ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দল

Cyclone Remal: রিমলের দাপট অব্যাহত! হুগলিতে ভাঙল বাড়ি, পড়ল গাছ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মিরা

হুগলি: ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ার পাশাপাশি হুগলিতেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী সঙ্গে চলেছে ঝড়ো হাওয়ার দাপট। হুগলি জেলা শাসক দফতরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে জেলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পুরসভা গুলোতেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

আরও পড়ুনঃ ফুঁসছে সাগরে! রাতেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রিমল, ঝড়ের সময় কী করবেন, আর কী করবেন না, জেনে নিন

হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য জানিয়েছেন, ‘ঝড়ের সতর্কতায় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নদী পারে যারা কাঁচা বাড়িতে থাকেন তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফ্লাড শেল্টার গুলোতে। পানীয় জল, শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের আগে জেলার ফেরি ঘাট গুলোকে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহীনিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ে গাছ বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভাঙলে তা সরাতে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা তাঁদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। দমকল বিদ্যুৎ দফতর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মিদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

ওসি বিপর্যয় মোকাবেলা দফতর মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার পাশাপাশি মহকুমা পুরসভা এবং ব্লকগুলোতেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে সব সময় আপডেট খবর আসছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতি মধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে, নদীর জল ফুলছে। রিমল থেকে বাঁচতে ফেরী পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে আগেই। এবার ভেসেলগুলোকে চেন ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। হুগলির গুপ্তিপাড়া থেকে উত্তরপাড়া গঙ্গায় যতগুলো ফেরিঘাট আছে ফেরি ঘাটে পরিবহন দফতরের নির্দেশে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে রবিবার থেকে।’

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমলের দাপটে বাড়ি ভেঙে পড়ল ভদ্রেশ্বরে। রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সময় তেলিনিপাড়ার বাবুরবাজারে ৭ নং ফেরিঘাট ষ্ট্রীটের তরুন পাড়ুই এর বাড়ির অনেকাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে নিচে অবস্তিত সাইকেল বাইক ও ঘরের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। আহত হয় এক মহিলা। যদিও বাড়িটি বেশ পুরনো। তার মধ্যে কিছুটা নতুন তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া তরুন পাড়ুই-এর পার্শ্ববর্তী পুরনো শান্তিপ্রিয় দাসের বাড়ির দোতলার ২০ ফুট চওড়া ও ১১ ফুট উঁচু দেওয়াল গাছ সমেত বাড়ির উপর পড়ে। এখনও চাপা পড়ে আছে।ফলে বেশ ক্ষতি হয়।

রাহী হালদার