Tag Archives: Bengali Food
Super Food: ধান ছেড়ে ‘সুপার ফুড’ কাউনের চাষ, ভাগ্য খুলে গিয়েছে কৃষকদের
উত্তর দিনাজপুর: সুপার ফুড কাউনের পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে। ধান, গমের থেকেও ভীষণ লাভজনক কাউন চাষ। তাই ধান, গম ছেড়ে এখানকার কৃষকরা কাউন চাষে ঝুঁকছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে কাউনের চাষ। পুষ্টিকর দানা জাতীয় খাদ্যশস্য হচ্ছে কাউন। এই কাউন দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন পিঠে, পায়েস, বিস্কুট সহ অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। তাই দানা জাতীয় ফসল হিসেবে কাউন ভীষণ জনপ্রিয়। কৃষকরা জানান, এই কাউন চাষে খুব একটা সেচের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া অল্প যত্ন নিলেই ভাল ফলন হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কাউন চাষের জমিতে খুব একটা সারের প্রয়োজন হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে এই দানা জাতীয় শস্য চাষ করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব হাসি দিবসে শিল্পীর অবাক করা সৃষ্টি! হাতে ওটা কী জানেন?
কৃষিবিদ অবেন দেবশর্মা জানান, ঘন জীবামৃত তৈরি করে এই কাউন চাষ করা হয়। এই ঘন জীবমৃত বানাতে প্রয়োজন হয় গোবর, গুড়, বেসন, গোমূত্র। এই সার কাউনের জমিতে প্রয়োগ করলে দারুন ফলন পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে কাউনের চাষ করে ভালো ফলন হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে কাউনের। এই কাউনের বীজ বপনের উপযোগী সময় হল অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব। কাউনের চাল বাংলার বাজারে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
পিয়া গুপ্তা
Fermented Fish: শুঁটকি সিদল’ও প্যাকেটজাত! বাড়িতে বসেই ওপার বাংলার স্বাদে ডুব
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুঁটকি মাছের কথা শুনলেই আজও বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরা চোখ-মুখ কুঁচকে ওঠেন। আবার যারা শুঁটকির স্বাদ পরখ করে দেখেছেন তাঁদের কাছে এটা লা জবাব। আর যারা সিদলের স্বাদ একবার চোখে দেখেছেন তাঁরা বোধহয় জীবনে অমৃতের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। মলা, পুঁটি, টাকি ইত্যাদি মাছের শুঁটকির সঙ্গে কচু বা মানকচুর ডাঁটা মিশিয়ে সিদল তৈরি করা হয়। গরম গরম ভাতের সঙ্গে সিদল, আহা যেন স্বর্গ সুখ! বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের একাংশে সিদলের ব্যাপক প্রচলন আছে। পশ্চিমবঙ্গেও বহু মানুষ সিদল খেতে পছন্দ করলেও তা সহজে এখানে পাওয়া যায় না। তবে তাঁদের জন্য এবার মুশকিল আসান। চাইলেই এবার বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন প্যাকেটজাত সিদল।
আরও পড়ুন: ঘুরতে গিয়ে বাঘ দেখার নিশ্চয়তা চান? ট্যুর প্ল্যানে থাকুক কাজিরাঙা
আজকের প্রজন্মে বাঙাল পরিবার গুলিতে শীতল তৈরির উপায় বা পদ্ধতি অনেকেরই অজানা কিন্তু খেতে বহু মানুষ পছন্দ করে। তাছাড়া আজকাল বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরাও সিদলের স্বাদে মজেছেন। তাদের সকলের জন্য এবং মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে অসমের সুদর্শন এথনিক ফুড সোসাইটি। তারা ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ দ্য ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডি ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএএসএসটি) করিমগঞ্জ শাখার সাহায্যে শুঁটকি সিদল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘গাছতলার বিহু’ দেখেছেন? অসমের মাত্র দুটি জেলায় জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়
অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই এই বিশেষ প্যাকেটজাত সিদল যে কেউ কিনতে পারবেন। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মলয় জয়রাজ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। যাতে অন্য কেউ এই সিদল তৈরির ফর্মুলা নকল করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই জিও ট্যাগ করা হয়েছে। আপাতত অসমের মধ্যে এই প্যাকেটজাত সিদল পাওয়া যাবে। তবে আগামী দিনে চাহিদা বাড়লে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও পাওয়া যেতে পারে।
Fish Egg: হোটেলে ভাতের পাতে রোজ মাছের ডিমের বড়া চাই! নিজের অজান্তে শরীরে বিষ ঢোকাচ্ছেন না তো
Poila Baishakh Special: সাবেকিয়ানার সঙ্গে হাল ফ্যাশনের স্বাদের জোড়, পয়লা বৈশাখে শহর মজছে ফিউশন ফুডের অনন্য স্বাদবাহারে
Naba Barsha Food: নববর্ষ নতুন সাজে সকলে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ভূতের রাজা!
Bangaleshi Food: ৩৪৯ টাকায় ১৬ টি পদ, বাংলায় বসে বরিশালের স্বাদ!
Poila Baisakh Special: শহরের সেরা ‘Tiramisu’ কি এখানেই? এবারের পয়লা বৈশাখের খানাপিনা হোক ইতালীয় স্বাদে জমজমাট
Poila Baisakh Special: নববর্ষে খাঁটি বাঙালিয়ানার সঙ্গে মিশতে চলেছে দক্ষিণ ভারতীয় মেজাজ; উৎসবের বিশেষ থালি সাজিয়েছে জনপ্রিয় এই রেস্তোরাঁ
কলকাতা: সামনেই পয়লা বৈশাখ। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈশাখের আগমন উদযাপিত হবে। বাংলায় ধুমধাম করে পালিত হবে পয়লা বৈশাখ। আর অন্যদিকে দক্ষিণ ভারত জুড়ে উদযাপিত হবে ‘ভিশু বৈশাখী’ (Vishu Baisakhi) । ফলে দেশের দুই প্রান্তের উৎসবের কথা মাথায় রেখে বিশেষ মেন্যু সাজিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ট্যামারিন্ড (Tamarind)।
সংস্কৃতিগত এই ফিউশনের বিষয়টার উপর গুরুত্ব দিয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টাকে স্বাগত জানাচ্ছে এই রেস্তোরাঁ। যার ফলে অতিথি-অভ্যাগতরা বিশেষ থালিতে একইসঙ্গে পেতে চলেছেন পয়লা বৈশাখ এবং ভিশু বৈশাখীর স্বাদ।
অর্থাৎ দুই জায়গার উৎসবের মেজাজকে ধরে রাখার জন্য বিশেষ থালিতে ঘটানো হচ্ছে খাঁটি বাঙালি খাবার এবং দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের মেলবন্ধন। শুধু তা-ই নয়, ভেজ এবং নন ভেজ- সব রকম স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন অতিথিরা।
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক ভেজ বা নিরামিষ থালিতে কী কী থাকতে চলেছে! প্রথমেই থাকবে ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক। ডাবের জলের মধ্যে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে তৈরি হবে এই পানীয়। স্টার্টারের মধ্যে থাকতে চলেছে ‘হরা ভরা কাবাব’ (২ পিস), ‘মকাই মালাই শিক’। এরপর মেন কোর্সে ভাতের মধ্যে থাকবে কাজু পোলাও/ কোরিয়েন্ডার রাইস/ লেমন রাইস। ডালের মধ্যে থাকবে কালি ডাল/ আমাবত ডাল/ টোম্যাটো পাপ্পু। ভেজ কারির মধ্যে থাকতে চলেছে ছানার কোফতা, মালাবার পনির, ভেজ স্ট্যু এবং বেনারসি আলুর দম ৷
রুটিজাতীয় খাবারও থাকছে। সেই বিকল্পগুলি হল স্টাফড কুলচা (১ পিস)/ আপ্পাম/ মালাবার পরাঠা। এর পাশাপাশি থাকবে কাঁচা আমের চাটনি + ফ্রায়েড পাঁপড় + গ্রিন স্যালাড। আর মিষ্টির পাতেও থাকবে চমক। মালপোয়া উইথ রাবড়ি আর ম্যাঙ্গো আইসক্রিম থাকবে মিষ্টিমুখে। স্পেশ্যাল এই ভেজ থালির জন্য খরচ পড়বে জনপ্রতি ৫ শতাংশ জিএসটি-সহ ৬৯৯ টাকা।
আমিষ বা নন-ভেজ মেন্যুতেও প্রথমে থাকবে ওয়েলকাম ড্রিঙ্ক। স্টার্টারে থাকতে চলেছে তাওয়া ফিশ-ভেটকি (২ পিস) ও চিকেন মালাই কাবাব (২ পিস)। এরপর মেন কোর্সে ভাতের মধ্যে থাকবে কাজু পোলাও/ কোরিয়েন্ডার রাইস/ লেমন রাইস। ডালের মধ্যে থাকবে ‘আমাবত ডাল’ ৷ এছাড়া থাকছে ‘মালাবার পনির’, ‘প্রন সিগড়ি ভেলা কোর্মা’ ৷
এখানেই শেষ নয়, মাটনের বিকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভুনা গোশত/ মাটন স্ট্যু (২ পিস)/ ভেইনচিনা মামসাম। রুটিজাতীয় খাবারের বিকল্পগুলি হল স্টাফড কুলচা (১ পিস)/ আপ্পাম/ মালাবার পরাঠা। সেই সঙ্গে থাকতে চলেছে কাঁচা আমের চাটনি + ফ্রায়েড পাঁপড় + গ্রিন স্যালাড। আর ভেজ মেন্যুর মতোই মিষ্টিমুখ হবে মালপোয়া উইথ রাবড়ি আর ম্যাঙ্গো আইসক্রিম দিয়ে। স্পেশ্যাল এই নন-ভেজ থালির জন্য খরচ হবে জনপ্রতি ৫ শতাংশ জিএসটি-সহ ৮৫০ টাকা।
Summer Fish Market: গরম পড়তেই মাছের বাজারে বদল, ইলিশ-ভেটকি ছেড়ে চারা পোনা-শিঙি’তে মজেছে বাঙালি
পশ্চিম বর্ধমান: খাতায়-কলমে গ্রীষ্মকাল আসার আগেই হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। তাপমাত্রা বাড়ছে হু হু করে। এমন অবস্থায় সকাল সকাল সবজি বাজারে গিয়েও শান্তি পাচ্ছেন না অনেকেই। পাওয়া যাচ্ছে না পছন্দসই সবজি। মাছ-ভাত প্রিয় বাঙালি তাই ব্যাগ হাতে ছুটছে মাছ বাজারের দিকে। কিন্তু মাছের বাজারে ছবিটা এখন ঠিক কেমন? কী ধরনের মাছ এখন পাওয়া যাচ্ছে? ক্রেতাদের কাছে কোন মাছের চাহিদা বেশি? সব কিছুই আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
গরমে বেশিরভাগ পরিবারেই বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া হয়না। মাছের পদও যাতে কম মসলাযুক্ত হয় তেমনটাই চাইছেন সবাই। মাছের পাতলা ঝোল খেয়ে শরীর সুস্থ রাখার দিকেই সবার মনোযোগ। এমন অবস্থায় ক্রেতারা চাইছেন ছোট মাছ বাড়ি নিয়ে যেতে। চারা পোনা অথবা মৌরলার মত মাছের চাহিদাই এখন ক্রেতাদের কাছে সব থেকে বেশি। বাজারে গিয়ে তাঁরা প্রথমে এই সমস্ত ছোট মাছের খোঁজ করছেন। তবে যথারীতি পিছিয়ে নেই রুই, কাতলাও। কাটা পোনাও অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ঝোল খাবেন বলে।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমে চোখ লেগে গিয়েছিল, তারপরই চিরনিদ্রায় চালক!
বিক্রেতারাও ক্রেতাদের এই চাহিদা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তাঁরা জানালেন, গরম পড়তেই বাজারে ছোট মাছের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে যোগান ভাল থাকলেও মাছের চাহিদা সার্বিকভাবে কমেছে। ফলে মাছের দাম এখন সকলের সাধ্যের মধ্যেই আছে।স্বাভাবিকভাবেই চারাপোনা, মৌরোলা, পাবদা, রুই, কাতলার মত মাছের বিক্রি বেশি হচ্ছে। তাছাড়াও মাগুর মাছের চাহিদা রয়েছে অনেকটাই। অন্যদিকে বাজারে সামুদ্রিক মাছের সেই অর্থে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ভোট আসতেই স্কুলের মারাত্মক ক্ষতি! ইভিএম ভর্তি কন্টেনার ঢুকতে গিয়ে ভাঙল তোরণ
তবে এইসবের বাইরে গিয়ে তীব্র গরমের কারণে মাছ ব্যবসায়ীরা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। সমস্যা হচ্ছে মাছ সংরক্ষণ নিয়ে। বিক্রেতারা বলছেন, মাছ সংরক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ হল বরফ। কিন্তু তীব্র তাপমাত্রার কারণে বরফ তাড়াতাড়ি গলে জল হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময়ই মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরা বেশিক্ষণ মাছ সংরক্ষণ করতে পারছেন না। যে কারণে তাঁরা চাইছেন, যত সকাল সকাল সম্ভব মাছ বিক্রি হয়ে যাক।
নয়ন ঘোষ