Cervical Cancer: সার্ভিক্যাল ক্যানসার কী? চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন এর লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

ক্যানসার মারণরোগ। প্রতি বছর এই রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সার্ভিক্যাল ক্যানসার। গাইনোকলজিস্ট স্পেশালিস্টের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক, সার্ভিক্যাল ক্যানসার কী এবং এর লক্ষণ ও চিকিৎসার পদ্ধতি।

রাজধানীর প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্যে দক্ষিণ দিল্লির ইলান্টিস হেলথকেয়ার হাসপাতাল অন্যতম। এই হাসপাতালের গাইনোকলজিস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ডা: সুজাতা আগরওয়াল। তিনি কেজিএমসি, লখনউ থেকে গাইনোকোলজিস্টে এমবিবিএস এবং এমডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

লোকাল 18-কে ডা. সুজাতা আগরওয়াল বলেন, “ভারতে সার্ভিক্যাল ক্যানসার খুব সাধারণ। প্রতি ৫ থেকে ৬ মিনিটে একজন মহিলা এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং মারা যান”। একই সঙ্গে তিনি জানান, সার্ভিক্যাল ক্যানসার ১০০ শতাংশ নিরাময়যোগ্য।

সার্ভিক্যাল ক্যানসার কী ভাবে হয়- ডা. সুজাতা আগরওয়াল বলেন, সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন এইচপিভি ভাইরাস, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, গর্ভনিরোধক বড়ি, অনিরাপদ যৌন মিলন, ধূমপান এমনকী দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে থাকার কারণেও সার্ভিক্যাল ক্যানসার হতে পারে।

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের লক্ষণ: সার্ভিক্যাল ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে শুরু করে। অনেক রকম উপসর্গ দেখা দেয়। এমনটাই জানালেন ডা. সুজাতা আগরওয়াল। তিনি বলেন, পা ফোলা, অনিয়মিত পিরিয়ড, প্রস্রাব করতে অসুবিধা, ওজন কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া এবং হাড়ে ব্যথা এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।

সার্ভিক্যাল ক্যানসারের চিকিৎসা: ডা. সুজাতা আগরওয়াল জানান, সার্ভিক্যাল ক্যানসার নির্ণয়ে প্যাপ টেস্ট করা হয়। এ থেকে জানা যায় সার্ভিক্যাল ক্যানসার আছে না কি হতে চলেছে। স্ক্রিনিংয়ে অনিয়মিত বা সমস্যাযুক্ত কোষগুলি শনাক্ত করা হয়, ক্যানসারে পরিণত হওয়ার আগেই। এই কোষগুলি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেলে সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিরাময় সম্ভব।