লাইফস্টাইল Auto Brewery Syndrome: হোঁচট খান, মাথা ঘোরে, ক্লান্ত ভাব, মাতাল মাতাল লাগে? শরীরের মধ্যেই মদ তৈরি হচ্ছে না তো? এখুনি জানুন Gallery June 6, 2024 Bangla Digital Desk মদ খেলে পরের দিন একটা হ্যাংওভার অনেকেরই হয়! যেকোনও অ্যালকোহল সেবনেই মাথা ঝিম ঝিম, হালকা থেকে বেশি নেশা হয়েই থাকে! অনেকেই নেশার ঘোরে চরম মাতলামিও করে ফেলেন! অনেকেই স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে মদ খান! photo source collected কিন্তু এমন এক ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি যা আপনাকে চমকে দেবে! এক ফোটাও মদ খাননি আপনি, এদিকে সারাদিন নেশা নেশা ভাব! মাথা ঘোরা! হালকা থেকে বেশি নেশা হওয়া কী করে সম্ভব? এমনকি মুখ থেকে মদের গন্ধও বেরোতে পারে! ভাবছেন তো এ আবার কী অসুখ? photo source collected চিকিৎসকরা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন এই অসুখের কথা শুনে! মদ না খেয়েই সারাদিন মাতাল মাতাল লাগতে পারে! আর তা হয় শরীরের এক বিশেষ রোগের জন্য! photo source collected সম্প্রতি কানাডার এক মহিলা ডাক্তারের কাছে ঠিক এই সমস্যা নিয়ে সাতবার গিয়েছেন। তার মধ্যে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে থাকতেও হয়েছে! অথচ ৫০ বছর বয়সী এই মহিলা জীবনে কোনও দিন মদ ছুঁয়ে দেখেননি! photo source collected সকালে ঘুম ভাঙলেই ওই মহিলার সারাক্ষণ নেশা নেশা ভাব লেগে থাকে! মাথা ঘোরে, বমি ভাব হয়! এমনকি মুখ থেকে একেবারে মদের গন্ধ বের হয়! এই মহিলাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান চিকিৎসকরা! photo source collected চিকিৎসক রাহেল যায়দু এই মহিলার চিকিৎসা করছিলেন! তিনি জানান, মানুষের ওই মহিলার শরীরে ৩০ থেকে ৬২ মিলিমোলস পর্যন্ত অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে! সাধারণত মদ্যপান করলেও যা কখনই ২ মিলিমোলসের বেশি হয় না! photo source collected তিনি জানান, এটি অটো-ব্রুয়ারি সিন্ড্রোম! একটি বিরল রোগ! যেখানে অন্ত্রের ছত্রাক গাঁজন করে অ্যালকোহল তৈরি করে শরীরের মধ্যেই। photo source collected যার লক্ষণগুলির হল, ঝাপসা কথাবার্তা, হোঁচট খাওয়া, মাথা ঘোরা এবং অত্যধিক ঝাঁকুনি শরীরে। মাতাল মাতাল লাগা সারাক্ষণ! তবে এটি কোনও জন্মগত রোগ নয়! বহুদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বা কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে এই রোগ হতে পারে! photo source collected এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথম ছয় মাস কিছু বুঝতেই পারবেন না! তার পরেই লক্ষণ দেখা যাবে! আপনাকে দেখে কেউ বলতেই পারেন যে আপনি আসলে মদ্য পান করেন! কিন্তু বিষয়টা একেবারেই তা নয়! photo source collected এই অসুখের চিকিৎসা কী? ডাক্তার জানান, প্রথমেই খাবারের তালিকা ঠিক করতে হবে! ডায়াট চার্ট মেনে খাবার খেতে হবে! গ্যাস্ট্রো চিকিৎসা করাতে হবে! এবং কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে! সেই সঙ্গে গ্লুকোজের ব্যবহার বাড়াতে হবে! photo source collected তবে এই অসুখ চট করে ঠিক হয় না! নিয়ম না মেনে চললে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে! কারও শরীরে যদি এই লক্ষণ থাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান! photo source collected গোটা জীবন ডায়েট, সঠিক খাবার খেতে হবে! অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ছোঁয়াও যাবে না! আপাতত ওই মহিলার চিকিৎসা শুরু হয়েছে! গোটা বিশ্বে এই রোগ খুব কমই হয়! তাই চট করে বোঝা যায় না আসলে কী হয়েছে রোগীর! photo source collected