গরমে কম বেশি সকলেরই ঘাম হয়। ঘাম যা প্রচণ্ড গরমেও শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও শরীরের দূষিত রেচন পদার্থও থাকে।
কিন্তু ঘামের সঙ্গে ধূলিকণা জমে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না। ফলে লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। এভাবেই বেড়ে ওঠে ঘামাচি।
ঘাম যাতে সহজে শুকিয়ে যায় সেজন্য গ্রীষ্মে হালকা রং ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, এরফলে ঠিকমত বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
দিনে দু’বার স্নান করা অভ্যাস করুন। স্নানের সময় লোপকূপের গোড়া পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন।
গরমে সবসময় ছায়াসঙ্গী হিসাবে জল রাখা চাই। পরিমিত জল পান করতে হবে। আর খাবারের পাতে রাখতে হবে প্রচুর ফল ও শাকসবজি। এতে ঘামাচি এড়ানো সহজ হবে।
চিকিৎসক শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, ঘামাচি হলে চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন।
গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত সবজির মধ্যে ডুমুরে রয়েছে বহুগুণ! নখ ও হাড়ের পক্ষে দারুণ উপকারী, পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত করে ডাকে ডুমুর।
শুকনো ডুমুরে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম একটি ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করে, রক্তনালী এবং ধমনীতে চাপ কমায়।
এছাড়াও ডুমুর ব্যবহার করলে শরীরের ত্বক আরও তরুণ এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে । উচ্চ ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সামগ্রী ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাড়াতাড়ি বার্ধক্যের হাত থেকেও রক্ষা করে, এবং শরীরে ব্রণ হওয়া থেকে ডুমুর মুক্তি দেয়।
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬ সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা কোলেস্টেরল কমায়! মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে! ডুমুর অনিদ্রায় সাহায্য করতে পারে । ডায়াবেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে ও সর্দি কাশি নিরাময়েও এটি খুবই উপকারী খাদ্য।
এ প্রসঙ্গে ডা: শুভ্রাংশু ধোলে জানান, হার্টের পক্ষে ভীষণ উপকারী গ্রামবাংলার বনে জঙ্গলে জন্মানো ডুমুর।
এই ডুমুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে আয়রনের অভাবজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা ও দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে।
গরমের মধ্যে শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখার জন্য খাবার পাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি। তবে বাজারে মরশুমি সবজির মধ্যে কোন কোন খাবেন সেটা জেনে নিতে হবে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, এসি কিংবা ফ্যানের হাওয়া বাইরে থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে শরীরকে ভিতর থেকেও ঠান্ডা রাখতে বেশ কিছু সবজি দারুণ কাজে লাগে।
তীব্র এই গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই দারুণ উপকারী। লেটুস পাতায় জলের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি নেই। পেটের সমস্যাও কমায় লেটুসের পাতা।
গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে দারুণ সাহায্য করে এই ফল। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা দারুণ উপকারী।
গরমে লাউ খেতে ভুললে একেবারে চলবে না। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। গরমের মধ্যে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া, পেটের সমস্যা যাঁদের বেশি লাউ তাঁদের জন্য উপকারী।
ঝিঙে রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়। তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে দারুণ উপকারী ঝিঙে।
‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল যেমনি কমায়। তেমনি শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। হজমের সমস্যাও কমে বিট খেলে পরে।
মদ্য প্রেমীদের কাছে কী বা গরম কী বা শীত! রাত হোক বা দিন সুরা-প্রেমীদের টান আটকানো খুব মুশকিল! তবে গরমকালে মদ খেতে গেলেও কিন্তু কিছু নিয়ম মানতে হবে! যেমন রাম! বহু মানুষ পছন্দ করেন! কিন্তু গরম কালে কি এই রাম খাওয়া যায়? photo source collected
মদ্যপান নিয়ে কিন্তু অনেক ভুল ধারণা আছে আমাদের! এই যেমন অনেকেই বলে থাকেন গরমে রাম খেতে নেই! photo source collected
কিন্তু কেন গরমে রাম খেতে নেই? শুধু শীতকালেই খেতে হয়! এতে শরীর গরম থাকে! এই কথা কি আদৌ সত্যি? জেনে নিন গবেষকদের মত! বিভিন্ন গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে! photo source collected
গবেষণা বলছে শীতকালে রাম খেলে আরাম মেলে! তবে গরমকালে রাম খেলে আলাদা করে কোনও ক্ষতি নেই! তবে কেন বারণ করা হয়? photo source collected
রাম তৈরি হয় গুড় থেকে! আখের গুড় গাঁজন করেই রাম বানানো হয়! দুই রকমের রাম হয়, হোয়াইট ও ডার্ক রাম! হোয়াইট রাম ককটেলে বেশি ব্যবহার করা হয়! photo source collected
ডার্ক রামটাই সাধারণত খাওয়া হয় বেশি! এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি! যা শীতকালে শরীরের উষ্ণতা বাড়াতে সাহায্য করে! photo source collected
এই অতিরিক্ত ক্যালোরির জন্যই গবেষকরা গরমকালে রাম থেকে বিরত থাকতে বলছেন! কারণ অনেক খাবারকেই আমরা গরম বলি, আবার কিছুকে ঠান্ডা! যেমন বাদাম, পেঁয়াজ, রসুন সব গরম খাবার! শসা, তরমুজ ঠান্ডা খাবার! তেমনই রামকেও গরম খাবারের শ্রেণিতে ফেলা হয়! photo source collected
তাই গরমে রাম না খাওয়াই ভাল! কারণ এতে শরীরের উষ্ণতা বাড়তে পারে! এই গরমে যা অস্বস্তি বাড়াবে! তবে আলাদা করে গরমে রাম কিন্তু শরীরের অন্য কোনও ক্ষতি করে না! তবে খুব গরমে রাম না খাওয়াই ভাল! photo source collected
আদিবাসীদের মধ্যে মেচ ও বোরো জনজাতির মানুষেরা গরমকালে খেয়ে থাকেন এই খাবার।তাদের ধারণা পেট ঠান্ডা রাখতে পারে এই খাবারটি।এই খাবারটির নাম পাট শাকের ঠান্ডা ঝোল। জেনে নেওয়া যাক গরমে এই শাকের উপকারিতা! শুধু এখানকার মানুষরা নয়, আপনিও সুস্থ থাকতে খেতে পারেন পাট শাক! photo source collected
পাটের চাষ শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। পাট পাতা গাছ থেকে বের করে এনে এই পদটি তৈরি করা হয়। পাট শাকে থাকে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাট। যে কারণে পাট শাক খেলে তা শরীরে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।photo source collected
এছাড়াও এই শাকে আছে লাইকোপিন। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আমাদের শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে।photo source collected
তাপপ্রবাহের প্রভাব শরীরের ওপর যাতে না পরে তার জন্য ঠান্ডা খাবার খেয়ে থাকেন তারা। শুধু এই জনজাতি নয়, গোটা দেশের লোকেরাই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার মতো খাবার খান! পাট শাক শরীর ঠান্ডা রাখতে অন্যতম! photo source collected
পাট শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত। নিয়মিত পাট শাক খেলে হাড় ভাল থাকে। বাতের ব্যথা ঠিক করে এই শাক!photo source collected
পাট শাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ভিটামিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ট্রেস দূর করে! উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশারের কমাতে দারুণ ভাল এই পাতা!photo source collected
দূষণ এবং জীবনযাত্রার বদ অভ্যাসের কারণে কোষের যে অক্সিডেটিভ ক্ষতি হয় তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাট শাক খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খাওয়ার রুচি বাড়ায়! photo source collected
এই পাট পাতার ঠান্ডা ঝোল কীভাবে রান্না করবেন? পাট গাছে পাতা ভরে এলে সেই পাতা সংগ্রহ করা হয়। এরপর জল দিয়ে তা ভাল করে ধুয়ে কেটে নিতে হয়।কড়াইয়ে কালোজিরে দিয়ে তা ভেজে নিয়ে হলুদ,লবণ যোগ করতে হয়।অল্প জল দিয়ে পাতা সেদ্ধ করে নামিয়ে ফেলতে হয়।এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়। (Reported By: Annanya Dey)
তাপপ্রবাহে ব্যহত জনজীবন। এই তীব্র দহনে শরীর সতেজ রাখতে সকালে গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই পান্তাভাতকেই বেছে নেন।
রাতে খাবারের পর অবশিষ্ট ভাতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা পান্তা হয়। সকালে অনেকে পেঁয়াজ, লঙ্কা ও কিছু লবণ দিয়ে খেয়ে থাকেন। গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপপ্রবাহে অনেকেই খাদ্যতালিকায় পান্তা ভাতকে প্রথমে রাখেন।
অনেকেই পান্তা ভাত খাওয়া উপকার বললেও কেউ কেউ এর অপকারিতার কথা বলেন। কিন্তু পান্তা ভাত আসলে উপকারী! তা জানা যাক।
পান্তা ভাতে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি রয়েছে। যা দিনে অন্তত একবেলা পান্তা ভাত খেলেও দেহে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। এছাড়া এই খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, তাহলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। এছাড়াও একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় পান্তা ভাত।
চিকিৎসক আব্দুস সামাদ জানান, দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পান্তা ভাত। গরমে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূরে থাকবে এই খাবার খেলে। তবে তা ১২ ঘণ্টার বেশি ভিজিয়ে রাখা যাবে না।
আলিপুরদুয়ার: আদিবাসি মুন্ডাদের পছন্দের খাবার তেজ গুঁড়ো ডাল। তবে ডালের ব্যবহার হয় না এই খাবারে। এই পদটি রান্না হয় কচু পাতা গুঁড়ো ও টমেটোর ব্যবহার বেশি করে। আদিবাসীদের মধ্যে মুন্ডাদের বাড়িতে এই খাবারটি প্রায়শই হয়ে থাকে। কচু পাতার গুঁড়োকে বলা হয় তেজ গুঁড়ো।তবে কোনও ডাল ব্যবহার না করে ডালের মত তৈরি হয় পদটি। পাতলা হওয়ার কারণে এটি খাওয়া হয় দুপুরবেলা।
জেনে নেওয়া যাক এই পদটির রেসিপি। জানা যায় এই পদটি তৈরির জন্য কচি কচু পাতা দিন ১৫ আগে তুলে নিতে হয়। এরপর তা শুকোতে হয়। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তা সংরক্ষণ করতে হয়।এরপর যেদিন রান্না হয় সেদিন তা বের করে নিতে হয়।কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম হয়ে এলে দিতে হয় পেঁয়াজ কুচি, শুকনো লঙ্কা।
আরও পড়ুন: পকেটে মাত্র ১০০ টাকা থাকলেই হবে! পৌঁছে যাবেন এই পাহাড়ে! গরমে দারুণ সুযোগ
এগুলি ভাজা হলে দিতে হয় শুকনো কচু পাতার গুঁড়ো। একটু জল দিয়ে কষিয়ে নিতে হয় কচু গুঁড়ো। এরপর হলুদ, লবণ দিয়ে দিতে হয়।কচি টমেটো দিয়ে আরও কষিয়ে নিতে হয়। এরপর জল দিয়ে ফুটিয়ে নামিয়ে ফেলতে হয়। তারপরই রেডি হয়েযায় এই তেজ গুঁড়ো ডাল। এই ডাল খেলেই গরমে শরীর থাকবে ঠান্ডা! সুস্থ রাখবে আপনাকে!
ANNANYA DEY
রোজ ডাল না হলে আমাদের অনেকের মুখে খাবার ওঠে না! মুসুর বা মুসুরির ডাল হল তার মধ্যে অন্যতম। রসুন পোড়া দিয়ে মুসুর ডাল যেন মুখে লেগে থাকে! এই গরমে সব কিছু থেকে বাঁচতে মুসুরির ডালে দিয়ে দিন কয়েক টুকরো কাঁচা আম! এই ডালে প্রচুর স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। জটিল রোগ সারাতে পারে এই ডাল!photo source collected
এক কাপ মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ১৮ গ্রাম! এটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য! এই ডাল বহু মারণ রোগ ঠেকাতে পারে! photo source collected
ব্যাড বা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এই ডাল! গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মুসুর ডালে উপস্থিত ফাইবার, রক্তে মিশে থাকা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। কোলেস্টেরল মুক্ত জীবন পেতে হলে অবশ্যই খান মুসুর ডাল! photo source collected
মুসুর ডালে ফাইবার ছাড়াও রয়েছে ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে কোনও ধরনের হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। প্রসঙ্গত, ফলেট শরীরে হমোসিস্টেনিনের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট দীর্ঘদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকে। photo source collected
এই ডাল খেলে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে। এমনটা হওয়ার কারণে শুধু হার্ট নয়, শরীরের প্রতিটি অর্গানের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়! বুঝতেই পারছেন কতটা কাজের এই ডাল! photo source collected
মুসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে বদ-হজম সহ গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে। ডাল খেলেই বদ হজম গায়েব! photo source collected
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম এবং ডাইভারটিকিউলোসিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় এই মুসুর ডাল! photo source collected
মুসুর ডালে উপস্থিত সলেবল ফাইবার ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে! যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারাও নিয়মিত এই ডাল খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার!আর এতে কাঁচা আম থাকায় গরম থেকেও মিলবে মুক্তি! শরীরের নানা সমস্যা দূর করবে এই কাঁচা আমের টক ডাল! photo source collected
মুসুর ডালে উপস্থিত ২৬ শতাংশ ক্যালরি প্রোটিন হিসেবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই উপাদানের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। মুসুরির ডালের প্রোটিন কিন্তু প্রায় মাছ মাংসের সমান! তাই মাছ বা মাংস খেতে না চাইলে এই ডাল খেয়ে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারেন! photo source collected
মুসুর ডালে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, উপকারি খনিজ এবং ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেটকে ভরিয়ে রাখে। ফলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে, তেমনি জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতাও হ্রাস পায়। ফলে ওজন কমে ঝট করে!photo source collected
মসুর ডালে ফাইবার, প্রোটিন, এবং বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে! ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই ডাল! তবে হাই প্রেশার থাকলে ডালে নুন কম দিন একেবারেই! (শরীরে বিশেষ কোনও অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই খান!)photo source collected
Posts navigation
Just another WordPress site