ঘরের কাছে বসেই পাবেন রাজস্থানের স্বাদ! ৬০ টাকার চাট একা শেষ করাই চ্যালেঞ্জ

Food: ঘরের কাছে বসেই পাবেন রাজস্থানের স্বাদ! ৬০ টাকার চাট একা শেষ করাই চ্যালেঞ্জ

পশ্চিম বর্ধমান: ঘরের সামনেই রয়েছে অনন্য স্বাদগ্রহণের সুযোগ। বাংলায় বসে আপনি চোখে দেখতে পারবেন রাজস্থানী স্বাদ। মাত্র অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আপনি পেয়ে যাবেনরাজস্থানী চাট। কিন্তু ভুলেও রাজস্থানী চাট একা খেতে যাবেন না। কারণ এক প্লেট রাজস্থানী চাট একা শেষ করা যেন বড় একটা চ্যালেঞ্জের সমান।

কিন্তু কোথায় পাবেন এই রাজস্থানী চাট? এর জন্য আপনাকে আসতে হবে পানাগড় শিল্পতালুক থেকে আরও কিছুটা এগিয়ে বুদবুদ বাজারে। যেখানে রাস্তার পাশেই আপনি পাবেন এই রাজস্থানী চাটের দোকান।

এই চাটের দোকানটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই চাট খেতে বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়। কারণ এই চাট একদিকে যেমন পকেট ফ্রেন্ডলি, তেমনভাবেই এক প্লেট চাট দুজনে পেট ভর্তি করে খেতে পারবেন।

আরও পড়ুন: বিয়ের ১০ মাসেই বিচ্ছেদ, ২ বছরে ভাঙে দ্বিতীয় বিয়ে, ফ্লপ হিরো হয়েও কোটি কোটি টাকার মালিক বলিনায়িকার স্বামী

এই দোকানে মাত্র ৫০ টাকা থেকেই রাজস্থানের চাটের দাম শুরু হয়ে যায়। আর সর্বোচ্চ দাম ৬০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই আপনি বিভিন্ন স্বাদের রাজস্থানী চাট খেতে পারবেন। যদিও এখানে সবথেকে জনপ্রিয় মিক্সড রাজস্থানী চাট। তাছাড়াও রাজকচুরি রাজস্থানী চাট ক্রেতাদের বেশ পছন্দের। যেখানে পাপড়ি, রাজকচুরি, দই বড়া মত বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়। তার সঙ্গে থাকে নানা রকমের চাটনি এবং ঘুগনি।

রাজস্থানী চাট তৈরির প্রধান কারিগর তথা দোকানের ম্যানেজার বলছেন, তারা নতুন কিছু শুরু করতে চেয়েছিলেন। তখনই এই রাজস্থানী চাট তৈরির ভাবনা মাথায় আসে। যদিও এর জন্য তিনি কোথাও প্রশিক্ষণ নেননি। বিভিন্ন জায়গা দেখে এই চাট তৈরির প্রক্রিয়া তিনি শিখেছেন।

অন্যদিকে এই দোকান শুরু করার পর থেকেই ব্যাপকভাবে তা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এলাকায়। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, একদিন দোকান বন্ধ রাখলে ক্রেতাদের কাছ থেকে আসে নানা রকমের প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সুন্দর! ছোট্ট ছোট্ট সাদা ফুল, বাড়ির আশপাশেই হয়ে থাকে, খুব সাবধান! ‘মৃত‍্যুবাণ’ হয়ে উঠতে পারে

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দাম মাত্র ৬০ টাকা হলেও, এই এক প্লেট চাটদুজনে পেট ভর্তি করে খেতে পারবেন। সবমিলিয়ে এই রাজস্থানী চাট স্ট্রিট ফুড লাভারদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর ক্রেতাদের সেই চাহিদা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

নয়ন ঘোষ