পরীক্ষা করা হচ্ছে চূর্ণী নদীর জল

River Churni: পরীক্ষাতে মিলল ভয়ঙ্কর তথ্য! চূর্ণী নদীর জলে যা আছে দেখুন

নদিয়া: বাংলাদেশ থেকে মাথাভাঙা নদী ভারতে প্রবেশ করে বিজয়পুর সীমান্তের কাছে। বিজয়পুর সীমান্ত থেকে এই নদী কৃষ্ণগঞ্জে প্রবেশ করে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি ইছামতি, যেটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দিয়ে বয়ে যায় এবং অপরটি চূর্ণী নদী, যা কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এসে রানাঘাট, কৃষ্ণনগর হয়ে গিয়ে মেশে ভাগিরথী নদীতে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ইছামতি নদীর উৎসমুখ শুকনো, সেই অর্থে জল নেই। তবে চূর্ণী নদীতে জল থাকলেও তা অত্যন্ত দূষিত।

সমগ্র চূর্ণী নদী বর্তমানে কালো জলে ভরে রয়েছে। জল থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রতিদিন এই নদীতে বহু মানুষ স্নান করেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে চর্মরোগ, পেটের অসুখ ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চূর্ণী নদীতে মাছ ধরে বহু মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে নদীর জল দূষিত হওয়ার ফলে মাছ প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে তাঁদের জীবিকা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধের মাধ্যমে জেলায় কর্মসংস্থান! অভিনব ঘটনা এখানে

কেন চূর্ণী নদীর জল এই পরিমাণে দূষিত হয়ে উঠেছে তার সন্ধান পাওয়া গেল এবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চূর্ণী নদীর উৎস বাংলাদেশের মাথাভাঙা নদীতে বছরে চারবার বাংলাদেশের কেরো কোম্পানির বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয়। তা মাথাভাঙা নদীর স্রোতের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে চূর্ণীতে এসে মেশে। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অজস্র কচুরিপানা ভেসে চলে আসছে চূর্ণী নদীতে। ফলে সূর্যের আলো সরাসরি নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। তার ফলে নদীর জলের ভেতরে থাকা জীবজগৎ ক্লোরোফিল উৎপন্ন করতে পারছে না। সেখানে অক্সিজেনের ব্যাপক অভাব ঘটছে। আর সেই কারণেই নদীর জল দূষিত হয়ে উঠছে এবং মাছের দেখা প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে চূর্ণী নদী দূষিত হওয়ার মূল কারণের বিষয়টি যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঘটছে, তাই সহজে এর সমাধান মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন স্থানীয়রা। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত চূর্ণী নদীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

মৈনাক দেবনাথ