কলকাতা: আগামী ১ জুন কলকাতা সহ রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে শেষ দফার নির্বাচন৷ তার আগে দিনভর রাজ্যে প্রচারের ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অশোকনগর, বারুইপুরে জনসভার পর প্রথমবার কলকাতায় রোড শোও করলেন নরেন্দ্র মোদি৷
এ দিন সন্ধ্যায় ৭টার কিছু পরে প্রথমে বাগবাজারে মায়ের বাড়িতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে এর পর শ্যামবাজার থেকে রোড শো শুরু করেন তিনি৷ সূত্রের খবর, আলাদা করে বসার আসন তৈরি রাখা হলেও মাটিতে বসেই কয়েক মিনিট প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এর পর কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই অল্প প্রসাদও খান তিনি৷
আরও পড়ুন:‘ছ’ দফাতেই ২৩’, মোট কত আসন পাবে তৃণমূল? জানিয়ে দিলেন অভিষেক
বাগবাজার রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যমুক্তানন্দ মহারাজের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি৷ অন্যান্য সন্ন্যাসীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করে মায়ের বাড়ি ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী৷
রোড শো শুরু করার আগে অবশ্য শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানও করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এর পর হুডখোলা গাড়িতে করে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী রোড শো৷ গন্তব্য ছিল কয়েক কিলোমিটার দূরে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি৷ রাত ৮.১৫ নাগাদ সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটেয় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে স্বামীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী৷
এ দিন মূলক কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে এই রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তও৷ এ ছাড়াও বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও রোড শোয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রীর এই রোড শো ঘিরে এ দিন সাধারণ মানুষের মধ্যেও উৎসাহ ছিল তুঙ্গে৷ রাস্তার দু পাশেই ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ৷ প্রায় গোটা রাস্তাতেই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পুষ্পবৃষ্টি চলতে থাকে৷ রাস্তার পাশে থাকা বাড়ির বারান্দা, ছাদ থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ৷
প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের রোড শো সফল করতে মরিয়া ছিল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বও৷ কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জেলা থেকেও প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসা হয়৷