Category Archives: ঝাড়গ্রাম

Lok Sabha Elections 2024 Mamata Banerjee: ‘চটিটা ছিঁড়ে গেছে…’, গোপীবল্লভপুরে সভার শেষে সেফটি পিনের খোঁজ মমতার

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে গোপিবল্লভপুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর সভায় বিপত্তি। সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শেষ হওয়ার পরে তাঁর জুতো ছিড়ে গেল। মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের থেকে জুতো সারানোর জন্য চাইলেন সেফটিপিন!

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

শুক্রবার তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় বিরোধিদের আক্রমণ করা ছাড়াও একাধিক বিষয় উঠে আসে। ছত্রধর মাহাতোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি জঙ্গলমহল যার হাত ধরে ঢুকি তার নাম ছত্রধর মাহাতো।২০০৮ সালে ছত্রধর তৃণমূল করত। যখন ভয়ে লালগড়ে কেউ যেত না আমি কিন্তু দিনের পর দিন গেছি। আমার গাড়ি আটকে রেখেছে। গোপীবল্লভপুর আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দু ছিল। জঙ্গলমহল আমি যে কারোর থেকে ভালো বুঝি। আমি তাই জেতার পর প্রথম মিটিং নোয়াগ্রামে করেছিলাম।”

তৃণমূল সরকারের আমলেই পৃথক জেলা হয় জঙ্গলমহল, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে আমরা নতুন জেলা করে দিলাম। আগে জঙ্গলমহলে পড়াশোনার হার কী ছিল! এখন ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে। এটা আমার গর্ব। আমরা এসে সাঁওতালি ভাষাকে গুরত্ব দিচ্ছি। শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না, প্যারা শিক্ষক দিয়ে চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: আবার অধিনায়ক হবেন বিরাট? আরসিবির মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে হঠাৎ জল্পনা শুরু

বিরোধিদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ভুয়ো বিজ্ঞাপন, পুরো নাটক, মতুয়া ভাইবোনেরা বিশ্বাস করবেন না। যাদের ছবি দিয়েছে তাদের মধ্য অনেকে আফগান আছে। তাদের সঙ্গে বাংলায় সম্পর্ক নেই। ভোটের আগে রাজনীতি, ভোটের পর জেলে ভরে দেবে। ওদের কথার কোনো গ্যারান্টি নেই। ২ বছর ধরে চালের টাকা আমরা দিচ্ছি। ৪২০, নো গ্যারান্টি।” অন্যান্য সভার মতো ঝাড়গ্রামেও তিনি একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন।

বিজেপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি কুর্মী এবং আদিবাসীদের মধ্যে লড়াই লাগাতে চাইছে। আদিবাসীদের জমি কোনও হস্তান্তর চলবে না।আদিবাসীদের জমি কেউ টাকা দিয়ে কাড়তে পারবে না। কুরমিরা দাবি করতে পারেন আগে তো আমাদের সমীক্ষা করতে হবে। যতদিন বাঁচবেন ততদিন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। বিজেপির মতো এত বড় চোর, এত বড় ডাকাত কোথাও নেই।

বিজেপি এবং তৃণমূলকে এক সঙ্গে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সিপিআইএমগুলো বিজেপির হার্মাদ হয়ে গেছে। ওদের ক্ষমা করবেন না।তারা যদি আবার আসে আবার গুলি ছুড়বে, আবার অশান্তি করবে। ওদের আসতে দেবেন না। জঙ্গলমহল সুন্দর থাক।”

সবার শেষে হঠাৎ জানা যায় মমতার জুতো ছিঁড়ে গেছে। জুতো সারানোর জন্য সেফটিপিনের খোঁজ করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, “ওর যা আয়ু তার থেকে বেশি হেঁটে ফেলেছে। ওর কী দোষ!”

Lok Sabha Elections 2024: বিগ ধামাকা সুপারস্টারের! জঙ্গলমহলে দেব, ঝাড়গ্রামে রোড শো-তে ঝড় তুললেন তারকা প্রার্থী

ঝাড়গ্রাম: সবুজের শহর ঝাড়গ্রাম। এবার সেই ঝাড়গ্রামে প্রচার করলেন তারকা প্রার্থী দেব। ছোট শহর, শাল, শিমুল ঘেরা সবুজ শহরে ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে সুবিশাল রোড শো করলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব।মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরে তিনি প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করেন।

অধিবাসী সংস্কৃতিকে মেনে গলায় হলুদ কাপড় নিয়ে তিনি রোড শো করেন। হেলিকপ্টারে আসতেই জঙ্গলমহলের সংস্কৃতি মেনে তার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয় পাগড়ি। এরপর তিনি সুসজ্জিত গাড়িতে চেপে প্রচার করেন।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

ঝাড়গ্রামের হিন্দু মিশন মাঠ থেকে রোড শো শুরু করেন দেব। বেশ কিছু জায়গায় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। যেন চেনা ছন্দে ঝাড়গ্রামে দেব। ঝাড়গ্রামে এসে যেন এক অন্য মুডে তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে জয় পাবে তৃণমূলই। শুধু তাই নয়, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রেও হিরণকে হারিয়ে নিজের জয়লাভের কথাও বলেন তিনি।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

প্রসঙ্গত এবারে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কালীপদ সরেনকে। বিপক্ষ দলের প্রার্থী হয়েছেন প্রণত টুডু। এর আগে বিজেপি জয়লাভ করেছিল পার্লামেন্ট নির্বাচনে। পাঁচ বছর ধরে তিনি সাংসদ পদ সামলেছেন। তবে এবারে সবুজের ক্ষেত্রে কোন ফুল ফুটে যা দেখার। তবে একাধিক দাবি দাওয়া রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষের। তবে এদিন বেশ কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল প্রার্থীর সমর্থনে দেবের রোড শো’কে ঘিরে। তবে কি জিতে তা সময় বলবে।

রঞ্জন চন্দ

Youth Death: চাষের জমির সামান্য উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ লাইন! মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

ঝাড়গ্রাম: সামান্য বেখেয়ালে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাঁকরাইল থানার ঘোড়াপাড়া এলাকায় অরুণ মান্ডি (৪০) নামে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একটি মোষেরও। একটি কৃষি জমির উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি চাষের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন অরুণ মান্ডি। ওখানে খুব নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইন। তারই সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন কিছুটা দূরে একটি মোষ একইরকমভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ মন্ডির বাড়ি ঝাড়গ্রামের লাউদহ গ্রামে। সূত্রের খবর, তিনি সকালে একটি মোষকে মাঠের দিকে চড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই খুব নীচ দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে চলে আসেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

রঞ্জন চন্দ

Jhargram News: কুকুরের মুখ থেকে হরিণকে উদ্ধার করল গ্রামবাসীরা, মানবিকতাকে কুর্নিশ

ঝাড়গ্রাম: সাত সকালে অসুস্থ অবস্থায় এক হরিণ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ঝাড়গ্রাম জেলার লোধাশুলি এলাকায়। যা দেখতে ভিড় জমালেন সাধারণ মানুষ। তবে কোথা থেকে এল এই হরিণটি তা নিয়ে চিন্তায় বনদফতর। লোধাশুলির জঙ্গল থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হল হরিণ, চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে বলে, বনদফতর সূত্রে খবর। সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের অন্তর্গত লোধাশুলি রেঞ্জের লোধাশুলি বিটের চাউলীর জঙ্গল থেকে অসুস্থ অবস্থায় একটি হরিণকে উদ্ধার করে বনদফতর। যদিও গ্রামবাসীরা, হরিণটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা মাত্র তার সেবাশুশ্রূষায় হাত লাগায়।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে একটি হরিণকে বেশ কয়েকটি কুকুর তাড়া করে এবং চাউলীর জঙ্গলে হরিণটিকে ধরে ফেলে কুকুরগুলি। বিষয়টি গ্রামবাসীরা দেখার পরেই কুকুরগুলিকে অন্যত্র তাড়িয়ে দেয় এবং অসুস্থ হরিণটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। অসুস্থ অবস্থায় হরিণটিকে দেখার পর বিষয়টি গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় বনদফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা। অসুস্থ অবস্থায় হরিণটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের রেসকিউ সেন্টার তথা জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় লোধাশুলি রেঞ্জ এর পক্ষ থেকে ।

আরও পড়ুন : বাবা চা বিক্রেতা! অভাবকে তুচ্ছ করে প্রতিভার জোরে বিদেশে মাটিতে পা রাখছে মেয়ে

লোধাশুলি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার প্রসূন মুখার্জি বলেন,”এদিন সকালে চাউলীর জঙ্গলে অসুস্থ অবস্থায় একটি হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছিল হরিণটিকে বেশ কয়েকটি কুকুর আক্রমণ করেছে, যার জেরে এই হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হরিণটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পাঠানো হয়েছে”। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হরিণটি চিকিৎসা চলছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে । তবে কোথা থেকে এল এই হরিণটি? বনদফতরের তরফে মনে করা হচ্ছে খড়গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত খড়গপুর বা কলাইকুন্ডার দিক থেকে এই হরিণটি এই এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন : ওরাও পারে! মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের

প্রসঙ্গত সুবর্ণরেখা নদীর দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ নয়াগ্রামের দিকে হরিণ রয়েছে, তবে কোথা থেকে এল হরিণটি তার খোঁজ শুরু করেছে বনদফতরের আধিকারিকেরা। বিভিন্ন সময়ে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় বেঁচে যায় একাধিক বন্যপ্রাণ। এদিনও ঠিক একইভাবে অসুস্থ এক হরিণটিকে প্রাণে বাঁচাল গ্রামবাসীরাই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গ্রামবাসীদের এই ভূমিকায় প্রশংসায় বিশিষ্টজনেরা।

রঞ্জন চন্দ

Jhargram News: অবশেষে হার মানতেই হল, তোলা গেল না কাদা থেকে, সারাদিন পড়ে থেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল পূর্ণবয়স্ক হাতি!

ঝাড়গ্রাম: সকাল থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতিটি। সকাল থেকে কাদায় পড়ে যাওয়া হাতিটিকে তুলতে ব্যর্থ সাধারণ মানুষ থেকে বনদফতরের আধিকারিকেরা। অবশেষে মর্মান্তিক মৃত্যু হল তার। একদিকে শারীরিক অসুস্থতা, আর অন্যদিকে কাদায় পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে। শোকস্তব্ধ বন্যপ্রাণ প্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বচসা সৃষ্টি হয় বনদফতর এবং এলাকাবাসীদের মধ্যে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সকাল থেকে এক পূর্ণবয়স্ক হাতিকে কাদায় পড়ে থাকতে দেখে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কাদা থেকে কোনও ভাবে উঠতে পারছিল না হাতিটি। জানা গিয়েছে, জংলি দু’টি হাতির মারামারির ঘটনায় জখম হয়ে কাদায় পড়েছিল হাতিটি। বিভিন্নভাবে তাকে কাদা থেকে তোলার চেষ্টা চালায় সাধারণ মানুষ। কখনও গাছের লতাকে চেন বানিয়ে তোলার চেষ্টা করে তারা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা পর আসে বনদফতরের আধিকারিকরা।তবে শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যু হল হাতিটির।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী! ভারী বৃষ্টি হবে বঙ্গজুড়ে, কোন জেলা ভিজবে কোন দিন, জরুরি ওয়েদার রিপোর্ট

ঝাড়গ্রাম জেলার কেশররেখা রেঞ্জের কুইলিসুতা এলাকায় এক হাতি কর্দমাক্ত একটি জলা জায়গায় পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থ ছিল হাতিটি। তবে কোনওভাবেই জলা জায়গা থেকে উঠতে পারছিল না সে। স্বাভাবিকভাবে বেশ অসুবিধার মধ্যেই ছিল জংলি এই দাঁতালটি। পরে বনদফতরের আধিকারিকরা এসে তাকে তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়।

বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের। হাতি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ হাতিটিকে তুলতে না পারা, বিনা চিকিৎসা এবং অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় তার। তবে এ দায় কার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

রঞ্জন চন্দ

Healthcare-Weight Loss Tips: সাত দিনে রোগা করে দেবে এই পাতা! বহু রোগের মহা-ওষুধ! পান পাতা নয় কিন্তু! জানুন

বাংলার গৃহস্থের আনাচে কানাচে অযত্নে বড় হয় একাধিক গাছ। তার মধ্যে বেশ কিছু গাছ ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ।
বাংলার গৃহস্থের আনাচে কানাচে অযত্নে বড় হয় একাধিক গাছ। তার মধ্যে বেশ কিছু গাছ ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা যায় পিপুল (Piper Longum) নামে উদ্ভিদের। গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা পান পাতার মতো দেখতে হলেও ভেষজ গুণসমৃদ্ধ এই পিপুল গাছ।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় দেখা যায় পিপুল (Piper Longum) নামে উদ্ভিদের। গুল্ম জাতীয় এই গাছের পাতা পান পাতার মতো দেখতে হলেও ভেষজ গুণসমৃদ্ধ এই পিপুল গাছ।
শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কুষ্ঠ , অর্শ, প্লীহা, আমবাত প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় পিপুল । পিপুলের মূলের ও ভেষজ গুণ বেশ।মূল মেদরোগ , কফ , শ্বাসকষ্ট নিবারণে ব্যবহৃত হয়
শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কুষ্ঠ , অর্শ, প্লীহা, আমবাত প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় পিপুল । পিপুলের মূলের ও ভেষজ গুণ বেশ।মূল মেদরোগ , কফ , শ্বাসকষ্ট নিবারণে ব্যবহৃত হয়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পিপুলের শুকনা ফল, বল বৃদ্ধিকারক ও টনিক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।ফুল এবং মূলে পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য খুব উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পিপুলের শুকনা ফল, বল বৃদ্ধিকারক ও টনিক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।ফুল এবং মূলে পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য উপকারী খুব উপকারী।
পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ দাস মন্তব্য করেন, মেদ বৃদ্ধিতে যারা কষ্টে থাকেন এবং চট করে সব মেদ গলিয়ে রোগা হতে চাইলে এই পাতা মহা-ওষুধ! ২৫০ মিলিগ্রাম পিপুল চূর্ণ, হাফ চা চামচ মধু, খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এক কাপ অল্প জলে মিশিয়ে মাস খানেক খেলে উপকার মেলে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজে লাগে।
পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ দাস মন্তব্য করেন, মেদ বৃদ্ধিতে যারা কষ্টে থাকেন এবং চট করে সব মেদ গলিয়ে রোগা হতে চাইলে এই পাতা মহা-ওষুধ! ২৫০ মিলিগ্রাম পিপুল চূর্ণ, হাফ চা চামচ মধু, খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এক কাপ অল্প জলে মিশিয়ে মাস খানেক খেলে উপকার মেলে। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজে লাগে।
বর্তমানে নিজেদের ফুলের বাগান বা অন্যান্য বাড়ির বাগানে লাগানো যেতে পারে এই পিপুলের গাছ। সামান্য পরিচর্যা তে চাষ করা যাবে পিপুলের। যা অত্যন্ত ভেষজ গুণসমৃদ্ধ। (ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি)
বর্তমানে নিজেদের ফুলের বাগান বা অন্যান্য বাড়ির বাগানে লাগানো যেতে পারে এই পিপুলের গাছ। সামান্য পরিচর্যা তে চাষ করা যাবে পিপুলের। যা অত্যন্ত ভেষজ গুণসমৃদ্ধ।
(ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি)

Elephant: ভোটের মরশুমে ‘ওরা’ ফের দলবেঁধে জঙ্গলমহলের গ্রামে

ঝাড়গ্রাম: দল বেঁধে ‘ওরা’ এসেছে গ্রামে। দেখে হয়ত মনে হতেই পারে ভোট প্রচারে এসেছে। কিন্তু না, সামনের লোকসভা নির্বাচনে এদের কোনও প্রার্থী নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাও নয়। ওরা জঙ্গলের নেতা। জঙ্গলেই থাকে। কিন্তু আচমকাই এসে পৌঁছেছে লোকালয়ে। যদিও কেন তাদের লোকালয়ে আসা তা নিয়ে কিছুই জানায়নি।

এই ‘ওরা’-টা হল জঙ্গলের দলমা দাঁতাল। সকাল সকাল জঙ্গলমহলের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে তারা। তাতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ওদের জন্য সাতসকালে ভয়ে ভয়ে ঘুম থেকে ওঠে গ্রামের মানুষ। চোখ খুলতেই হাতির দলকে দেখে ভয়ে তটস্থ সবাই। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিচিড়া এলাকায় সকাল সকাল ঢুকে পড়ে একদল দাঁতাল। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। খাবারে খোঁজেই লোকালয়ে এই হাতির পাল চলে এসেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আর‌ও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে হঠাৎই সীমান্তের গ্রামে জেলাশাসক

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করে হাতির দল। ভেঙে ফেলে মাটির বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি করে ফসলেরও। এদিনের হাতির দলটিতে বেশ কয়েকটি বাচ্চা হাতিও ছিল।বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গল ধ্বংস করা, জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং অযাচিতভাবে বন্যপ্রাণকে উত্তক্ত করার জন্যই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ক্রমশ লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতি। এছাড়াও বেশ কিছু সময়ে খাবারের সন্ধানেও তারা লোকালয়ে আসে।

রঞ্জন চন্দ

Viral News: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

ঝাড়গ্রাম: মনের ইচ্ছে জানিয়ে পুজো দিয়ে সুতোয় হাতি ঘোড়া বেঁধে দিয়ে এলে পূরণ হয় মনস্কামনা। এমনই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে মন্দিরে পুজো। জঙ্গলমহল এলাকায় থাকা এই মন্দির ক্রমশ প্রচার লাভ করে। মন্দিরকে ঘিরে নানান ইতিহাস থাকলেও দেবীর মাহাত্ম্য এবং বিশ্বাস মিলে মিশে এক হয় এখানে। খড়গপুর মুম্বাই জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে গুপ্তমণি মন্দির। মন্দিরের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার।জ্বলছে কয়েকটি ধূপ আর বেশ কয়েকটি মোমবাতি। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পূজিতা হন দেবী।

মনস্কামনা পূরণের আশায় দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। বিশ্বাস আছে যে, যা মানত করা হয় তার সুফল জুটে। খড়গপুর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই অবস্থিত দেবী গুপ্তমণির মন্দির। অনেক বিশ্বাস নিয়ে বহু দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। মনের ইচ্ছে জানিয়ে মানত করেন তারা। পেয়েছেন সুফলও। এভাবেই ব্যাপ্তি ঘটে দেবীর। প্রতিদিনের পাশাপাশি শনি, মঙ্গলবার এমনকি বছরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট দিনে বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবী গুপ্তমনিকে নিয়ে মত প্রচলিত থাকলেও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষরাই পুজো করেন দেবী গুপ্তমনিকে।দেবী দুর্গা রূপেই পূজিতা হন মা গুপ্তমনি। আজও এই মন্দির সন্ধ্যার পর নিমজ্জিত হয় গাড় অন্ধকারে।

আরও পড়ুন: বছরে মাত্র এক মাস পাওয়া যায় এই ফুল! ডায়াবেটিস, জন্ডিস-সহ বহু জটিল রোগের যম!

কোনও আলো জ্বালানো হয় না, এমনকি প্রদীপও।  প্রাচীন রীতি মেনে গুপ্তমণি মায়ের পুজো করেন লোধা সম্প্রদায়ের মানুষজন। কলকাতা থেকে মুম্বইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মা গুপ্তমণির মন্দির। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার আর খড়গপুর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। জাতীয় সড়কের পাশে অতি সাধারণ এই মন্দির। মনস্কামনা জানিয়ে, ভক্তরা এখানে মাটির হাতি ঘোড়া পুজো দিয়ে বেঁধে যান। পূরণ হয় মনের আশা। এছাড়াও অনেকেই নতুন কেনা গাড়ি বা বাইক নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মা গুপ্তমণি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী গুপ্তমণি হলেন রক্ষার দেবী। তিনি তুষ্ট থাকলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ভক্তদের বিশ্বাস, কোনও হারানো জিনিস ফিরে পেতে গুপ্তমণি দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে, তা সহজেই ফিরে পাওয়া যায়। তবে, সেই হারানো জিনিস ফিরে পেতে মন্দির প্রাঙ্গণের গাছে বাঁধতে হয় মাটির হাতি ও ঘোড়া। দেবী গুপ্তমণির অবয়ব অবিকল দেবী দুর্গার মত। মকর সংক্রান্তি এবং দুর্গাপুজোর সময় এখানে বেশ বড় আকারে পুজো হয়। তবে জাতীয় সড়কের পাশে সবুজ গেছে ঘেরা এই মন্দির, বিশ্বাস থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে ।

রঞ্জন চন্দ

Viral News: এই লৌকিক দেবতার কাছে গেলেই যা চাইবেন পাবেন! বিশ্বাসে ছুটছে মানুষ

জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানান ইতিহাস। এমনই এক ইতিহাসের নিদর্শন লৌকিক দেবতা।
জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ইতিহাস। এমনই এক ইতিহাসের নিদর্শন লৌকিক দেবতা।
জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার অন্তর্গত কালুয়া ষাঁড় এলাকায় রয়েছে লৌকিক দেবতার মন্দির। গাছের নিচে দেবতার অবস্থান।
জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার অন্তর্গত কালুয়া ষাঁড় এলাকায় রয়েছে লৌকিক দেবতার মন্দির। গাছের নিচে দেবতার অবস্থান।
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় লোধা অধ্যুষিত গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে লৌকিক দেবতার অবস্থান। এখানে মূলত হাতি ঘোড়াকেই পুজো করা হয়।
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় লোধা অধ্যুষিত গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে লৌকিক দেবতার অবস্থান। এখানে মূলত হাতি ঘোড়াকেই পুজো করা হয়।
ইতিহাসবিদরা মনে করেন প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরনো এই লৌকিক দেবতার অবস্থান। লোকিক দেবতার উত্থান নিয়ে রয়েছে নানা অজানা কাহিনী।
ইতিহাসবিদরা মনে করেন প্রায় ৩৫০ বছরে পুরনো এই লৌকিক দেবতার অবস্থান। লৌকিক দেবতার উত্থান নিয়ে রয়েছে নানান অজানা কাহিনী।
পৌষ সংক্রান্তির দিনে বড় উৎসব হলেও সপ্তাহের শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এখানে।
পৌষ সংক্রান্তির দিনে বড় উৎসব হলেও সপ্তাহের শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এখানে।
মনস্কামনা পূরণের আশায় শুধু বাংলা নয়, ওড়িশা বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। ইতিহাস গবেষক অতনুনন্দন মাইতি বলেন, মূলত লৌকিক দেবতা এই কালুয়া ষাঁড়, প্রথমে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের দেবতা হলেও ধীরে ধীরে ব্যাপ্তি ঘটে।
মনস্কামনা পূরণের আশায় বহু মানুষ শুধু বাংলা নয়, ওড়িশা থেকেও আসেন এখানে পুজো দিতে। ইতিহাস গবেষক অতনুনন্দন মাইতি বলেন, মূলত লৌকিক দেবতা এই কালুয়া ষাঁড় প্রথমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের দেবতা হলেও ধীরে ধীরে ব্যাপ্তি ঘটে।

Viral Video-Elephant: মৃত্যু-ভয় ভুলে জংলি হাতিকে স্নান করায় যুবক! ভাইরাল ভিডিও! কে এই যুবক? জানলে অবাক হবেন

ঝাড়গ্রাম: মনে বেশ ভয় ছিল। তবে অসহায়তা দেখতে পারেনি সে। হাতি দেখতে গিয়ে প্রচন্ড রোদে একটি পূর্ণবয়স্ক জঙ্গলের হাতিকে অসুস্থবোধ করতে দেখে খালে নেমে জল দিয়ে হাতটিকে স্নান করাল এক যুবক। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। যুবকের এই কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। যখন বনের হাতিকে উত্ত্যক্ত করার ছবি সামনে আসে তখন জঙ্গলমহলের এই যুবকের চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতাকে কুর্নিশ।

প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। একটি যুবক মনে সাহস নিয়ে এক হাতিকে স্নান করিয়ে দিচ্ছে। কালভার্টের নিচ থেকে বালতিতে করে জল নিয়ে হাতির গায়ে ছিটিয়ে স্নান করিয়ে দিচ্ছে যুবক। আক্রমণ করা তো দূর, শুঁড়, মাথা, কান নাড়িয়ে বেশ আনন্দে স্নান করছে জংলি হাতিটি। এটি চিড়িয়াখানা কিংবা কোনও ব্যক্তির পোষ মানানো হাতি নয়। এটি জঙ্গলমহলের একটি জংলি হাতি। তবে তার দাঁত না থাকায় জঙ্গলমহলের মানুষ ভালবেসে নাম দিয়েছে ফোগলা। হাতির প্রতি যুবকের ভালবাসা, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে হাতিকে স্নান করানোর এই ভিডিও। তবে জানা গিয়েছে এই ভিডিও এপ্রিলের প্রথমদিকের।

আরও পড়ুন: পোজ দিতে ব্যস্ত শিল্পা! সেখানেই কাণ্ড ঘটালেন ঋতুপর্ণা! একী করলেন বলি-পাপারাৎজিরা? তুমুল ভাইরাল ভিডিও

স্থানীয় সূত্রে খবর, খাবারের সন্ধানে হাতিটি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। গ্রামের মানুষ তাই হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে প্রখর রৌদ্রতাপে হাতিটি ক্রমশ হাঁপিয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবে একটি কালভার্টের উপর দাঁড়িয়ে শুঁড় দিয়ে কালভার্টের নিচে থাকা জল তোলার চেষ্টা করছিল ফোগলা নামে এই হাতিটি। তবে তা সম্ভব হয়নি। হাতি দেখতে যাওয়া এই যুবকটি মনে ভয় রেখে হাতিটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। পাশের বাড়ি থেকে একটি বালতি এনে, কালভার্টে নিচ থেকে জল তুলে ছিটিয়ে দেয় হাতির দিকে। আর এই ভিডিও মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী হতেই মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

 

তবে কে এই যুবক, জানেন? এই ঘটনাটি ঘটেছে সাঁকরাইল ব্লকের গোপালপুর এলাকায়। যে যুবকটি সাহস নিয়ে হাতিটিকে স্নান করিয়ে দিয়েছে তার নাম নিতাই সিং, বয়স ২৪ বছর। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল এর কুলঘাগরি এলাকায়।উচ্চ মাধ্যমিক পাস এই যুবক। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই ও নিতাই এর সংসার। বাবা নন্দ সিং সামান্য দিনমজুরের কাজ করেন, ভাই গাড়ি চালান। তবে হাতি দেখতে গিয়ে যুবকের সাহসিকতা ও মানবিকতাকে কুর্নিশে জানিয়েছেন সকলে। নিতাই বলেন, ভয় লেগেছিল তবে হাতিটির করুন অবস্থা দেখে তাকে স্নান করিয়ে দেই। তবে সে কোনও আক্রমণ করেনি। স্নান করানো শেষে অবশ্য জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে হাতিটি। তবে নিতাই এর বক্তব্য, হাতিকে উত্ত্যক্ত করা নয় সকলেই যেন সাহায্য করে বন্যপ্রাণকে। জঙ্গলমহলের বছর ২৪ এর এই যুবকের মানবিকতা ও মানসিকতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পশু-প্রেমী থেকে সকলে।

রঞ্জন চন্দ