাঁকে নিজের ঘর মেরামত করতে হচ্ছে। গাছটি কেটে সরাতে ২০০০ টাকার প্রয়োজন, সেই অর্থ তাঁর কাছে নেই। তাই সেই ভাঙা গাছের ডাল এখনও পর্যন্ত তাঁর টিনের চালের ওপর পড়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: হুডখোলা জিপে ‘রাম তেরি গঙ্গা ম্যায়লি’র মন্দাকিনী! ৮০-র দশকে বুকে ঝড় তোলা নায়িকাকে দেখতে নবীন-প্রবীণের ভিড় মধ্যমগ্রামে

এলাকার আরও এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা শ্যামসুন্দর বসাক জানান, তাঁর বাড়ির মধ্যে থাকা বিরাট একটি আমগাছ ঘরের টিনের চালের উপর ভেঙে পড়ে। সেই সময়ে ঘরের ভেতরেই পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কোনওভাবে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র কিছু ত্রাণ সামগ্রী তাঁদের দেওয়া হয়েছে। তবে ভেঙে পড়া গাছের ডাল তাঁরা নিজেদের খরচেই কাটতে বাধ্য হয়েছেন। আকাশের পরিস্থিতি আবারও খারাপ হয়ে আসার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ পাটনি জানান, ঝড় চলাকালীন তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। এই প্রথম এমন ভয়ংকর ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়। এই ঝড়ের অভিজ্ঞতার কথা তাঁর শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত মনে থাকবে। বাড়ির প্রত্যেকেই বেশ আতঙ্কিত হয়েছিলেন। যদিও তাঁর বাড়ির খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাড়ির আশেপাশে বেশ কিছু বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে। তবে সরকারিভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলেই দাবি করলেন তিনি। সামান্য কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়েছে এলাকায়।

Sarthak Pandit

Cyclone Remal Update: রিমলের ধাক্কায় কাকদ্বীপে ফেরি সার্ভিসের জেটি পরিবর্তন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় রিমল শেষ হয়েছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকা। সমস্ত জায়গায় ভেসেল ও ফেরি পরিষেবা ঠিক করা হয়েছে। কাকদ্বীপও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ঝড়ের পর ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক হলে দেখা যায় কাকদ্বীপের ৪ নম্বর জেটিঘাটে মিলছে পরিষেবা।

ঠিক কী কারণে এই পরিবর্তন? খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমল আসার আশঙ্কায় টানা দু’দিন বন্ধ ছিল জেটিঘাট। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের এক নম্বর জেটিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেটিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কথা নোটিশ আকারে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমলের জন্য গত রবিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আখ ও কলা চাষে ব্যাপক ক্ষতি

ফলে দু’দিন মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলগুলো পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। এই নিয়ে ভেসেল ইনচার্জ অর্পণ দাস জানান, প্রশাসনের নির্দেশে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এবার থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের ১ নম্বর জেটির পরিবর্তে ৪ নম্বর জেটিতে মিলবে পরিষেবা। এই পরিবর্তনের ফলে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে নিত্যযাত্রীদের। তবে দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভেসেল কর্তৃপক্ষ।

নবাব মল্লিক

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আখ ও কলা চাষে ব্যাপক ক্ষতি

নদিয়া: রিমলের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নদিয়ায়। আখ ও কলা চাষে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে এখানকার চাষিরা। নষ্ট হয়ে গেছে বিঘের পর বিঘে জমিতে চাষ করা আখ ও কলাগাছ। ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডবে যথেষ্টই প্রভাব পড়েছে।

রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অনবরত ঝড়ো হাওয়া হয়ে গিয়েছে জেলার উপর দিয়ে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। আর তাতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হল নদিয়ার কলা এবং আখ চাষিদের। একটানা ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মাটিতে শুয়ে পড়েছে কলা গাছগুলি। এছাড়াও শুয়ে পড়েছে বিঘা বিঘা জমিতে চাষ করা আখ। এই ক্ষতির ধাক্কা কিভাবে সামলে উঠবেন বুঝতে পারছেন না কৃষকরা।

আরও পড়ুন: পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা শিলিগুড়িতে

এই আখ ও কলা চাষের উপরে নির্ভর করেই চলে সারা বছরের সংসার। কিন্তু এই প্রবল ঝড়ে ক্ষতি হ‌ওয়ায় এখন মাথায় হাত পড়ার জোগাড়। অনেকেই ধারদেনা করে চাষ করেছিলেন। তাঁরা কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির মধ্যে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান-এও ক্ষতির মাত্রা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

মৈনাক দেবনাথ

Cyclone Remal Update: রিমলের তাণ্ডবে ফুলের জমিতে হাহাকার

হাওড়া: ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি। রবিবার গভীর রাতে রিমল আছড়ে পড়ে। চাষবাসের প্রভাব পড়েছে দারুণ। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হাওড়ার ফুল চাষের। বাগনানের ফুল চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাগান বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা।

যদিও অনেকেই মনে করছেন এই চেষ্টা বৃথা। হাজার হাজার টাকা খরচ করে চারা পুঁতে গায়ে গতরে খেটে ফুল ফোটানো তাঁদের কাজ। এই ফুল বিক্রি তাদের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন। এতো পরিশ্রম ও খরচের পর বাগান বাঁচানোর চেষ্টা তো করতেই হবে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে ডালপালা ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে গাঁদা, দোপাটি, অপরাজিতা, ফুলবাহার ইত্যাদি ফুলের গাছ। এখনও জল জমে রয়েছে চাষের জমিতে। যা ভীষণভাবেই ফুল চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন: স্রোত হারানো নদীর সংস্কার? ভুল ভাঙতেই স্থানীয়রা যা দেখলেন

ফলে দিন দশেকের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারবে চাষিরা। বাগনান রামচন্দ্রপুর এলাকায় প্রায় পাঁচশো কৃষক, যাদের রুটি-রোজগার চাষবাস রিমলের প্রভাবে পরবর্তীতে গাছের ডালপালা ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গোড়া প্রায় পচে গেছে। তবে বিভিন্ন কীটনাশক ও বায়োসার প্রয়োগ করছেন চাষিরা। যাতে কিছুটা পরিমাণ হলেও গাছ বাঁচিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কম করা যায়।

এই প্রসঙ্গে কৃষক সুফল জানা, বিশ্বজিৎ ঘোষ, মাধব মণ্ডল জানান, এইভাবেই দিন চলে আসছে। বারবার প্রকৃতির প্রকোপে বেশি পড়তে হয় চাষিদের। সরকারি ক্ষতিপূরণ থাকলেও কোনও চাষি পায়, আর কোনও চাষি পায় না। তাই সংসার চালানোর কথা ভেবে আরও হতাশ হচ্ছেন তাঁরা ।

রাকেশ মাইতি

Cyclone Remal Effects: রিমলের তাণ্ডবে ভেঙেছে একাধিক নদীবাঁধ! ভোটপ্রচারে এসে পরিদর্শন করে আশ্বাস দিলেন সেচমন্ত্রী

বসিরহাট: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুন্দরবনের নদীবাধ পরিদর্শনে সেচমন্ত্রী। ধীরে ধীরে বিদ্যাদরী নদী ভাঙনের ফলে সন্দেশখালির বাউনিয়া বিসীদের হাজার বিঘে জমি নদীগর্ভে চলে গেছে ভরসা বসত বাড়ি মন্ত্রীকে জানালেন এলাকার মানুষ। রিমলের ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের একাধিক নদী বাঁধ।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই বাঁধ পরিদর্শনে এলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি ব্লকের ন্যাজাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউনিয়া সিং পাড়ায় বিদ্যাধরী নদী প্রায় দেড় কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশাপাশি প্রচুর কাঁচা পাকা বাড়ি নদী গর্ভে গ্রাস করেছে। সেই গ্রাম ও বাঁধ পরিদর্শনে এলেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: এক দল গিরগিটির মধ্যে কেবল একটিই জিভ বের করে রয়েছে, ৬০ সেকেন্ডে খুঁজে পাবেন? রইল চ্যালেঞ্জ

একদিকে বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি, বড় কলাগাছি, গৌড়েশ্বর, ডাসা, বেতনি নদী-সহ একাধিক নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেচমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি, আপনাদের সব বক্তব্য অভিযোগ শুনলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। দ্রুত নদীর বাঁধের কাজ শুরু হবে, অন্যদিকে আপনাদের সমস্যার কথা জানাব।”

গ্রামবাসীদের দাবি, বিদ্যাধরী নদী ভাঙনের ফলে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে, ধীরে ধীরে গিলে খাচ্ছে বসতবাড়ি। এখনই সমাধান না হলে হয়তো পুরোটাই নদীতে চলে যাবে। নদী বাঁধের একটি স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার মানুষ। যে সব নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং যেসব গ্রাম প্লাবিত হয়ে চাষের জমিতে নদীর নোনা জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে সেই সব এলাকা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন পার্থ ভৌমিক। এরপরে সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন পাশাপাশি গ্রামবাসীরা বলেন, “প্রশাসনের প্রতি আমাদের আস্থা ভরসা আছে। দ্রুত আমাদের এই সমস্যা সমাধান হোক।”

জুলফিকার মোল্যা

Cyclone Remal Update: রিমলের ব্যাপক প্রভাব আম চাষে, জামাইষষ্ঠীর আগে পাকা আমে টান

ঘূর্ণিঝড় রিমলের কবলে পূর্ব বর্ধমানের আম চাষিরা। ঝড়ের ভয়ে আগেভাগে গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
ঘূর্ণিঝড় রিমলের কবলে পূর্ব বর্ধমানের আম চাষিরা। ঝড়ের ভয়ে আগেভাগে গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
বাংলার শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত এই পূর্ব বর্ধমান জেলা। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান চাষ হয়। তবে জেলার বেশ কিছু জায়গায় আম চাষও হয়ে থাকে।
বাংলার শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত এই পূর্ব বর্ধমান জেলা। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান চাষ হয়। তবে জেলার বেশ কিছু জায়গায় আম চাষও হয়ে থাকে।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকে অনেক চাষি আম চাষ করেন। রিমলের দাপটে তারা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার চাষি ভাসান শেখ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী দিনে কী হবে বুঝতে পারছেন না।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকে অনেক চাষি আম চাষ করেন। রিমলের দাপটে তারা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার চাষি ভাসান শেখ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী দিনে কী হবে বুঝতে পারছেন না।
এই পূর্বস্থলী এলাকার আম পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যের পাইকাররা এসেও এখানকার আম চাষিদের কাছে আম কিনে নিয়ে যান।
এই পূর্বস্থলী এলাকার আম পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যের পাইকাররা এসেও এখানকার আম চাষিদের কাছে আম কিনে নিয়ে যান।
এই বছর এমনিতেই আমের ফলন কম। গত শীতে বৃষ্টির কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার আম চাষিরা। এবার ঘুর্নিঝড় রিমলের জন্য পাকার আগেই ক্ষতির মাত্রা কমাতে কাঁচা আম পেড়ে নিতে বাধ্য  হয়েছেন গাছ থেকে। সবমিলিয়ে আম চাষিরা এই বছর খুবই সমস্যায় পড়েছেন। কীভাবে শ্রমিকদের মজুরি দেবেন সেই চিন্তায় রয়েছেন সকলেই।
এই বছর এমনিতেই আমের ফলন কম। গত শীতে বৃষ্টির কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার আম চাষিরা। এবার ঘুর্নিঝড় রিমলের জন্য পাকার আগেই ক্ষতির মাত্রা কমাতে কাঁচা আম পেড়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন গাছ থেকে। সবমিলিয়ে আম চাষিরা এই বছর খুবই সমস্যায় পড়েছেন। কীভাবে শ্রমিকদের মজুরি দেবেন সেই চিন্তায় রয়েছেন সকলেই।