Category Archives: নদিয়া

Lok Sabha Election 2024: লালেদের পছন্দ যখন সবুজ! ভোট প্রচারে এসে অভিনব বার্তা বাম কর্মীদের

নদিয়া: লালেদেরও পছন্দ সবুজ! তাই বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়ে পরিবেশের বার্তা দিয়ে বাম প্রার্থী প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাসের ভোট প্রচার প্রখর রোদ্রে। রাজ্যের একমাত্র বাম পরিচালিত পুরসভা নদিয়ার তাহেরপুর।

আর সেখানে ভোট প্রচার যে অন্য আর পাঁচটা সাধারণ জায়গা থেকে একটু আলাদাভাবে এটাই স্বাভাবিক।আর মাত্র দিন কয়েক পরই ভোট বামফ্রন্ট মনোনীত ও জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সি.পি.আই(এম) রানাঘাট লোকসভার প্রার্থী অলকেশ দাসের ভোট প্রচার শুরু সারা তাহেরপুর জুড়ে।

আজ সকাল ৮ টা থেকে তাহেরপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু করলেন ভোট প্রচারের কর্মসূচি। তাহেরপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত চলল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অলকেশ দাস এবং নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় রায় ও তাহেরপুর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কর্মীবৃন্দরা।

 

এদিন স্থানীয় এলাকাতে গাছ লাগিয়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু এলাকায় ক্লাব সামাজিক সমস্যা পরিবেশ কর্মীদের গাছের চারা উপহার দিয়ে তা বড় করে তোলার অনুরোধ জানান।

যদিও বর্ষা না আসতেই প্রখর রোদে গাছ লাগানো সম্পর্কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি প্রার্থী সাংসদ জগন্নাথ সরকার, তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণিপুর অধিকারীও বাঁচানো সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। তবে অলকেশ দাসের মতে এটা প্রতীকি, তবে রাজ্যে শাসকদলের তৃণমূল প্রার্থী কিংবা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রার্থী বিরোধিতা করতেই পারেন তবে পরিবেশের কথা নিয়ে একটি শব্দ ব্যবহার করেন না কখনও।

বর্তমানে গাছ লাগানো হচ্ছে ঠিকই তবে তা ছবিতে অথচ অতীতের বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকার সময় প্রচুর পরিমাণে লাগানো গাছ এ রাজ্যে তৃণমূল কেটে উড়িয়ে সাফ করে দিচ্ছে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করলেও তা বাস্তবের মাটিতে পৌঁছাচ্ছে না।

মৈনাক দেবনাথ

Lok Sabha Election 2024: গরমে শরবৎ বিলি, মহুয়া-অমৃতার লড়াইয়ে কৃষ্ণনগরে ছাপ রাখতে পারবে সিপিএম?

কৃষ্ণনগর: কাঠফাঁটা রোদে হুডখোলা জিপে লাল টুপি পরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। এবং তার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষকে গরমের থেকে কিছুটা রেহাই দিতে তাঁর কর্মী সমর্থকেরা বিতরণ করছেন শরবত ও ঠান্ডা পানীয়।

দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে নদিয়া জেলার লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাট- দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যেক দলের প্রার্থীরা। কৃষ্ণনগরে অবশ্য তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং বিজেপির অমৃতার রায়ের মধ্যেই মূল লড়াই হিসেবে দাবি করছে রাজনৈতিক মহল৷ তবু হাল ছাড়ছেন না বাম কর্মী সমর্থকরা৷

তপ্ত গরমেই লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হুডখোলা জিপে প্রচার চালাচ্ছেন বাম প্রার্থী এস এম সাদি। এ দিন সকালে কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীন বিক্রমপুর, হরনগর, বিলকুমারী, ধনঞ্জয়পুর ইত্যাদি গ্রামগুলিতে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার চালান তিনি।

আরও পড়ুন:গরমে কাজ করছে না পুরনো ফ্রিজ? এই পাঁচ টিপসেই হবে নতুনের মতো ঠান্ডা

প্রচারের রাস্তাতেই পথ চলতি মানুষকে গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই দিতে ঠান্ডা পানীয় ও শরবত বিতরণ করছেন তাঁর দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। এস এম সাদি জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি খুবই ভাল, পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে। নতুন নতুন মানুষ বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেক্ট্রোরাল বন্ডের দুর্নীতি এবং আমাদের রাজ্যের চাকরি নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি  সমাজের সর্বস্তরে নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও কাজ নেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছে, কৃষকেরা মজুরি পাচ্ছেন না, পেট্রোলের দাম সারের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি মানুষের মধ্যে সাড়া দিয়েছে।

সিপিএমকে সেভাবে গুরুত্ব দিতেই নারাজ তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই৷ এ বিষয়ে এফএম সাদি জানান, “মানুষের মনের রসায়ন কখনও অঙ্ক শাস্ত্রে হয় না। মানুষ কারও কেনা গোলাম নয়। পরিস্থিতির পরিবর্তন সবসময় ঘটে। তার জীবন জীবিকা কাজ যন্ত্রণা নিরাপত্তা তার বেকারত্ব ইত্যাদি সবই নির্বাচনের আগে মানুষ ভাবেন। এবং তারই সঙ্গে তারা ভাবেন অন্য দলগুলি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে! যা আজও হয়নি, এগুলি মানুষ সবই দেখছে। এছাড়াও রাজ্যে কোন শিল্প কলকারখানা নেই, সব ক্ষেত্রেই চলছে একটি চরম দুর্নীতি।”

রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে সিপিআইএমকেই ভোট দেবেন বলে মনে করছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী এস এম সাদি। আপাতত নির্বাচনী প্রচারে রাত দিন ব্যস্ত তিনি।

Mainak Debnath

Gambler Arrested: জুয়ারিদের ধরতে উঠে এল আরও মারাত্মক তথ্য! অবাক পুলিশও

নদিয়া: জুয়াড়িদের গ্রেফতার করতে গিয়ে মারাত্মক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অনলাইন প্রতারণা চক্রের ছয় ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিপুর লেবুতলা পাড়ায় ছয় যুবক একটি জায়গায় বসে অনলাইন জুয়া চক্র চালাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দেয়। পরবর্তীতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত ছয় যুবকের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ এবং দশটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছে নগদ ৩৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ধৃতদের মধ্যে তিন যুবককে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত।

আর‌ও পড়ুন: নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়াটাই কাল! হেলমেট পরেও লাভ হল না যুবকের

ধৃত ছয় যুবক হল- নাম সোমনাথ পাল (২৪), বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা জাপট পালপাড়া এলাকায়। ইন্দ্রজিৎ পাল (২৪), বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা নিচু জাপট এলাকায়। দীপু ব্যানার্জি (২৩), বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দিবাকর নগর এলাকায়। রঞ্জন কুমার যাদব (১৯), বাড়ি বিহারে। সুধীর কুমার (১৯), বাড়ি বিহার। অপর যুবকের নাম পুষ্কর দাস (১৯), বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গায়।

এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়া এলাকায়। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা এবং এদের দল আর কোথায় কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

মৈনাক দেবনাথ

Bike Accident: নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়াটাই কাল! হেলমেট পরেও লাভ হল না যুবকের

নদিয়া: জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল যুবকের। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে খেয়ে ফেরার পথে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে জাতীয় সড়কের গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে, তারপর সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরিতে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিজিৎ অধিকারী নামে এক যুবকের।

মৃত যুবকের বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে অভিজিৎ তার এক বন্ধুকে নিয়ে শান্তিপুরে নিমন্ত্রণ বাড়িতে খেতে গিয়েছিল। এরপর মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার সময় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাইকটি সজোরে ধাক্কা মারে গার্ড‌ওয়ালে, তারপর ছিটকে গিয়ে একটি লরির পেছনে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় বাইকের পিছনে বসে থাকা অভিজিতের বন্ধুর অল্প আঘাত লাগলেও সে গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থীকে দেখেই জল, মিষ্টি নিয়ে হাজির সবাই! ব্যাপারটা কী

রাতেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে অভিজিতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, অভিজিৎ মাথায় হেলমেট পরেই বাইক চালাচ্ছিলেন। তারপরেও বাড়ির ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতি হওয়ায় তাঁরা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন।

মৈনাক দেবনাথ

BJP: ৫৫৪ কোটি ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৯৭ টাকা! এত সম্পত্তি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির! বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের হলফনামার তথ্য চমকপ্রদ

*প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবার অর্থাৎ রাজার। তবে রানীমার সম্পত্তির ভাড়ার রয়েছে শূন্য। সেই সম্পদকে নিজের বলে দাবি করতে পারলেন না কৃষ্ণনগরের রানিমা তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। দাখিল করা মনোনয়নপত্রে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
*প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবার অর্থাৎ রাজার। তবে রানীমার সম্পত্তির ভাড়ার রয়েছে শূন্য। সেই সম্পদকে নিজের বলে দাবি করতে পারলেন না কৃষ্ণনগরের রানিমা তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। দাখিল করা মনোনয়নপত্রে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
*রাজ পরিবারে সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি অমৃতা দেবী তার স্বামীর বলেই দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ৫৫৪ কোটি ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৯৭ টাকা সম্পত্তি রয়েছে তাঁর স্বামী অর্থাৎ কৃষ্ণনগরের বর্তমান রাজার নামে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
*রাজ পরিবারে সমস্ত স্থাবর সম্পত্তি অমৃতা দেবী তার স্বামীর বলেই দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ৫৫৪ কোটি ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৯৭ টাকা সম্পত্তি রয়েছে তাঁর স্বামী অর্থাৎ কৃষ্ণনগরের বর্তমান রাজার নামে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
*এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি শাসক দলের দাবি, এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান রাজ পরিবারের শহরের প্রতি কোন অবদান নেই। অবশ্য তার প্রত্যুত্তরে বিজেপি জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর শহরে যা কিছু হয়েছে সবটাই রাজার দান করা জমিতে।
*এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি শাসক দলের দাবি, এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান রাজ পরিবারের শহরের প্রতি কোন অবদান নেই। অবশ্য তার প্রত্যুত্তরে বিজেপি জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর শহরে যা কিছু হয়েছে সবটাই রাজার দান করা জমিতে।
*উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর সোমবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা দেবী। সেই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেন হলফনামা। আর সেই হলক নামাই নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
*উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর সোমবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা দেবী। সেই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেন হলফনামা। আর সেই হলক নামাই নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
*হলফনামা প্রকাশ হতেই রাজ পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে ভিড়মি খেয়েছেন কৃষ্ণনগরবাসী। যদিও রানিমা জানিয়েছেন, তার কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। স্বামী সৌমেশ চন্দ্র রায়ের নামে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে।
*হলফনামা প্রকাশ হতেই রাজ পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে ভিড়মি খেয়েছেন কৃষ্ণনগরবাসী। যদিও রানিমা জানিয়েছেন, তার কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। স্বামী সৌমেশ চন্দ্র রায়ের নামে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে।
*হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, রানিমার স্বামীর নামে নদিয়া জেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে ১৯টি প্লট রয়েছে। কলকাতায় ১.৩২ একর জমি রয়েছে। সব মিলিয়ে রানিমার স্বামীর নামে ৩১.৪ একর জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৩৪ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৭ টাকা।
*হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, রানিমার স্বামীর নামে নদিয়া জেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে ১৯টি প্লট রয়েছে। কলকাতায় ১.৩২ একর জমি রয়েছে। সব মিলিয়ে রানিমার স্বামীর নামে ৩১.৪ একর জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৩৪ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৭ টাকা।
*কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূল্য ৩১৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকা। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক ৫৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
*কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূল্য ৩১৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকা। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক ৫৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
*হলফনামা অনুযায়ী রানিমার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৪৫ টাকা এবং অলংকার রয়েছে ৪৫ গ্রাম। সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
*হলফনামা অনুযায়ী রানিমার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৪৫ টাকা এবং অলংকার রয়েছে ৪৫ গ্রাম। সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।

Lok Sabha Election 2024: নদিয়ার এই এলাকায় নেই ভোটের প্রচার! কারণ জানলে অবাক হবেন

নদিয়া: ভোট আসে ভোট যায়, ভাঙন কবলিত অঞ্চল যে তিমিরে সেই তিমিরেই পরে আছে। প্রার্থীরা আসে আশ্বাসের বন‍্যা বইয়ে দেয়। ভোট চলে গেলে বাবুদের দেখা মেলা ভার এমনি অভিযোগ জানালেন, এলাকার স্থায়ী বসবাসকারীরা। চাকদহ ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ ঝাউচর, গঙ্গাপ্রসাদপুর, পোরাডাঙ্গা এবং মুকুন্দ নগর। চারটি গ্রামে বুথ রয়েছে ছটি, বাস করেন প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারের । এখানকার মানুষের পেশা চাষী, মৎস‍্যজীবি, দিনমজুর এবং নির্মাণকর্মী। নদিয়া জেলার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও হুগলী জেলার সঙ্গে যোগাযোগটা বেশী।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি, নিভতেই বেরিয়ে এল গাঁজার প্যাকেট

গত পাঁচ বছর আগে মুকুন্দনগর থেকে গৌরনগর ঘাটের আগে পযর্ন্ত বাঁধানো হয়েছিল আজ তা বিশবাঁও জলে। সেই একই অবস্থায় ফিরে এসেছে। নদিয়া-হুগলী সঙ্গে সংযোগ গৌরনগর ফেরীঘাট। এখনও ভাঙনের মধ‍্যে পরে রয়েছে। কোনও স্নান করার স্থায়ীঘাট নেই, নেই স্থায়ী ফেরীঘাট। কোনও মতে দিন কাটছে এলাকার বাসিন্দাদের। বিশ্বনাথ বিশ্বাস, রামপ্রসাদ তরফদার অক্ষয় বিশ্বাসরা আজ অসহায়। বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, “কবে এই অঞ্চলে বিধায়ক বা সংসদ এসেছিলেন জানেননা এলাকার মানুষ। আমরা সুখ দুঃখের কথা কাকে জানাব।”

আরও পড়ুন: আরও বাড়বে গরম, কত হবে তাপমাত্রা? রেড এলার্ট জারি দক্ষিণের এই জেলাগুলিতে! দেখে নিন বাড়ি থেকে বেরনোর আগে

একি অবস্থা কল‍্যানী ব্লকের চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির স‍ান‍্যালচর এলাকার রানীনগর, বালাপাড়া, ঢুঙ্গিপাড়া এবং মালোপাড়া। মোট ১৩ টি অঞ্চল ছিল। লোক সংখ‍্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার। কমতে কমতে পাঁচ হাজার ভোটার সহ ছয়টি বুথ এসে দাঁড়িয়েছে। না আছে স্নান করার না আছে স্থায়ী ফেরীঘাট। প্রায় দিনই ফেরীঘাট পরিবর্তন করতে হয়। অবিলম্বে গঙ্গার ভিতরে জমা পলি বা বালি তুলতে হবে না হলে গঙ্গা বক্ষে যান চলাচল ব‍্যাহত হবে জানালেন সরাটি অঞ্চলের হামিদুল মন্ডল। সাধারণ মানুষের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নেই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির কাছেই সেই কারণেই হয়তো তুলনামূলকভাবে কম উপস্থিত হচ্ছেন ভোট প্রার্থনায় বলে দাবি এলাকাবাসীদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Car Fire: দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল চলন্ত গাড়ি, নিভতেই বেরিয়ে এল গাঁজার প্যাকেট

নদিয়া: গাঁজা পাচারের সময় জাতীয় সড়কের উপর গাড়িতে লেগে গেল আগুন। শান্তিপুরের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই ঘটনা ঘটে। তীব্র গতিতে ছুটে যাওয়া একটি চার চাকা গাড়ি হঠাৎই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর যাচ্ছিল গাড়িটি। ফুলিয়ার প্রফুল্ল নগর এলাকায় চার চাকা গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষজন আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু ততক্ষণে গাড়িটি পুরো আগুনের গ্রাসে চলে যায়। পরে রানাঘাট থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

আর‌ও পড়ুন: জেলার হাত ধরে ময়দানে সুদিন ফিরবে? আশা দেখাচ্ছে এই মফস্বল

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর গাড়িটির ডিকি ও বনেটের ভিতর থেকে গাঁজা জাতীয় মাদকের বেশ কিছু প্যাকেট উদ্ধার হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গাড়ির ইঞ্জিনের বনেটের ভিতরে করে গাঁজা জাতীয় মাদক পাচার হচ্ছিল। ঘটনার পর থেকেই পলাতক গাড়ির চালক। তবে গাড়িতে ঠিক কত পরিমান গাঁজা ছিল সেই বিষয়ে এখনই সঠিক কোনও তথ্য জানতে পারেনি পুলিশ। কোথা থেকে কোথায় ওই গাঁজা পাচার হচ্ছিল ও এর পিছনে কারা জড়িত তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পলাতক গাড়ি চালকের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

মৈনাক দেবনাথ

Nadia News: মানুষের মধ্যে মহাপ্রভুর মানব ধর্ম চেতনা জাগ্রত করতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জনজাতি কনভেনশন

ইসকন, মায়াপুর: দশটি রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে মায়াপুর ইসকনের শুরু হল তিনদিন ব্যাপী জনজাতি কনভেনশন। ভারতবর্ষের দশটি রাজ্যের তিন হাজার জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে মায়াপুর ইসকনে অনুষ্ঠিত হল অষ্টম বর্ষ ব্যাপি জনজাতি সম্মেলন।২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই জনজাতি সম্মেলন চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বের যে সমস্ত জায়গায় এখনও শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি তাদের দেখার মত কেউ নেই সমাজের মূল স্রোত থেকে অনেকটাই পিছিয়ে।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

‌যারা সহজ সরল জীবন যাপনে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষদের মধ্যে শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবেশ এবং তারা যাতে জীবনের আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে পারে এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেম ধর্মকে অবলম্বন করে মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ হিসেবে যাতে নিগৃহীত হতে না হয় সমাজে যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সেই লক্ষ্যে এই জনজাতি সম্মেলন। একই সঙ্গে জনজাতি মানুষদের মধ্যে যাতে মহাপ্রভুর মানব ধর্ম চেতনা জাগ্রত হয় এবং সমাজে যাতে মাথা উঁচু করে থাকতে পারে এই লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যের জনজাতি মানুষদের একত্রিত করে এই সম্মেলনের আয়োজন করল মায়াপুর ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath

Nadia News: কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দলের মেলা! জানুন আসল কাহিনী

কৃষ্ণনগর: শুরু হল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারো দোলের মেলা। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পর দ্বিতীয় একাদশী তিথিতে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে এই মেলা বসে। কারও কারোর মতে, দোলের ১২ দিন পরে এই মেলা বসে । আবার অন্য মত অনুযায়ী একসময়ে নদিয়ার মহারাজ বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি কৃষ্ণমুর্তি স্থাপন করেছিলেন। সেই সমস্ত বিগ্রহই একসঙ্গে এনে রাজবাড়িতে মণ্ডপ করে কাঠের সিংহাসনে সাজিয়ে রাখা হয়। সাধারন মানুষও এই সময় এই বিগ্রহ দর্শন করতে পারেন। তবে বারোদোলের মেলায় শুধু এই ১২ টি বিগ্রহই থাকে না। থাকে রাজবাড়ির বড় নারায়ণ বিগ্রহ।এই বিগ্রহগুলি নদিয়া ছাড়াও বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।

আরও পড়ুন: মহিলার কাণ্ড শুনলে পিলে চমকে উঠবে! ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বিএসএফের

তবে এখন আর সব বিগ্রহ রাজবাড়িতে আসে না । বারোদোলে এই সমস্ত বিগ্রহকে পুজো করা হয় । একমাস পরে বিগ্রহগুলি ফের তাদের আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় । এই তিন দিন বিগ্রহগুলিকে তিন রকম পোশাক পরানো হয় । প্রথম দিন পরানো হয় রাজবেশ, দ্বিতীয় দিন ফুলবেশ এবং তৃতীয় তথা শেষ দিন পড়ানো হয় রাখালবেশ । কথিত আছে, সেই সময়ে রাজপরিবারের মহিলাদের পক্ষে কোনও মেলা দেখা সম্ভব ছিল না । তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে এই মেলার প্রবর্তন করেন । অন্যমতে, নদিয়া রাজ গিরীশচন্দ্র রাজমহিষীর অনুরোধে এই মেলার প্রবর্তন করেন । এই মেলাকে ঘিরে আজও মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই।

আরও পড়ুন:  তীব্র গরমে পথ চলতি মানুষের পাশে ট্রাফিক পুলিশ, তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সরবত-বাতাসা-তরমুজে

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন এই মেলায়। নানা মনোহারি দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান এবং নানা মনোরঞ্জনের দোকানীরাও এই মেলায় হাজির হন তাদের পসরা সাজিয়ে। রাজবাড়ির একটা অংশ এই সময় খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। দোল উৎসব পার হয়ে যাওয়ার পরেও ফের এই বারোদোলকে ঘিরে উৎসবে মাতেন মানুষ। আর সেই উৎসবে শুধু কৃষ্ণনগর নয় আশপাশের এলাকার মানুষও যোগ দেন। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই মেলার সঙ্গে যে শুধু মানুষের মনোরঞ্জন আর উৎসবের আনন্দ জড়িয়ে আছে তাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে নদিয়ার রাজপরিবারের ঐতিহ্যও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath

BSF: মহিলার কাণ্ড শুনলে পিলে চমকে উঠবে! ভোটের আগে বিরাট সাফল্য বিএসএফের

নদিয়া: ভোটের সময় বিরাট সাফল্য পেল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৩২.৪ লক্ষ টাকার রত্নখচিত স্বর্ণালঙ্কার সহ এক মহিলাকে আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জ‌ওয়ানরা।

নদিয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন বিএসএফ-এর ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালান। আর তাতেই বিপুল অলঙ্কার সহ ওই মহিলা গ্রেফতার হন। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে অবৈধ ২৮ লক্ষ ৯,৫০০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে গয়না পাচারের পরিকল্পনা করছিলেন। চোরাচালানে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জব্দ করা সোনার গয়নার ওজন আনুমানিক মূল্য ৩৭৮ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য ৩২ লক্ষ্য ৪৪ হাজার ৩৩১ টাকা।

আর‌ও পড়ুন: ভয়ঙ্কর গরমের মধ্যেই বাইরে বের হতে হবে? আপনার জন্য থাকছে এই ব্যবস্থা

এদিন কৃষ্ণগঞ্জ থানার হালদারপাড়ার সীমান্তে পাহারারত বিএসএফ জওয়ানরা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে খবর পান বাংলাদেশে সোনার গয়না পাচারের চেষ্টা চলছে। এরপরই তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে গয়না সহ ওই মহিলাকে আটক করেন। অভিযান চলাকালে তিন সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ধরা পড়ার আগেই তারা মোটরসাইকেল ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। জওয়ানরা তাদের তাড়া করলে ওই চোরাকারবারিরা দ্রুত তাদের সঙ্গে থাকা সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে সেগুলি দেয় এবং বাইক ফেলে পালিয়ে যায়।

আর‌ও পড়ুন: বাকি ৬ দফা ভোটের আগে কী চাইছেন অবসরপ্রাপ্ত ও বয়স্করা?

মহিলা জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখতে শুরু করলেই জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর প্যাকেটটি খুললে রত্নখচিত সোনার গয়না পাওয়া যায়, যার মধ্যে ছিল ১১ টি নেকলেস, ১৫ জোড়া কানের দুল এবং ৫৩ টি আংটি। এর পর ওই মহিলার বাড়িতে তল্লাশির সময় স্থানীয় পুলিশ ও গ্রামের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিএসএফ জওয়ানরা পাঁচটি বান্ডিলে বাঁধা মোট ২৮ লাখ ৯,৫০০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এরপর ওই মহিলার থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মৈনাক দেবনাথ