নন্দীগ্রাম: বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে ছিল নন্দীগ্রামের মনসা বাজার এলাকা। একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মনসা বাজার এলাকা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে মারধর। রাজনৈতিক হিংসার ফলে ঘর ছাড়া হয়ে গড় চক্রবেড়িয়ার অস্থায়ী ক্যাম্পে ছিলেন বেশ কয়েকজন মানুষ।
শনিবার ভোটের দিনও বেশ উত্তেজনার ছিল এলাকায়। বিজেপি তৃণমূল দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন। নিয়ম করে টহলদারি করা হয়েছে। ভোটের দিন কোনরকম বড় ঘটনা না ঘটলেও ভোট পরবর্তী হিংসা হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু নির্বাচনের পরের দিন সকাল থেকেই দৃশ্যত পরিবেশ ছিল অনেকটাই শান্ত। দোকান পাট বসেছে। মানুষ বাজারে কেনাকাটা করতেও বেরিয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষের আশা দীর্ঘই শান্তি ফিরবে।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা সুবল চন্দ্র সাহু জানিয়েছেন, “এলাকায় শান্তি ফিরবে এই আশা রাখি। ভোট মিটে গিয়েছে সবাই আবার নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে আসবে। আর সবচাইতে বড় বিষয় যে প্রতিবেশীরা বাড়ি ছাড়া হয়েছে আশা করব দ্রুত তারা বাড়ি ফিরে আসবে প্রত্যেক মানুষই নিজের বাড়িতে থাকতে চায়, বাড়ি ছাড়ার যন্ত্রণা অনেক কষ্টের। তাই হয়তো আবার সব ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে পারব।
এ দিন সকালে বাজার করতে এসেছিলেন পুষ্পরানি মণ্ডল। তিনি বলেন, “এখন গ্রামে অনেকটাই শান্তি রয়েছে। আতঙ্ক যে একদমই নেই তা নয়। কিন্তু শান্তি ফিরেছে। পুলিশ টহল দিচ্ছে। আশা করব এরকম ভাবেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে মনসা বাজারে এলাকা।” এই বাজারে সবজি বিক্রি করতে এসেছেন সুকুমার জানা। তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই এখানে ব্যবসা বন্ধ। আতঙ্ক আর ভারী বুটের আওয়াজ। কেমন যেন অপরিচিত লাগছিল এই গ্রামটিকে। কিন্তু আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।”
Ujjal Roy