Lok Sabha Election 2024: কলকাতা উত্তরে এবার তাপসের অগ্নিপরীক্ষা, ‘গোপন’ স্ট্র্যাটেজিতেই বাজিমাত করে যাবেন সুদীপ?

কলকাতাঃ ২০২১ সালে যেরকম বিজেপির অনুকুলের হাওয়া ছিল। রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের মতে উত্তর কলকাতায় বিজেপির হাওয়া ঠিক ২০২১এর মতই।তবে, উত্তর নির্বাচনে কলকাতার হিসাবটা কী হবে? তারই চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সব জায়গায়। কলকাতার অলিতে গলিতে তাপস রায় বনাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি হবে? এই প্রশ্নের একটাই উত্তর, ৫০-৫০ সম্ভাবনা রয়েছে। পাড়া তুতো নেতাদের বক্তব্য  অনুযায়ী, বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য বেশ কিছু ভোট কাটবে।

আরও পড়ুনঃ ভোটের ব্যস্ততায় সকলের অগোচরে ফুটন্ত ডালের কড়াইয়ে পড়ে গেল ৩ বছরের শিশু…মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকের ছায়া এলাকায়

কিন্তু কীভাবে? রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য,যা দের বয়স ৪০-৪৫বছর তাঁরা প্রদীপ ভট্টাচার্য সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। সাধারণত মানুষ যার কার্যকলাপ স্বচক্ষে দেখেছে কিংবা কিংবা শুনেছেন, তাকেই ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। লড়াইয়ের ময়দানে এরাজ্যে দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেস অনেকদিন প্রায় নেই।বামেরা অনেকটাই প্রাসঙ্গিক।সে ক্ষেত্রে জেতার থেকেও ভোট কাটোয়ার ভূমিকায় অংশগ্রহণ করা যথেষ্ট কঠিন, বাম-কংগ্রেসের।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

তবে, উত্তর কলকাতায় একটা চোরাস্রোত বইছে। সেই চোরা স্রোত অনুসারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে না তাপস রায় এগিয়ে? বলা কঠিন। কারণ পশ্চিমবাংলায় এখনও মানুষ ইভিএম বাক্সে বোতামটা টেপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি মাথায় রেখে। অন্যদিকে সরকার বিরোধী মানসিকতার লোকেরাই বিজেপির পক্ষে ভোট দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিবেকানন্দের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাই, বলে হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে চলে গেল, এমন ঢাক পেটানোর উচিত হবে না বলে বলছেন,রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।   অন্যদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাউন্সিলরদের ডাকে কিংবা রাজনৈতিক কোন কর্মসূচিতে সচরাচর না যাওয়া। তাতে তৃণমূল দলের নিচু তলায় একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলার ফলে, সেই ক্ষোভটা অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে।    রাজনৈতিক মহল বলছে, তাপস রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দড়ি টানাটানি রয়েছে। তবে, ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার দৃশ্য মনে করে অনেকেই চুপ করে গেছে। তবে তাদের ভোটটা খুব সম্ভবত সরকার পক্ষে নইলে নোটা, না হলে জোটের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।   এতে বিজেপির আশার আলো দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অসম্ভব বলে কিছু নেই।