ঝাড়গ্রাম, লাইফস্টাইল Travel-Jhargram: সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর মাঝে এসি কটেজ! খুব কম খরচে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের এই জায়গা Gallery June 6, 2024 Bangla Digital Desk ঘুরতে যেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। চেনা জায়গার বদলে অফবিট ডেস্টিনেশন বরাবরই টানে পর্যটকদের। ভ্রমনপিপাসু মানুষরা তাই ঘুরে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তবে আপনার হাতের কাছে রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা যা আপনার প্রিয় দশটি ঘোরার জায়গার মধ্যে একটি হবেই হবে। দু’দিকে বয়ে চলেছে দু’টি নদী মাঝখানে চরের উপর একটি বায়োডাইভারসিটি পার্ক। যেখানে রয়েছে সাজানো গোছানো আটটি কটেজ। দুদিকে নদী এবং চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র মন ভাল করবে আপনার। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রয়েছে কোদোপাল বায়োডাইভারসিটি পার্ক। একদিকে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী এবং অন্যদিকে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। মাঝে একখানি দ্বীপের মতো এই চর। গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ফলের বাগান এবং থাকার জন্য ঝাঁ চকচকে আটটি কটেজ। সারা সপ্তাহের অফিসের ক্লান্তি ভুলে অন্তত একটি দিন কাটানো যেতে পারে এখানে। সবুজের ক্ষেত্র এবং পাশেই নদীর মোহনীয় রূপ মন ভাল করবে আপনার। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণীর কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই পার্ক। রোহিনী বাজার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যেই কোদোপাল বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক ও কটেজ। এখানে রয়েছে মোট আটটি কটেজ। প্রতিটি কটেজে এসি, শোয়ার বিছানা, সোফা সহ একটি আলমারি রয়েছে। চারটি কটেজের নাম দেওয়া হয়েছে সুবর্ণরেখার নামে এবং অপর চারটি ডুলুং নদীর নামে। সামনেই রয়েছে সাজানো-গোছানো একটি পার্ক। চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র এবং ফলের বাগান। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই বুকিং করা যায়। জেলার বিশেষ ওয়েবসাইট থেকে থাকার জন্য বুকিং করতে পারবেন। অন্যদিকে অফলাইন মাধ্যমে ব্লক অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট সেকশনে থেকে রুম বুকিং করতে হবে। নাগালের মধ্যে একরাত থাকার জন্য খরচ পড়তে পারে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। একদিনের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন সবুজে ঘেরা এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক থেকে। রাত হলেই ঝিঁ ঝিঁ পোকার আওয়াজ, জোনাকি টিম টিম আলো এক আলাদাই নেশা জাগাবে আপনার। (তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)