দেড়মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন। অপেক্ষা ছিল ৪ তারিখের দিকে। কিন্তু ১ তারিখ সন্ধের পরের বুথফেরত সমীক্ষার ফল সব হিসেব ঘুরিয়ে দেয়। এক্সিট পোল দেখে সবাই যখন শিউরে উঠেছে, তখন নিজের দলের উপর ভরসা রেখেছিলেন অভিষেক। তাঁর কথাই মিলল। আর জয়ের ব্যবধান গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। ৭ লক্ষেরও বেশি রেকর্ড ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ডায়মন্ডহারপারের সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় ফের সবুজ ঝড়। তালিকায় যেমন রয়েছেন নতুন মুখ, তেমনই জয় ধরে রাখলেন পুরনো সাংসদেরা। কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, দেব, শতাব্দী রায়, মালা রায়ের মতো দুঁদে রাজনীতিকদের কাছে এবারেও ধরাশায়ী বিজেপি।
১৯৯৮ থেকে ২০০৯। কলকাতা দক্ষিণ থেকে বারবার জিতেছেন মমতা স্বয়ং। কোনও নির্বাচনেই বিজেপি এখানে সাফল্য পায়নি। এই কেন্দ্র একপ্রকার মমতার নিজেরই। সেখানেই আবারও জয়ী মালা রায়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। দু’বারের সাংসদ দেব এ বার ভোটে দাঁড়াতে নারাজ ছিলেন। পরে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর করবে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েই তিনি ভোটে লড়তে রাজি হয়েছেন। তৃতীয়বারের জন্য তিনি লড়েন, জয়ীও হন। হ্যাটট্রিক তাঁরও। প্রতিপক্ষ হিসাবে ছিলেন আরেক অভিনেতা হিরণ। তবে পর্দার মতো রাজনীতির অঙ্গনেও ‘দেব’তুল্য হতে পারলেন না ‘হিরো’ হিরণ।
৪৪ দিন ধরে, ৭ দফায় রাজ্যে চলল ৪২ আসনের ভোটগ্রহণ ৷ বাংলায় ৩০টি আসন দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তবে সেই লক্ষ্যপূরণ হল না বিজেপির। রাজ্য আপাতত ‘এভারগ্রিন’।