বিবেকানন্দ শিলা নাম হল কেন? স্বামীজির অজানা কাহিনি, এখানেই ধ্যানে বসবেন মোদি

কলকাতা: ৩০ মে থেকে ১লা জুন পর্যন্ত কন্যাকুমারী সফরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময় কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ শিলায় তিনি বসে ধ্যান করবেন। এই শিলার উপর বসে স্বামী বিবেকানন্দ একবার ধ্যান করেছিলেন। ১৮৯২ সালে।

ওই তারিখে কন্যাকুমারীতে ধ্যান করার প্রায় এক বছর পর বিবেকানন্দ শিকাগোতে ধর্ম সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণ শুনে সারা বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল। শিকাগোতে ধর্ম সম্মেলনে দেওয়া তাঁর ভাষণ নিয়ে আজও আলোচনা হয়।

১৮৯৩ সালে শিকাগোতে স্বামীজির ভাষণ বিশ্বের সামনে ভারতের একটি শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরে।  স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর বক্তৃতায় সেদিন সারা বিশ্বের সামনে ভারতীয়দের সহনশীলতা এবং সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার কথা বলেছিলেন।

আরও পড়ুন- ৫ জন মজুরের সমান ক্ষমতা আর বাঁচাবে সময়ও; ‘জুগাড়’ পদ্ধতিতে চাষের অভিনব যন্ত্র !

স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমি গর্বিত যে আমি এমন একটি দেশের বাসিন্দা যে দেশ সমস্ত ধর্ম এবং দেশের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে।

স্বামীজি সেদিন বলেছিলেন, নদী যেমন বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন পথ ধরে অবশেষে সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়, তেমনই মানুষ তার ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন পথ বেছে নেয়। যদিও এই পথগুলি ভিন্ন দেখাতে পারে, তবে প্রতিটি পথই ঈশ্বরের দিকে নিয়ে যায়।

কথিত আছে, স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালে যখন কন্যাকুমারীর তীরে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি দেখতে পান যে তীর থেকে কয়েক মিটার দূরে একটি দ্বীপ রয়েছে। যদিও সেই সময় সেখানে নৌকা চলছিল, তবে তিনি সাঁতার কেটে সেখানে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি সাঁতার কেটে ওই দ্বীপে পৌঁছন। তার পর সেই পাথরে বসে ধ্যান করেন। কথিত আছে, সেই সময়ে বিবেকানন্দ এই দ্বীপে তিন দিন তিন রাত ছিলেন। সেই ধ্যানের মাধ্যমে তিনি প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

আরও পড়ুন- ফোন নম্বর বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ! মোবাইল নম্বরে লুকিয়ে সৌভাগ্য!

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ বিকেলে কন্যাকুমারী পৌঁছবেন। তার পর তিনি যাবেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে। ৩০ মে সন্ধে থেকে ১লা জুন সন্ধে পর্যন্ত তিনি এখানে ধ্যান করবেন।