ব্যবসা-বাণিজ্য Fraud Alert: WhatsApp মেসেজ স্ক্যাম! ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের এক ধাক্কায় খোয়া গেল ৪৮ লক্ষ টাকা, জানুন আসলে কী ঘটছে Gallery June 5, 2024 Bangla Digital Desk WhatsApp-এর মাত্র একটি মেসেজেই স্ক্যামের শিকার ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। এক ধাক্কায় খোয়া গেল ৪৮ লক্ষ টাকা। সাইবার জালিয়াতির নতুন স্ক্যামআরও একটি নতুন ধরনের সাইবার জালিয়াতির ঘটনা সামনে এল। এই নতুন ধরনের স্ক্যামের মাধ্যমে খুব চালাকির সঙ্গে একজন ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে। এক ধাক্কায় তাঁর ৪৮ লক্ষ টাকা গায়েব করা হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক এই নতুন স্ক্যামের সম্পূর্ণ খুঁটিনাটি। ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে জালিয়াতি –তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতোরের বাসিন্দা ওই ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছে মার্চ মাসে একটি মেসেজ আসে। এই মেসেজ জনপ্রিয় অনলাইন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম WhatsApp-এর মাধ্যমে এসেছিল। পার্ট টাইম চাকরির অফার –WhatsApp-এর মাধ্যমে তাঁর কাছে পার্ট টাইম চাকরির একটি অফার আসে। যেখানে একজন চাকরিদাতা হিসাবে সেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে সেরা পার্ট টাইম চাকরির অফার দেওয়া হয় এবং মোটা টাকা আয়ের লোভ দেখানো হয়। অনলাইন ট্রেডিংয়ে টাকা –এরপর সেই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অতিরিক্ত টাকা আয় করার লোভে পড়ে যান। এরপর তাঁকে অনলাইন ট্রেডিংয়ের কথা জানানো হয় এবং মোটা টাকা উপার্জনের লোভ দেখানো হয়। বেশি টাকার লোভে ক্ষতি –এরপর ১৪ মার্চ থেকে ১ মেয়ে পর্যন্ত চলা এই স্ক্যামে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফেঁসে যান এবং অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করার আশায় নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে থাকেন। ১৩ বারের বিনিয়োগ –এরপর ৩৫ বছরের সেই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ১৩টি আলাদা আলাদা ট্রানজাকশনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে দেন। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এভাবে ৪৮.৫৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে দেন। এক ধাক্কায় খোয়া যায় ৪৮ লক্ষ টাকা –এরপর সেই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নিজের টাকা তুলতে গেলে বুঝতে পারে তিনি স্ক্যামের শিকার। কারণ তিনি অনেকবারের চেষ্টাতেও নিজের বিনিয়োগ করা টাকার থেকেও এক টাকাও তুলতে পারে না। পুলিশের কাছে অভিযোগ –জালিয়াতির শিকার হয়েই তিনি পুলিশের কাছে যান এবং অভিযোগ জানান। পুলিশের কাছে ওই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সবকিছু জানান এবং সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এই ভুল করলেই মহা বিপদ –অজানা নম্বর থেকে আসা যে কোনও কল, মেসেজ থেকে যদি কোনও আর্থিক লাভের কথা জানানো হয়, তাহলে সেই ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। হাই রিটার্নের পাল্লায় না পড়ে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এটি সাইবার স্ক্যাম হতে পারে।